সারা দেশে মোবাইল ফোন বিক্রির দোকান বন্ধ ঘোষণা

সারা দেশে ছোট ও মাঝারি মোবাইল ফোন বিক্রির দোকান বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশ (এমবিসিবি)। সংগঠনটির সভাপতি মোহাম্মদ আসলাম বুধবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, সুমাশটেকের প্রধান নির্বাহী আবু সাঈদ পিয়াসকে গোয়েন্দা পুলিশ তুলে নেওয়ার প্রতিবাদে এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
এমবিসিবি জানিয়েছে, যদি আজকের মধ্যে পিয়াসকে মুক্তি না দেওয়া হয়, তাহলে দেশজুড়ে কঠোর আন্দোলন চালানো হবে। দোকান বন্ধ রাখার এই আন্দোলন চলবে, যতক্ষণ না সেক্রেটারি মুক্তি পাচ্ছেন। এছাড়া সংগঠন দেশ অচল করার হুমকিও দিয়েছে।
বিজ্ঞাপন
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রাতের দিকে আবু সাঈদ পিয়াসকে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) আটক করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পিয়াসের গ্রেপ্তারি ও হঠাৎ চলমান ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) বাস্তবায়নের ঘোষণা ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
সরকার জানাচ্ছে, ১৬ ডিসেম্বর থেকে এনইআইআর কার্যকর হবে। এর মাধ্যমে প্রতিটি হ্যান্ডসেটের আইএমইআই নম্বর ব্যবহারকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র ও সিমের সঙ্গে যুক্ত করা হবে। লক্ষ্য হলো অনিবন্ধিত বা চুরি হওয়া ফোন ব্যবহার রোধ এবং টেলিযোগাযোগ খাতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

তবে এমবিসিবি এই হঠাৎ পদক্ষেপের কারণে বিপুল আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা প্রকাশ করেছে।
বিজ্ঞাপন
সভাপতি মো. আসলাম বলেন, অবিক্রিত হ্যান্ডসেট বিক্রি করা অসম্ভব, ব্যবসায়ীরা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বেন। নতুন শর্তাবলি, প্রস্তুতকারকের সঙ্গে বাধ্যতামূলক চুক্তি ব্যবসা পরিচালনাকে জটিল ও ব্যয়সাপেক্ষ করে তুলবে।
বক্তারা আরও জানিয়েছেন, ছোট ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন ধরে দেশের অর্থনীতি ও ডিজিটাল খাতে অবদান রেখেছেন। গত ২৫ বছরে মোবাইল খাতে ১০ লাখের বেশি দক্ষ কর্মী তৈরি হয়েছে। বিদেশ ফেরত প্রবাসীদের আনা ফোন স্থানীয় বাজারে সরবরাহ করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে প্রতি বছর এক হাজার কোটি টাকারও বেশি রাজস্ব যোগ হয়েছে। তবে বিটিআরসির একতরফা নীতি ও কিছু প্রস্তুতকারকের প্রভাব বাজারে অস্বাভাবিক দামের সৃষ্টি করেছে।
বিজ্ঞাপন
এমবিসিবি আশঙ্কা করছে, এনইআইআর বাস্তবায়নের ফলে কয়েকটি গোষ্ঠীর একচেটিয়া আধিপত্য তৈরি হবে, স্মার্টফোনের দাম বৃদ্ধি পাবে, ভোক্তা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন এবং দেশের ডিজিটাল অগ্রগতি ব্যাহত হবে। এছাড়া সাধারণ গ্রাহক ও প্রবাসীরা অতিরিক্ত জটিলতা ও হয়রানির শিকার হতে পারেন।
সংবাদ সম্মেলনে এমবিসিবি আরও বলেছে, সরকারের সঙ্গে কোনো পূর্ব-পরামর্শ ছাড়া এমন হঠাৎ পদক্ষেপ বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে এবং দেশের প্রায় ২৫ হাজার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ২০ লাখেরও বেশি মানুষের জীবিকা ঝুঁকির মুখে পড়েছে।








