Logo

সেনানিবাসে কারাগার বিষয়ে যা বললেন চিফ প্রসিকিউটর

profile picture
নিজস্ব প্রতিবেদক
১৩ অক্টোবর, ২০২৫, ১৮:৩২
11Shares
সেনানিবাসে কারাগার বিষয়ে যা বললেন চিফ প্রসিকিউটর
ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেছেন, আদালত যেখানেই রাখার নির্দেশ দেবে, আসামিকে সেখানেই রাখা হবে। তিনি জানিয়েছেন, কোনো স্থাপনাকে সাময়িক কারাগার ঘোষণা করা সরকারের এখতিয়ারভুক্ত বিষয়।

বিজ্ঞাপন

রবিবার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবনকে অস্থায়ী কারাগার ঘোষণার বিষয়ে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, “কোনো নির্দিষ্ট জায়গাকে সাব জেল (অস্থায়ী কারাগার) ঘোষণা করার ক্ষমতা সরকারের রয়েছে। কোন জায়গাটাকে জেল ঘোষণা করবে বা প্রিজন অথরিটির আওতায় নিয়ে আসবে, তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত। সুতরাং এখানে আমাদের কনসার্ন হওয়ার কোনো বিষয় নয়। আমাদের বক্তব্য হলো, যখন কোনো আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হবে, তখন এই পরোয়ানাটাকে তামিল করা হবে। অর্থাৎ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যখন পরোয়ানাটা তামিল করবে, কাউকে গ্রেপ্তার করবে, তখন সরাসরি কাউকে জেলে নেওয়ার কোনো বিধান নেই। কারণ আইন অনুযায়ী আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে আনতে হবে। ”

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, “আসামিকে আদালতে আনার পর আদালত যদি (ফার্দার অর্ডার) আদেশ দিয়ে বলেন, তাকে কারাগারে পাঠানো হোক, তখন কেন্দ্রীয় কারাগার বা জাতীয় সংসদ ভবনের মধ্যে, এমপি হোস্টেল হতে পারে, অথবা অন্য কোনো জায়গাকে যদি সরকার কারাগার ঘোষণা করে সেই জায়গায় পাঠানো যেতে পারে। ফলে সেটা কারাগার হিসেবে গণ্য হবে। সুতরাং কোন জায়গাকে কারাগার ঘোষণা করা হচ্ছে সেটা আমাদের প্রসিকিউসন বা তদন্ত সংস্থার বিবেচ্য বিষয় নয়। আমাদের বিবেচ্য বিষয় হলো আইন অনুযায়ী কাজটা করতে হবে। আসামিকে গ্রেপ্তার যদি করা হয় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাকে আদালতে আনতে হবে। সেটা সংবিধানে যেমন আছে, আইসিটি আইনে ও সিআরপিসিতেও আছে। আসামিকে গ্রেপ্তার করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে আনতে হবে। এরপর আদালত যেখানে তাকে রাখতে বলবে সেখানে রাখবে।”

এর আগে, শনিবার (১২ অক্টোবর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঢাকা সেনানিবাসের বাশার রোডসংলগ্ন উত্তর পাশে অবস্থিত ‘এমইএস বিল্ডিং নম্বর-৫৪’–কে সাময়িকভাবে কারাগার হিসেবে ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। এতে বলা হয়, যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে আদেশটি অবিলম্বে কার্যকর হবে।

উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় গুম ও নির্যাতনের অভিযোগে দায়ের করা দুটি মামলায় ৩০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। আগামী ২২ অক্টোবর তাদের আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ৮ অক্টোবর ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

বিজ্ঞাপন

গুমের দুই মামলায় ৩০ আসামির মধ্যে ২৫ জনই সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা। এদের মধ্যে ৯ জন অবসরপ্রাপ্ত, একজন এলপিআরে এবং ১৫ জন বর্তমানে কর্মরত। এরই মধ্যে সেনাবাহিনীর অ্যাডজুটেন্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান জানিয়েছেন, ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

জেবি/এএস
Logo

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ

মোঃ শফিকুল ইসলাম ( শফিক )

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ৫৭, ময়মনসিংহ লেন, ২০ লিংক রোড, বাংলামটর, ঢাকা-১০০০।

ফোনঃ 02-44615293

ই-মেইলঃ dailyjanobaninews@gmail.com; dailyjanobaniad@gmail.com

জনবাণী এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। কপিরাইট © ২০২৫

Developed by: AB Infotech LTD