সালমান শাহর মৃত্যুর ২৯ বছর পর হত্যা মামলা গ্রহণের নির্দেশ

বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর প্রায় তিন দশক পর তার মৃত্যুর মামলাটি ‘অপমৃত্যু’ নয়, বরং ‘হত্যা মামলা’ হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বিজ্ঞাপন
সোমবার (২০ অক্টোবর) ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক এই নির্দেশ দেন। সালমান শাহর মা নীলা চৌধুরীর দায়ের করা রিভিশন আবেদন মঞ্জুর করে আদালত এ আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবিদ হাসান।
আদেশে আদালত সালমান শাহর বাবা কমর উদ্দিন আহমদের করা অভিযোগ এবং ঘটনায় জড়িত হিসেবে স্বীকারোক্তি দেওয়া রিজভী আহমেদ ওরফে ফরহাদের জবানবন্দি মামলার সঙ্গে সংযুক্ত করে রমনা মডেল থানাকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়।
বিজ্ঞাপন
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ইস্কাটনে নিজ ফ্ল্যাটে রহস্যজনকভাবে মারা যান সালমান শাহ (পুরো নাম চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার ইমন)। মৃত্যুর পর তার বাবা প্রথমে অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেন। কিন্তু ১৯৯৭ সালের ২৪ জুলাই তিনি আদালতে অভিযোগটি হত্যা মামলা হিসেবে রূপান্তরের আবেদন করেন।
এরপর একাধিক তদন্ত সংস্থা তদন্ত করলেও প্রতিবারই ‘হত্যা নয়, আত্মহত্যা’ বলে প্রতিবেদন দেয়। তবে সালমান শাহর পরিবার সবসময়ই সেই সিদ্ধান্তে আপত্তি জানিয়ে আসছিল।
সর্বশেষ পিবিআই (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) ২০২১ সালের ৩১ অক্টোবর প্রতিবেদনে জানায়, সালমান শাহ আত্মহত্যা করেছেন। ওই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ আসামিদের অব্যাহতির আদেশ দেন।
বিজ্ঞাপন
এ রায়ের বিরুদ্ধে সালমান শাহর পরিবারের পক্ষ থেকে রিভিশন আবেদন করা হয়, যা আদালত ২০২২ সালের ১২ জুন গ্রহণ করেন। বিভিন্ন কারণে শুনানি বিলম্বিত হলেও, সম্প্রতি শুনানি সম্পন্ন হয় এবং আজ (২০ অক্টোবর) আদালত চূড়ান্তভাবে মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে রূপান্তরের আদেশ দেন।
বাংলা চলচ্চিত্রে নব্বইয়ের দশকে তারকা খ্যাতি পাওয়া সালমান শাহর মৃত্যু এখনো ভক্তদের কাছে রহস্য হয়ে রয়েছে। আদালতের এই নতুন আদেশের মধ্য দিয়ে মামলাটি আবারও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে।