শেখ হাসিনার বিবাহ বার্ষিকীর দিনেই দেওয়া হলো ফাঁসির রায়

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ফাঁসির রায় ঘোষণা করেছে। এই রায় প্রকাশিত হলো শেখ হাসিনার বিবাহবার্ষিকীর দিনেই, যা দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা ও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
ট্রাইব্যুনাল-১–এর চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল রায় দেন। প্যানেলের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
মামলার তিন আসামির মধ্যে শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল পলাতক থাকায় রায় তাদের অনুপস্থিতিতে কার্যকর হয়েছে। অপরদিকে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন ‘রাজসাক্ষী’ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
রায় ঘোষণার দিন সকাল থেকেই ট্রাইব্যুনাল এবং সুপ্রিম কোর্ট এলাকা নিরাপত্তার জোরদার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পুলিশ, র্যাব, এপিবিএন, বিজিবি ও সেনাবাহিনীসহ গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা এলাকায় তৎপর থাকেন। নিরাপত্তার কারণে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও প্রবেশমুখ সীমিত করা হয় এবং জনসাধারণের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।
মামলায় প্রমাণ ও সাক্ষ্য–জেরা প্রক্রিয়া দীর্ঘদিন ধরে চলে। মোট ২৮ কার্যদিবসে ৫৪ জন সাক্ষীর জেরা শেষ হয়। ৯ কার্যদিবস ধরে চলেছে প্রসিকিউশন এবং ডিফেন্স পক্ষের যুক্তি–বিতর্ক। প্রসিকিউশন সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের দাবি করে।
বিজ্ঞাপন
আজকের রায়কে বাংলাদেশের বিচার ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ একটি ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে। এটি প্রথমবারের মতো কোনো সাবেক সরকারপ্রধানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ডের রায় কার্যকর হয়েছে। দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটে এর প্রভাব অনস্বীকার্য।
যেহেতু এটি শেখ হাসিনার বিবাহবার্ষিকীর দিনেই প্রকাশিত রায়, তাই বিষয়টি জনমনে অতিরিক্ত নজর কাড়ছে। রায় কার্যকর হওয়ার পরই রাজনৈতিক, আইনগত ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে নানা ধরনের প্রতিক্রিয়া আশা করা হচ্ছে।








