Logo

চুপচাপ রায় শুনছেন সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন

profile picture
নিজস্ব প্রতিবেদক
১৭ নভেম্বর, ২০২৫, ১৩:৫৩
46Shares
চুপচাপ রায় শুনছেন সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন
ছবি: সংগৃহীত

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় আজ সোমবার (১৭ নভেম্বর) পড়া শুরু করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

বিজ্ঞাপন

ট্রাইব্যুনাল-১–এর চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল রায় ঘোষণা করছেন। প্যানেলের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

মামলার তিন আসামির মধ্যে শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল পলাতক অবস্থায় থাকায় রায় তাদের অনুপস্থিতিতে হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

অপরদিকে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন ‘রাজসাক্ষী’ হিসেবে আদালতে হাজির হয়েছেন। সকালেই কড়া নিরাপত্তার মধ্যে প্রিজনভ্যানে তাকে কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। আদালত কক্ষে বসে তিনি বিমর্ষ মুখে চুপচাপ রায় শুনছেন।

শেখ হাসিনার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ট্রাইব্যুনাল ও সুপ্রিম কোর্ট এলাকা নিরাপত্তার কয়েক স্তর স্থাপন করা হয়েছে। পুলিশ, র‌্যাব, এপিবিএন, বিজিবি এবং সেনাবাহিনীসহ গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা টহল দিচ্ছেন। নিরাপত্তার স্বার্থে রবিবার সন্ধ্যার পর থেকেই দোয়েল চত্বর থেকে শিক্ষা ভবনমুখী সড়কে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে এবং সাধারণ মানুষের প্রবেশ সীমিত করা হয়েছে।

এই মামলায় ২৮ কার্যদিবসে ৫৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন হয়েছে। পরবর্তীতে ৯ কার্যদিন ধরে প্রসিকিউশন এবং স্টেট ডিফেন্সের যুক্তি-বিতর্ক ও পাল্টা যুক্তিখণ্ডন হয়েছে। ২৩ অক্টোবর রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামানের সমাপনী বক্তব্যের পর রায়ের তারিখ নির্ধারণ করা হয়।

বিজ্ঞাপন

প্রসিকিউশন শেখ হাসিনা ও কামালের সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়েছে। রাজসাক্ষী হিসেবে হাজির চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের শাস্তি ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্তের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, যদিও তার আইনজীবী খালাসের দাবি করেছেন।

মামলায় তিন আসামির বিরুদ্ধে পাঁচটি গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে- উসকানি, মারণাস্ত্র ব্যবহার, রংপুরে ছাত্র আবু সাঈদ হত্যা, ঢাকার চাঁনখাঁরপুলে ছয় ছাত্র হত্যাকাণ্ড এবং আশুলিয়ায় হত্যা ও লাশ পোড়ানো।

বিজ্ঞাপন

আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্রের পৃষ্ঠা সংখ্যা ৮ হাজার ৭৪৭। এর মধ্যে তথ্যসূত্র ২ হাজার ১৮, জব্দতালিকা ও দালিলিক প্রমাণাদি ৪ হাজার ৫, শহীদদের তালিকা ২ হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠা। মোট ৮৪ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। ১২ মে চিফ প্রসিকিউটরের কাছে মামলার প্রতিবেদন জমা দেয় ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।

জেবি/এএস
Logo

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ

মোঃ শফিকুল ইসলাম ( শফিক )

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ৫৭, ময়মনসিংহ লেন, ২০ লিংক রোড, বাংলামটর, ঢাকা-১০০০।

ফোনঃ 02-44615293

ই-মেইলঃ dailyjanobaninews@gmail.com; dailyjanobaniad@gmail.com

জনবাণী এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। কপিরাইট © ২০২৫

Developed by: AB Infotech LTD