শরীরচর্চার পর যা খাবেন
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
শারীরিক পরিশ্রম বা ব্যায়ামের পরে প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত। এরা পেশি গঠন করে ও শক্তি যোগায়। পুষ্টিবিজ্ঞানে প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন উদাহরণ টেনে করা খাদ্য ও পুষ্টিবিষয়ক ওয়েবসাইটে এই বিষয়ের উপর প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ভালো ফলাফলের জন্য ব্যায়াম শেষে ৩০ থেকে ৬০ মিনিটের মধ্যে খাবার খাওয়া উচিত। কারণ এই সময় পেশির ধারণ ক্ষমতা বেশি থাকে। এবং এনজাইমের ক্রিয়া বাড়িয়ে দুর্বল পেশিতে শক্তি ও প্রোটিন তৈরির জন্য গ্লুকোজ সংরক্ষণ করতে সাহায্য করে। তাই রইল পাঁচটি এমন খাবারের হদিস; যা খাওয়া যেতে পারেন শরীরচর্চার পর।
কলা
কলায় থাকে খনিজ পদার্থ ও প্রচুর পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট। শরীরচর্চার সময়ে ঘামের মধ্য দিয়ে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণ লবণ বেরিয়ে যায়। এই বেরিয়ে যাওয়া খনিজ লবণের ঘাটতি পূরণ করতে কলা অত্যন্ত উপযোগী।
পিনাট বাটার
শরীরচর্চার পর পিনাট বাটার দ্রুত প্রোটিন ও ফ্যাটের ঘাটতি পূরণ করতে পারে। পাশাপাশি, পিনাট বাটার দ্রুত পেট ভরিয়ে দেয়। যা ফলে শরীরচর্চার পর তীব্র খিদের বশে অতিরিক্ত খাবার খেয়ে নেওয়ার আশঙ্কা কমে।
অমলেট
ডিমে থাকে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন, ভিটামিন ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট। ডিমে এমন কিছু আমাইনো অ্যসিড যা পেশির শক্তি ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। ফলে শরীরচর্চার পর নামমাত্র তেলে তৈরি অমলেট খেলে পেশি সতেজ হয়। চাইলে ওমলেটে দিয়ে দিতে পারেন বিভিন্ন ধরনের শাকসবজিও। এতে বাড়বে পুষ্টিগুণের মাত্রা।
স্মুদি
শরীরচর্চার পর দেহে প্রোটিনের মাত্রা বজায় রাখতে এখন অনেকেই বিভিন্ন রকমের প্রোটিন শেক খান। তবে যারা এই ধরনের প্রোটিন খেতে চান না, তারা খেতে পারেন বিভিন্ন ধরনের স্মুদি। স্মুদিতে মিশিয়ে নিতে পারেন বিভিন্ন রকমের ফল। শরীরচর্চার পর কম্বুচার মতো পানীয়ও বেশ উপযোগী।
মুরগির মাংস
মাংসের থেকে সহজলভ্য প্রোটিন খুব কমই রয়েছে। বিশেষ করে যারা সুঠাম ও পেশিবহুল দেহ চান, তাদের জন্য তেল-মশলা ছাড়া অল্প গোলমরিচ দিয়ে সেদ্ধ করা মুরগির মাংস অত্যন্ত উপযোগী হতে পারে। পেশি সুগঠিত করতে সেদ্ধ করা মুরগির মাংস ও স্টু অত্যন্ত কার্যকর।
তবে মনে রাখবেন সব খাবার সকলের সহ্য হয় না। বিশেষ করে অনেকেই বিভিন্ন সমস্যার জন্য শরীরচর্চা করেন। তাই কোনো সমস্যা থাকলে, কী খাবেন, আর কী খাবেন না তা জেনে নিতে হবে চিকিৎসকের থেকেই।
আরএক্স/