রাবিতে প্রক্সি দিতে এসে ঢাবির দুই শিক্ষার্থীসহ তিনজন কারাগারে
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দেয়ার অপরাধে ৩ জনকে ১ বছর করে কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে এ কারাদন্ডে দন্ডিত করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কৌশিক আহমেদ।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ ইউনিটে প্রথম শিফটের ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া একাডেমিক ভবন থেকে মূল পরীক্ষার্থী লিমনের হয়ে প্রক্সি পরীক্ষা দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী এখলাসুর রহমান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহাম্মদ মহসিন হলের আবাসিক ছাত্র তিনি। এছাড়া জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি থানাধীন আবুল কাশেম সন্তান দন্ডপ্রাপ্ত এ শিক্ষার্থী।
অন্যদিকে বেলা ১১টার দিকে সত্যেন্দ্রনাথ বসু একাডেমিক ভবন দ্বিতীয় শিফটে প্রক্সি দিতে গিয়ে ধরা পড়েন মো. সজিব। দন্ডপ্রাপ্ত এ শিক্ষার্থী ঢাকা জেলাস্থ কেরানিগঞ্জের আব্দুস সালামের সন্তান। তিনি পরীক্ষার্থী তানভীর আহম্মেদের হয়ে প্রক্সি দেন। উভয়কে ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক ১ বছর করে কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।
এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী জান্নাতুল মেহজাবীন। পঞ্চগড়ের ইশরাত জাহনের হয়ে প্রক্সি দিতে গিয়ে ধরা পড়েন। তাকেও ১ বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক জনবাণীকে বলেন, “আজ এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে পরীক্ষা কেন্দ্র প্রক্সি দেয়ার অভিযোগ তাদের আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অপরাধ স্বীকার করেন তারা। ফলে ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক তাদের ১ বছরের কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।”
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার জনবাণীকে বলেন, “ভর্তি পরীক্ষায় কোন ধরনের জালিয়াতি কিংবা অনৈতিক কাজ করার সুযোগ নেই। এসব দেখভাল করার জন্য সার্বক্ষণিক তদারকি জারি রেখেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা টিম ও বিচক্ষণ শিক্ষকগণ। তাই ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি করে পার পাওয়ার কোন সুযোগ নেই।”
উল্লেখ্য, ২০২১-২২ সেশনে দ্বিতীয় দিনের মতো এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা হয় আজ। ‘এ’ ইউনিটে লড়ছেন ৬৭ হাজার ২৩৭ জন ভর্তিচ্ছু। ভর্তি পরীক্ষাকে সুশৃঙ্খল ভাবে পারি দিতে সক্রিয় অবস্থান করছেন ১৫ স্তরের নিরাপত্তা টিম। তাছাড়া ভর্তি প্রস্তুতির পূর্বেই সকল ধরনের অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা কঠোর ভাবে রোধ করার ঘোষণা দেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এসএ/