রাবির ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি: প্রভাষকসহ ৫ জন শ্রীঘরে
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি (প্রক্সি) করায় ঢাবির দুই শিক্ষার্থী ও মেডিকেল কলেজের এক প্রভাষকসহ ৫ জন আটক হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের 'এ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- খুলনার গাজী মেডিকেল কলেজের প্রভাষক ডা. সমীর রায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী এখলাছুর রহমান, লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী জান্নাতুল মেহজাবিন ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের শিক্ষার্থী বায়জিদ খান এবং ভর্তিচ্ছু রাহাত আলম রিয়াদ।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, 'এ' ইউনিটে প্রথম শিফটের ভর্তি পরীক্ষায় ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া একাডেমিক ভবন থেকে ঢাবির এখলাছুর রহমানকে, দ্বিতীয় শিফটের পরীক্ষায় সত্যেন্দ্রনাথ বসু একাডেমিক ভবন থেকে বায়জিদ খান, তৃতীয় শিফটে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবন থেকে ঢাবির জান্নাতুল মেহজাবিনকে এবং চতুর্থ শিফটের ভর্তি পরীক্ষায় খুলনার গাজী মেডিকেল কলেজের প্রভাষক ডা. সমীর রায়কে। পরবর্তী আটক করা হয় ভর্তিচ্ছু রাহাত আলম রিয়াদ।
আরো জানা যায়, এখলাছুর ভর্তি পরীক্ষার্থী লিমনের হয়ে, বায়জিদ ভর্তি পরীক্ষার্থী তানভীর আহমেদের হয়ে, জান্নাতুল মেহজাবিন ভর্তি পরীক্ষার্থী ইশরাত জাহানের এবং ডা. সমীর রায় ভর্তি পরীক্ষার্থী রাহাত আলম রিয়াদের পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন।
এদিকে অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় তাদেরকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভর্তি পরীক্ষায় দায়িত্ব পালনরত সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট কৌশিক আহমেদ।
জানা যায়, ডা. সমীর রায়, এখলাছুর রহমান ও বায়জিদ খানকে এক বছর করে কারাদণ্ড, জান্নাতুল মেহজাবিনকে দুই বছর এবং রাহাত আলম রিয়াদকে তিন মাসের কারাদণ্ডে দন্ডিত করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক জনবাণীকে বলেন, “মঙ্গলবারের এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে পরীক্ষা কেন্দ্র প্রক্সি দেয়ার অভিযোগ তাদের আটক করা হয়। আটকের পড়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অপরাধ স্বীকার করেন তারা। ফলে ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক তাদের বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ড প্রদান করেছে।”
এসএ/