কালিয়াকৈরে চাঁদা না পেয়ে কারখানায় সন্ত্রাসী হামলা


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


কালিয়াকৈরে চাঁদা না পেয়ে কারখানায় সন্ত্রাসী হামলা

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে চাঁদা না পেয়ে সূতা তৈরির একটি কারখানায় দু-দফায় সন্ত্রাসী হামলা, ভাংচুর ও লুটপাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় বাঁধা দিতে গেলে এক নিরাপত্তাকর্মীকে কুপিয়ে জখম করেছে সন্ত্রাসীরা। 

এ ঘটনায় বুধবার (২৭ জুলাই) সকালে কালিয়াকৈর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। আহত হলেন, খুলনার খালিশপুর থানার খালিশপুর চরেরহাট এলাকার মৃত মোক্তার আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম (৪৫)। 

ওই কারখানা ও থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার উত্তর লস্করচালা এলাকার করতোয়া গ্রীন স্পিনিং মিলস্ লিমিটেড নামে সূতা তৈরির একটি কারথানায় এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। ওই কারখানার কয়েকটি নতুন সেট ও সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কাজ চলছে। এ নির্মাণ কাজের শুরু থেকে রাজিব মিয়া, রিপন মিয়া, আজাদ খান, ফজল মিয়া, হাবিবুর রহমান, জসিম উদ্দিন টিটু, সোহেল খান, ছানোয়ার হোসেন, তুষার মিয়া, নয়ন মিয়াসহ কয়েকজন বিভিন্ন সময় কারখানার মালিকের কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করেন। তাদের চাহিদা মতো টাকা না পেলে কারখানার ক্ষতি সাধনসহ বিভিন্ন ধরণের হুমকি-দমকি দেন। ওই চাঁদার টাকা না পেয়ে গত মঙ্গলবার বিকেলে ওই হুমকিদাতাদের নেতুত্বে ৩০/৩৫ জনের একদল সন্ত্রাসী দা, লাঠি, রড, ছুরি, চাপাতিসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একটি পিকআপ, ২টি মাইক্রোবাস ও কয়েকটি মোটরসাইকেল যোগে কারখানায় হামলা চালায়। এ সময় বাঁধা দিতে গেলে ওই কারখানার নিরাপত্তা কর্মী রফিকুল ইসলামকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। পরে তারা কারখানার সীমানা প্রাচীর ভাংচুর চালিয়ে বৈদ্যুতিক ক্যাবল, সিসি ক্যামেরা, সাম্বারসিবল মোটর, এলইডি লাইটসহ প্রায় ১০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে। এসময় কারখানার লোকজন ৯৯৯-এ ফোন দিলে ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলেও হামলাকারী সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় ওই নিরাপত্তা কর্মীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে কারখানা কর্তৃপক্ষ। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নতি চিকিৎসার জন্য ওইদিন রাতেই তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরের দিন বুধবার সকালে ৪০/৫০ জনের ওই সন্ত্রাসী আবারও কারখানায় হামলা চালায়। খবর পেয়ে মৌচাক ফাঁড়ি পুলিশের এসআই আসাদুজ্জামান একজন কন্টেবল নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে সন্তাসীরা চলে যায়। কিন্তু তিনি কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে শুধু দেখে চলে যান বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। 

এ ঘটনায় ওই কারখানার নিরাপত্তাকর্মীদের সহকারী ম্যানেজার মিজানুর রহমান বাদী হয়ে বুধবার সকালে কালিয়াকৈর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। 

ওই কারখানার একাউন্ট অফিসার কায়সার আহম্মেদ জানান, ‍“৫০/৬০ জনের একদল সন্ত্রাসীরা দাঁড়ালো অস্ত্র নিয়ে দু-দফায় কারখানার ভিতরে প্রবেশ করে সীমানা প্রাচীর ভাংচুরসহ প্রায় ১০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে। এ সময় নিরাপত্তা কর্মী রফিকুলকে  কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করলেও তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। এছাড়া যে কোনো সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনার আতঙ্কে আমরা ভয়ে ভয়ে  আছি।”

কালিয়াকৈর থানাধীন মৌচাক ফাঁড়ি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আসাদুজ্জামান জনবাণীকে জানান, “কারখানায় হামলার ঘটনা শুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি।”

এসএ/