জাতির চোখ এখন বঙ্গবন্ধু টানেল ঘিরে


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


জাতির চোখ এখন বঙ্গবন্ধু টানেল ঘিরে

বীরের জাতি বাঙালি অসাধ্য সাধন করতে পারে। যেমনটা ১৯৭১ এ মহান মুক্তিযুদ্ধে এবং যুদ্ধের দেশ গড়ার ক্ষেত্রে দেখা গেছে। বাংলাদেশ ভাত ও ভোটের অধিকার আদায় করেও বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশ তলাবিহীন ঝুড়ির বদনাম ঘুচিয়ে আজ বিশ্বের বিষ্ময়, উন্নয়নে রোল মডেল। বাংলাদেশ গরীব থেকে উত্তরণ করে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে সামিল হয়েছে। বাংলাদেশের অতীতের ক্ষতগুলো বঙ্গবন্ধু কন্যা সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা নিশ্চিহ্ন করে উন্নয়নের মাধ্যমে সব ক্ষত ডেকে দিয়েছে। এবার চট্টগ্রামের গল্পের একটি অংশ বলবো। বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ইতিহাস ও ঐতিহ্যের একটি জনপদ। চট্টগ্রাম ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে শুরু থেকে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরত্ব প্রদর্শন করার পর চট্টগ্রাম ইতিহাসে এক কালজয়ী এলাকা। চট্টগ্রাম প্রাচ্যের রানী, বার আউলিয়ার পূণ্যভূমি ও অর্থনীতির চালিকা শক্তি। এ চট্টগ্রামে যোগাযোগ ক্ষেত্রে যুক্ত হতে চলছে নতুন এক বিষ্ময়। এশিয়া মহাদেশের প্রথম টানেল নির্মিত হয়েছে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে। আগামী ডিসেম্বর মাসে দেশের একমাত্র টানেল যান চলাচলের জন্য খুলে দেবে সরকার। 

পদ্মা সেতুর আলোর ঝলকানির পর জাতির সামনে আসছে নতুন আরো একটি আলোর দ্যূতি। গত ২৫ জুন ২০২২ খ্রি. বাংলাদেশের সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘স্বপ্নের পদ্মা সেতু’ উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে দেশের ১৭ কোটি মানুষের হৃদয়ে আশার আলো জ্বালিয়ে দিয়েছেন। বাংলাদেশের গণমানুষের বিদ্যুৎ, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প কারখানা স্থাপনা, উন্নত ও আধুনিক যোগাযোগ অবকাঠামো নির্মাণ, শিল্পনগর গড়া, মেট্রোরেল, এক্সপ্রেসওয়ে, বিমানবন্দর, রিং রোড, বে-টার্মিনাল, মেরিনাস রোড, রিং রোড, গভীর সমুদ্রবন্দর, রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র সহ নানামুখি উন্নয়ন, মেগাপ্রকল্প ঘিরে বাংলাদেশের ৬৪ জেলা, উপজেলা, পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশন, ইউনিয়ন ও গ্রামে চলমান উন্নয়ন। ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ ইতাদি কর্মসূচি বদলে যাচ্ছে দেশের চিত্র, বদলে যাচ্ছে মানুষের জীবনযাত্রা, বদলে যাচ্ছে অর্থনীতি। ফলে গরীব কমছে, অনাহারি মানুষ কমছে। গৃহহীন ভূমিহীন কমছে, বেকার কমছে, মানুষের সক্ষমতা বাড়ছে, গড় আয়ু বাড়ছে, বছরের আয় বাড়ছে, জিডিপি বাড়ছে, কুড়ের ঘরে টিনের ছাউনি, টিনের ঘর পরিবর্তন হয়ে পাকা দালান, খাল বিলে মাছ চাষ, খেত খামারে উৎপাদন বৃদ্ধি, পশু পালনে নতুন প্রযুক্তি, দুগ্ধ উৎপাদনে ব্যাপকতা অর্থাৎ দেশের মানুষদের মুখে হাসি, দৈহিক গঠনে পরিবর্তন সহ মানুষের চলনে, বলনে, আচরণে, পোশাকে, আশাকে খাদ্যে এসেছে আমূল পরিবর্তন। মঙ্গা, দুর্ভিক্ষ অনেকটাই বিদায় নিয়েছে। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বন্যা, মহামারি, ঝড়ঝঞ্ঝা, ভূমিকম্প, দুর্ঘটনা, আত্মহত্যা, সামাজিক অস্থিরতা আছে। 

মানুষ স্বভাবে চরিত্রে পরিবর্তনের পথ খুঁজছে, তবে ডিজিটাল পথ ও ইন্টারনেট জগতে ভালো মন্দ দু’টির প্রতিযোগিতায় যুবক শ্রেণি বিপথে ধাবিত হচ্ছে। নীতি-নৈতিকতায় ইন্টারনেট আঘাত করছে। মানুষ ভালোগুলোর দিক কম, মন্দের দিক কেন যেন বেশি হাটতে চায়। মানুষ লোভ-প্রলোভনে ঝুকছে। সততা, ন্যায়নীতির প্রতি কিছুটা অনীহা পরিলক্ষিত হচ্ছে। তবে বাংলাদেশের মানুষ কিছুটা ভিন্ন চরিত্রের, প্রাচ্য-পাশ্চাত্যের সংস্কৃতির চেয়ে বাঙালির ইতিহাস-ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির দিকেই তাদের পদচারণা। তবে মাদক মানুষকে অমানুষ করে দিচ্ছে। মাদকের প্রভাব ও প্রসারে লাগাম টানা দুরহ হয়ে গেছে। চট্টগ্রাম ভৌগোলিক কারণেই ভিন্ন অবস্থানে। চট্টগ্রামে সমুদ্র বন্দর, নদ-নদী, পাহাড়-টিলা, সমতল এক অপরূপ রূপের এলাকা। চট্টগ্রাম ব্যবসা-বাণিজ্যের স্থান, শিক্ষা-দীক্ষা ও সংস্কৃতির অপূর্ব এক এলাকা। পাহাড়ি জীবনাচার সমতলের জীবনাচার একাকার হয়ে সৃষ্টি হয়েছে এক নৈসর্গিক জীবনাচার। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম বাসীর প্রতি, চট্টগ্রামের প্রতি অত্যন্ত আন্তরিক। তার স্মৃতি বিজড়িত চট্টগ্রামের মাটি ও মানুষের প্রতি রয়েছে তার দরদি মন। তিনি চট্টগ্রাম ঘিরে দেশের অর্থনীতি পরিবর্তনে গড়ে তুলছেন নানামুখি উন্নয়নের মহাযজ্ঞ। চট্টগ্রাম নগরীর সব সড়ক প্রশস্ত হয়েছে। বাকলিয়া ও ভাটিয়ারি নতুন সংযোগ সড়ক নির্মাণ হয়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়ক চারলেনে উন্নীত হয়েছে। 

চট্টগ্রাম থেকে হাটহাজারী, রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, আনোয়ারা, পটিয়া, বাঁশখালী, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার, চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, রামু টেকনাফ সহ চট্টগ্রামের সর্বত্র উন্নয়নের মহাযজ্ঞ চলছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা মীরসরাই বঙ্গবন্ধু শিল্পনগর, বঙ্গোপসাগর তীরে রিংরোড, বন্দরের বে-টারমিনাল, পতেঙ্গা কন্টেইনার ইয়ার্ড, বহদ্দারহাট থেকে লালখানবাজার ফ্লাইওভার, লালখান বাজার থেকে শাহ আমানত বিমানবন্দর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, জলাবদ্ধতা নিরসনে মেগা প্রকল্প, সহ সরকারী নানা স্থাপনা, শিশুপার্ক, শিক্ষা ভবন, ভূমি ভবন সহ শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে নানামুখি উন্নয়নের পর যোগাযোগের জগতে কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে নির্মিত হলো বঙ্গবন্ধু টানেল। এ যেন এক নতুন দৃশ্য। বাংলার জনগনের সামনে নতুন এক স্বপ্ন। দেশ জাতি ব্রীজ, কালভার্ট, রোডঘাট ইত্যাদিতে পরিচিত ছিল এবার বঙ্গবন্ধু কন্যা তাক লাগিয়ে দিলেন দেশ-বিদেশীদের চোখে মুখে। চোখে দেখছে আলোর ঝলকানি, আর মুখে ফুটেছে নতুন হাসি। এ যেন স্বর্গ থেকে আসা এক নতুন আনন্দ, নতুন এক জগতে পদচারণা। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। তিনি আগামী ডিসেম্বর এ টানেলটি দিয়ে পরিবহন চলাচলের জন্য খুলে দেবেন। এ যেন সৃষ্টিকর্তার দেয়া অপার এক সুযোগ।

 পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর চট্টগ্রাম তথা দেশবাসীর কাছে এখন আরেক আশা আকাক্সক্ষার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে কর্ণফুলীর তলদেশে নির্মিত ‘বঙ্গবন্ধু টানেল’। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখন অবিরত সেই স্বপ্নের টানেল উদ্বোধনের অপেক্ষার প্রহরের উচ্ছাস-আনন্দের বার্তা ঘুরে বেড়াচ্ছে। দেশের কোটি কোটি মানুষ বঙ্গবন্ধু টানেল দেখার অপেক্ষায় প্রহর গুণছে। দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম বঙ্গবন্ধু টানেলের প্রথম দাবী ছিল চট্টগ্রামবাসীর, বাস্তবতা দেখছে চট্টগ্রামবাসী। টানেলের দু’টি টিউবের কাজ শেষ। টানেলের মুখে ফ্লাডগেটসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। জলোচ্ছ্বাস হলেও টানেলের কোন ক্ষতি সাধন হবে না। বিশে^র বুকে টানেলের মাধ্যমে ইতিহাসের সাক্ষা হলো বাংলাদেশ। ‘বঙ্গবন্ধু টানেল’ দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। চট্টগ্রাম সহ দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনীতির চাকা দ্রুত ঘুরে যাবে। এর ফলে জীবনযাত্রার মান ও কর্মসংস্থান বাড়বে। কর্ণফুলী নদীর আনোয়ার অংশে অর্থাৎ দক্ষিণ চট্টগ্রামে নতুন নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে। আসবে ব্যাপক হারে বিদেশি বিনিয়োগ। ইতোমধ্যে কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণে আনোয়ারায় রয়েছে কোরিয়ান ইপিজেড, চায়না ইপিজেড, সিইউএফএল, পারকি সমুদ্র সৈকত। বাঁশখালী, কক্সবাজার, মহেশখালির মাতারবাড়ী বিদ্যু কেন্দ্র, গভীর সমুদ্রবন্দর, আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা, চট্টগ্রাম কক্সবাজার রেল লাইন, ইত্যাদি সহ চট্টগ্রাম সিটি হচ্ছে চীনের সাংহাই সিটির আদলে ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’। 

কর্ণফুলীর দক্ষিণ ও পূর্ব তীরবর্তী পশ্চিম পটিয়া ও আনোয়ারা পরিণত হবে উপশহরে। বঙ্গবন্ধু টানেল প্রকল্পটি বাংলাদেশ ও চীন সরকারের (জিটুজি) যৌথ অর্থায়নে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বাস্তবায়িত একটি প্রকল্প। এ প্রকল্পটির মোট ব্যয় ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি ৪২ লাখ টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের ৪ হাজার ৪৬১ কোটি ২৩ লাখ টাকা এবং চীন সরকারের ঋণ ৫ হাজার ৯১৩ কোটি ১৯ লাখ টাকা। ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম নগরের পতেঙ্গা নেভাল একাডেমির অংশে নির্মাণ কাজের শুভ উদ্বোধন করেন। নেভার একাডেমির পাশ থেকে এটি কাফকো ও সিইউএফএল সীমার মাঝখান দিয়ে উঠে কর্ণফুলী আনোয়ারা প্রান্তের সংযোগ ঘটানো হয়েছে। টানেলের দৈর্ঘ্য ৩ দশমিক ৩১৫ কিলোমিটার। এর মধ্যে টানেলের প্রতিটি টিউবের দৈর্ঘ্য ২ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার এবং টিউবের ব্যাস ১০ দশমিক ৮০ মিটার। প্রতিটি টিউবে দুটি করে মোট ৪টি লেন রয়েছে। মূল টানেলের সঙ্গে নদীর দুই প্রান্তে মোট ৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার সংযুক্ত সড়ক রয়েছে। আনোয়ারার অংশে ৭২৭ মিটার দীর্ঘ একটি ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হয়েছে। অন্যদিকে শিকলবাহা ওয়াই জংশন থেকে সাড়ে ১১ কিলোমিটার ৬ লেনের সড়ক তৈরি হচ্ছে। এটিও কালাবিবির দীঘি পর্যন্ত গিয়ে যুক্ত হবে টানেল রোডের সঙ্গে। মোট কথা এই টানেল হবে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম চানেল। এতে বাড়বে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার। খুলে যাবে পর্যটন শিল্পের নতুন দুয়ার। 

আঞ্চলিক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু টানেল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করবে। চট্টগ্রাম এর পাশর্^বর্তী এলাকার যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নয়নের এই টানেল এক নতুন মাত্রা যোগ করবে। সমগ্র বিশ^বাসীর কাছে ‘বঙ্গবন্ধু টানেল’ একটি অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে সক্ষম হবে। এদিকে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বেও সাহসী দৃঢ়চেতা গুনাবলিতে মুগ্ধ হয়ে জাপান দ্বিতীয় পদ্মা সেতু, রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্পের অনুরূপ দ্বিতীয় একটি পারমানু বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছে জাপান বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূত ইতোনাওকি তিনি বলেছেন, ‘দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক কৌশলগত পর্যায়ে উন্নীত করতে চায় জাপান। বাংলাদেশের বড় অবকাঠামো তৈরিতে জাপানের অংশগ্রহণের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে চাই।’ এখানে বলতে হচ্ছে যে, বাংলাদেশের কক্সবাজারের মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্রবন্দর ও তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বাস্তবায়ন করছে জাপান। উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা ঢাকার মেট্রোরেলের অর্থায়নেরও যুক্ত জাপান। 

রূপপুরে দেশের প্রথম পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে রাশিয়া। এরই মধ্যে দ্বিতীয়টির ঘোষণা দিয়েছেন সরকার প্রধান শেখ হাসিনা। তাঁর অর্থায়নের প্রসঙ্গ তুলে সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নেওয়ার কথা জানান দূত। আল্লাহতা’য়ালা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে বাঁচিয়ে রাখলে তাঁর হাত ধরে বাংলাদেশ মহাসড়ক ধরে দ্রুত ধাবমান হতে থাকবে সামনের দিকে। ২০৪১ সালের রূপকল্প, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ও ‘ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০’ এবং ব্লু-ইকোনমিতে সফল হবে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু কন্যা সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার হাত ধরে অর্থনীতিতে নতুন নতুন ধারা উন্মোচিত হতে থাকবে আর এর সুফল ভোগ করবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে বিশ্বে নতুন ইতিহাস গড়বেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। আমরা চট্টগ্রামবাসী, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার হাত শক্তিশালী করার অপেক্ষায় থাকলাম। আমাদের চোখ এখন বঙ্গবন্ধু টানেলের দিকে। এ টানেল চালু হলে আমাদের স্বপ্ন হবে বাস্তব- বাংলাদেশ হবে বিশ্বে অসম্ভব সম্ভবের দেশ। 

লেখক: মো. আবদুর রহিম, সাধারন সম্পাদক, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চারনেতা স্মৃতি পরিষদ।

এসএ/