খরা কটিয়ে ট্রাক্টর সংকটে ঘাটাইলের কৃষকরা!


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


খরা কটিয়ে ট্রাক্টর সংকটে ঘাটাইলের কৃষকরা!

টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে আমন রোপনের জমি প্রস্তুুত করতে ট্রাক্টর সংকটে পড়েছে কৃষকরা। ফলে খরা কাটিয়েও যেনো আরেক খরার সম্মুখীন তারা।

রোববার (৩১জুলাই) উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়ন ঘুরে জানা যায়, দীর্ঘ খরা কাটিয়ে দু'দিন ধরে বৃষ্টির আগমন ঘটলেও আমন ধান রোপনের জমি প্রস্তুুত করতে নয়া সংকট মোকাবিলা করতে হচ্ছে কৃষকদের। আর তা হলো, ট্রাক্টর সংকট! তীব্র তাপদহে বিশেষ করে ঘাটাইলের পাহাড়ি এলাকা ধলাপাড়া ও সাগরদিঘী ইউনিয়নের অধিকাংশ কৃষিভূমি-ই মরুপ্রায় অবস্থা হয়েছিলো। গত দু'দিন ধরে প্রকৃতি সদয় হয়ে বৃষ্টি ঝরালেও নতুন করে ট্রাক্টর নিয়ে কৃত্রিম সংকটে পড়তে হয়েছে কৃষকদের। আর এ কারনে, আমন রোপনের জমি প্রস্তুুত করতে হিমশিম খাচ্ছে তারা। 

আগের দিনে গরু দিয়ে হাল চাষের রীতি থাকলেও এখন অনেকটা যন্ত্র নির্ভর কৃষি। গরুও এখন আর মোটাতাজাকরণ ছাড়া হালচাষের জন্য পালন করা হয় না। ঘাটাইলের এসব এলাকায় অধিকাংশ কৃষক আর্থিক অসচ্ছলতা ও চালানোর কৌশল না জানার কারণে কৃষি যন্ত্র ক্রয়ে আগ্রহী হয় না। নির্ভর করে এসব যন্ত্র (ট্রাক্টর, ধান কাটার মেশিন, নিড়ানোর মেশিন ইত্যাদি) দিয়ে ব্যবসা করা হাতে-গোনা মালিকদের উপড়। প্রচন্ড খরা কাটিয়ে যখন বৃষ্টির আনাগোনা তখন কৃষকরা অস্থির রকম ব্যস্ত হয়ে পড়েছে নিজ নিজ জমি রোপনের উপযোগী করতে। আবার খরার ভয়ে কে কার আগে চাষ করতে পারে তা নিয়ে চলছে হুরোহুরি। ট্রাক্টর মালিকরাও সুবিধা নিচ্ছে কৃষকদের এমন পরিস্থিতির সুযোগে। 

উপজেলার মোথাজুরি এলাকার ট্রাক্টর মালিক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‍“প্রতি বিঘায় (৩৩ শতাংশ) আমরা ১৮০০-২০০০ টাকা নিচ্ছি।” টাকার পরিমাণ এতো বেশী কেনো বললে তিনি বলেন, “তেলের যে দাম! এতেও আমার পুষে না।”

রামদেবপুর এলাকার শিক্ষিত কৃষক ইমরান সিকদার বলেন, “আমি প্রায় ১০বিঘা জমি আমন রোপন করবো। নিজের ট্রাক্টর নাই, ওদেরটাও সিরিয়াল পাচ্ছি না।  এতো দিন বৃষ্টি পাইলাম না,এখন ট্রাক্টর পাই না!”

সংকট নিয়ে কথা হয় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দিলশাদ জাহানের সঙ্গে। তিনি জনবাণীকে বলেন, “ঘাটাইলে আমন রোপনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৮,৯৫০ (আঠারো হাজার নয়শত পঞ্চাশ) হেক্টর জমি। আশা করি আমাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারবো।”

কৃষকরা ট্রাক্টর সংকটে আছেন বললে তিনি জনবাণীকে আরও বলেন, “যেহেতু কৃষি এখন যন্ত্র নির্ভর তাই কৃষকদের নিজ নিজ ট্রাক্টর থাকা বাঞ্ছনীয়। সরকারিভাবে কৃষি অধিদপ্তরের মাধ্যমে কৃষকদের মাঝে আগে ট্রাক্টর বিতরণ করা হলেও এখন তা বন্ধ আছে এবং আবার বিতরণ করা হতে পারে।”

এসএ/