লঞ্চ থেকে পড়ে যাওয়া শিশুকে জীবিত উদ্ধার করলো জেলে


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


লঞ্চ থেকে পড়ে যাওয়া শিশুকে জীবিত উদ্ধার করলো জেলে

পটুয়াখালীর আগুনমুখা নদীতে পড়ে যাওয়া শিশু শ্রমিক জুয়েলকে উদ্ধার করেছে স্থানীয় এক জেলে। শিশুটি বর্তমানে গলাচিপার পানপট্টি ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জুবায়ের খানের হেফাজতে রয়েছে। 

রবিবার (৩১ জুলাই) বিকেল তিনটায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। উদ্ধার হওয়া ওসমান খান নামের ১৩ বছরের শিশুটি শরীয়তপুরের ইমামুদ্দিন খানের ছেলে। সে পটুয়াখালীর কোরালীয়া টু ঢাকার রুটে চলাচলকারী এম ভি জাহিদ ৩ লঞ্চের বাবুর্চির সহকারি হিসেবে কাজ করে।

এমবি জাহিদ ৩ লঞ্চের স্টাফ শিপন জানান, ‍“তাদের লঞ্চ দুপুর ২ টায়  ঢাকার উদ্দেশ্যে রাঙ্গাবালীর কোরালিয়া ঘাট ত্যাগ করে। এর বেশ কিছুক্ষণ পর বাবুর্চির সহকারি শিশু ওসমান লঞ্চের পিছনে গোসল করছিল। লোহার বালতি দিয়ে নদী থেকে পানি উঠানোর সময় ভারসাম্য হারিয়ে নদীতে পড়ে যায়। আমরা বিষয়টিতে টের পেতে পেতে লঞ্চ অনেকদূর এগিয়ে যায়। পরে মোবাইল করে নিশ্চিত হই শিশুটিকে স্থানীয় জেলেরা উদ্ধার করেছে।”

গলাচিপার পানপট্টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুদ রানা জানান, “আগুনমুখা নদী থেকে একটি ছেলেকে স্থানীয় জেলেরা। বর্তমানের ছেলেটি ওই এলাকার ইউপি সদস্য জুবায়ের খানের হেফাজতে রয়েছে।”

ওই এলাকার ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য যুবায়ের খান জানান, “তার এলাকার কয়েকজন জেলে আগুনমুখা নদীতে মাছ ধরা অবস্থায় একটি ছেলেকে লঞ্চ থেকে পড়ে যেতে দেখে।  জুয়েল মাতুব্বর নামে এক জেলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ২শ মিটার সাঁতরিয়ে ছেলেটিকে উদ্ধার করে নৌকা ও পরে তিনি আসে। উদ্ধারের সময় ছেলেটির হাতে একটি বালতির রশি বাঁধা ছিল। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পরে ছেলেটি বর্তমানে সুস্থ রয়েছে। শেষ বিকেলে পানপট্টি তীরে ফেরার পরে ছেলেটি জানায় সে গোসলের সময় লঞ্চ থেকে পড়ে যায়। বর্তমানে সে আমাদের হেফাজতে রয়েছে।”

গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শওকত আনোয়াট ইসলাম নদীতে পড়ে যাওয়া শিশুটি উদ্ধারের খবর নিশ্চিত করে জনবাণীকে জানান, “স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান তাকে বিষয়টি অবহিত করেন এবং শিশুটি বর্তমানে ওই এলাকার ইউপি সদস্যের হেফাজতে রয়েছে। শিশু শ্রমিক পড়ে যাওয়ার পরও লঞ্চটি কেন চালিয়ে গেল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। ”

এসএ/