২০ বছরেও সংস্কার হয়নি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর
উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩:১১ পিএম, ৪ঠা সেপ্টেম্বর ২০২৫

দীর্ঘ ২০ বছরেও সংস্কার হয়নি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য দেওয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর। নিজেদের অর্থায়নে কম্বলের ছাউনি দিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে ১৬টি পরিবার, দেখার কেউ নেই।
এমন দৃশ্য দেখা দিয়েছে, ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার গামারীতলা ইউনিয়ন মন্দিরকোনা গ্রামে স্থাপিত আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলোতে। প্রায় আড়াই একর ভূমির উপর ৪০টি ঘর নির্মাণ করে আশ্রয়ণ প্রকল্পটি স্থাপিত হয় ২০০৫ সালে। এরপর থেকে দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও সংস্কারের জন্য কোনো প্রকার উদ্যোগ নেয়া হয়নি।
সরেজমিনে দেখা যায়, বহু আগেই ব্যবহারের জন্য অনুপযোগী হয়েছে ঘরগুলো। টিনের পাতায় মরিচা ধরে ঝরে পড়ছে প্রতিটি পাতা। ঘরের মেঝেতে বৃষ্টির পানি পরে কাঁদায় মাখামাখি অবস্থায় অপরিচ্ছন্ন নোংরা পরিবেশে বসবাস করছে দরিদ্র পরিবারের মানুষজন।
এছাড়াও বর্ষা মৌসুমে রান্না করতে গিয়ে দেখে চুলায় বৃষ্টির পানি। ঘুমাতে গেলে বিছানায় পানি। কেউ কেউ ছাউনিতে বাঁশ, কাঠ ও কম্বল ব্যবহার করে পানি পড়া ঠেকানোর চেষ্টা করলেও ধমকা হাওয়ায় তা উড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা জানায় ভুক্তভোগীরা। এছাড়াও বিশুদ্ধ পানির জন্য নেই পর্যাপ্ত সাবমার্সেবল। টয়লেটগুলোও রয়েছে অকেজো।
আরও পড়ুন: ঋণের চাপে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিলেন শিক্ষক
বসবাসকারী মর্জিনা খাতুন ও সুচিত্রা সাংমা জানান, এসব সমস্যার কথা উল্লেখ করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বরাবর একাধিক লিখিত অভিযোগ দিলেও কোনো সমাধান হয়নি।
নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী সংস্কার করে দিনাতিপাত করছে গারো-মুসলিম ১৬টি পরিবার। বাকি ২৪টি ঘর ভেঙে অস্তিত্বহীন। আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল থাকায় ঘরগুলো ছাড়তেও পারছেনা তারা। জরাজীর্ণ ঘরগুলো সংস্কারের মাধ্যমে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বাঁচাতে চায় সমাজের নিম্নবিত্ত পরিবারগুলো।
স্থানীয় চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন খাঁন বলেন, আশ্রয়ণের ঘরগুলো সংস্কার বিষয়ে মাসিক সমন্বয় মিটিংয়ে উত্থাপনসহ বারবার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও বসবাসকারীদের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন ঘটানো সম্ভব হয়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উজ্জ্বল হোসেন বলেন, সামনে সরকারি বরাদ্দ আসলে সংস্কারের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
এসএ/