চবির মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


চবির মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি দীর্ঘ তিন বছর পর ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। এর পরপরই অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যাম্পাস অবরোধের ডাক দিয়েছেন পদবঞ্চিত ও সুষ্ঠু কমিটির দাবিতে আন্দোলনরত নেতাকর্মীরা।

রবিবার (৩১ জুলাই)  মধ্যরাতে কমিটি ঘোষণার পর শুরু হওয়া অবরোধ সোমবার সকালে প্রতিবেদন লেখা পর্যন্তও চলছে।

বিক্ষোভকারীরা বলেন, অছাত্র এবং পদবাণিজ্যে ভরপুর এই কমিটি। অনুপ্রবেশকারী আর স্বজনপ্রীতি যেখানে সবচেয়ে বেশি হয়েছে। আমরা চাই ঐতিহ্যের সংগঠন এভাবে যেন কারও একক স্বার্থে ব্যবহার না হয়। যতক্ষণ পর্যন্ত এ দাবি আদায় না হবে, এ অবরোধ চলবে।

১। তারা তিন দাবিতে অবরোধের ডাক দিয়েছেন বলেও জানা গেছে। দাবিগুলো হলো- 
২। ইয়াবা ব্যবসায়ী ইলিয়াসকে বহিষ্কার করতে হবে। 
৩। কমিটি বর্ধিত করে পদবঞ্চিত নেতা-কর্মীদের তাতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে এবং বিবাহিত, অছাত্র অন্যান্য দল থেকে অনুপ্রবেশকারীদের বহিষ্কার করতে হবে। 

না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য এ অবরোধ চলবে বলেও জানান বিক্ষোভকারীরা।

চবি শাখা ছাত্রলীগের বিজয় গ্রুপ ঘোষিত পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে সন্তুষ্ট না হয়ে সোহরাওয়ার্দী হলের বিভিন্ন কক্ষ ভাঙচুর করে, পদপ্রাপ্ত সাহিল কবির নামে একজন নেতাকে মারধর করে। পরে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঠানো হয়। এছাড়া বিজয় গ্রুপের নেতা ইলিয়াসের কক্ষ ভাঙচুর করে পদবঞ্চিতরা।

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের স্বাক্ষর  করা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ৩৭৬ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। ৩৭৬ সদস্যের কমিটিতে সহসভাপতি পদে ৬৯ জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে ১১ জন ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ১১ জনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।

এ কমিটি ঘোষণার পর কমিটি পুনর্গঠনের দাবিতে অবরোধের ডাক দিয়েছে একাংশের নেতা-কর্মীরা। কমিটি ঘোষণার পর রাতেই ক্যাম্পাসের সোহরাওয়ার্দী হল মোড়ে বিক্ষোভ শুরু করে শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রুপ বিজয় এর পদবঞ্চিত নেতা-কর্মীরা।

পূর্ণাঙ্গ এই কমিটি অবৈধ দাবি করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা প্রধান ফটক আটকে দেওয়ায় ক্যাম্পাস থেকে ছেড়ে যায়নি কোনো শিক্ষক বাস ও শাটল ট্রেন।

এবিষয়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে সহসভাপতি পদ পাওয়া বিজয় গ্রুপের নেতা নজরুল ইসলাম সবুজ জনবাণীকে বলেন, ‘ত্যাগী, পরিশ্রমী ও যোগ্য ছেলেরা কমিটি থেকে বাদ পড়েছে। তারা তাদের মূল্যায়নের দাবিতে অবরোধের ডাক দিয়েছে।’

বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মহিউদ্দিন সুমন জনবাণীকে বলেন, ‘কর্মীরা পদবঞ্চিত হয়ে ছাত্রলীগ নেতা ইলিয়াসের বহিষ্কারের দাবিতে আন্দোলন করছে। আমরা এখনও অবস্থান করছি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. শহীদুল ইসলাম বলেন, “ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মূল ফটক আটকে বিক্ষোভ মিছিল করছে। যার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোনো বাস শহরে যেতে পারেনি। এমনকি শাটল ট্রেনও অবরোধ করা হয়েছে। যার কারণে কেউই ক্লাস করতে বা করাতে আসতে পারেনি।”

এসএ/