ভরসা বাঁশের সাঁকো, জনপ্রতিনিধিদের ওপর ক্ষুদ্ধ এলাকাবাসি


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


ভরসা বাঁশের সাঁকো, জনপ্রতিনিধিদের ওপর ক্ষুদ্ধ এলাকাবাসি

বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যাচ্ছিলাম বৌভাতের দাওয়াত খেতে, সামনে সেই বাঁশের সাঁকো। সাঁকোর মাঝ পর্যন্ত গিয়েছিলাম ভালোই হঠাৎ পা পিছলে পড়ে ভেঙেছিল পায়ের হাড়খানা। আজ প্রায় দেড় বছর হতে চললো এখনো ভালো হয়নি আমার পা। অনেক ডাক্তার দেখাইছি তবুও অসহ্য ব্যাথা। অমাবস্যা-পূর্ণিমা আসলে আরো বাড়ে ব্যাথা। বুড়া বয়সে এমন দূর্ঘটনা আল্লাহ কাউরে না দেক। অশ্রুসিক্ত নয়নে জনবাণীর প্রতিনিধির নিকট এমটাই বর্ণনা করছিলেন ধনপতিখোলা গ্রামের সাজিয়া বেগম(৫১) নামের এক মহিলা।

কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার ৭ নং বাঙ্গরা পশ্চিম ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত ধনপতিখোলা গ্রামে একটি সেতুর অভাবে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে কয়েকশত পরিবার। দীর্ঘ সময়ধরে এপার থেকে ওপারে যেতে হলে পাড়ি দিতে হচ্ছে ভয়ানক বাঁশের সাঁকো। এলাকাবাসীর জোর দাবির পরেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছেনা, ফলে আজও অবহেলিত ঐ এলাকার মানুষ। সেতুর দাবি করতে-করতে অনেকে বয়সের ভারে পরলোকগমন করেছেন, যারা জীবিত তারাও মৃত্যু পথযাত্রী। রয়েছে একটি শেষ আশা, মৃত্যুর পূর্বে সেতুটির বাস্তবায়ন দেখে যাওয়া।

দুধ শাহের মাজার ধনপতিখোলা ও লাডুম শাহের মাজার কালারাইয়া রয়েছে মানুষের ভ্রমণ তালিকার শীর্ষে। কিন্তু ভয়ানক সাঁকো পাড়ি দিয়ে যেতে হওয়ায় অনেকেই দর্শন করতে পারেনা ঐ মাজার সমূহ। অনেকে সাঁকো থেকে পড়ে হাত-পা ভেঙে গুরুতর অবস্থা। চলাচলের অসুবিধার জন্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তারা।

স্থানীয়রা জনবাণীকে বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে এই সেতুর জন্য বিভিন্ন সময়ে আবেদন করে আসছি। সাঁকো পেরিয়ে ছেলে-মেয়েদের স্কুল-কলেজে যেতে অসুবিধা হয়। যোগাযোগের ভালো ব্যবস্থা না থাকায় ভালো পরিবারে ছেলে-মেয়েদের বিয়ে দেওয়া যায়না। এখানে আজ পর্যন্ত বহুবার গ্রামবাসী আশ্বাস পেয়ছে সেতু হবে কিন্তু আশ্বাসগুলো নিছকই সান্ত¦না মাত্র। যদি সেতু হয় তাহলে আমাদের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ লাঘব হবে।’

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হাজী বাহার খান জনবাণীকে বলেন, “এখানে একটি সেতু স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের দাবী। আমিও চাই একটি সেতু হোক যাতে মানুষজনের যাতায়াতের সুবিধা হয়। সেতুটির অভাবে স্থানীয় কয়েক গ্রামের মানুষের ভোগান্তি চরম পর্যায়ে।”

এসএ/