অর্ধেকেরও বেশি কমে এসেছে কাঁচা মরিচের দাম


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


অর্ধেকেরও বেশি কমে এসেছে কাঁচা মরিচের দাম

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে ভারতীয় কাঁচা মরিচের আদমানি বেড়ে যাওয়ায় অর্ধেকে নেমে এসেছে কাঁচা মরিচের দাম। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারি বাজারে প্রতি কেজিতে কাঁচা মরিচের দাম কমেছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা।  

বর্তমানে ভারত থেকে আমদানিকৃত কাঁচা মরিচ ফুলবাড়ী পৌরসভার পাইকারি বাজারে প্রতিকেজি প্রকারভেদে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অথচ গত এক সপ্তাহ আগে পাইকারি বাজারে একই কাঁচামরিচের দাম ছিল প্রতিকেজি প্রকারভেদে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা।

এদিকে কাঁচামরিচের দাম কমে আসায় স্বস্তি ফিরে এসেছে নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর ক্রেতাদের মাঝে। তবে ভারত থেকে কাঁচামরিচের আমদানি স্বাভাবিক থাকলে মরিচের দাম আরো কমে আসবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় পাইকারি ব্যবসায়িরা। 

অপরদিকে গত এক সপ্তাহ আগে খুচরা বাজারে কাঁচা মরিচ প্রকারভেদে প্রতি কেজি ৩২৫ থেকে ৩৩০ টাকা দরে বিক্রি হলেও বর্তমান বাজারে একই মরিচ বিক্রি হচ্ছে প্রকারভেদে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজিদরে।  

ফুলবাড়ী পৌরসভার খুচরা সবজি বাজারে কাঁচা মরিচ কিনতে আসা শাহীন ইসলাম বলেন, বাজারে সবকিছু নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এরমধ্যে ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি হওয়ায় মরিচের দাম কিছুটা কমেছে। 
 
দেশের কৃষকরা কাঁচামরিচ উৎপাদন করে থাকেন। যখন ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানি বন্ধ হয়ে যায়, তখন সিন্ডিকেট করে দেশি কাঁচা মরিচের দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এতে সাধরণ ভোক্তাদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। ভারত থেকে কাঁচামারিচের আমদানি স্বাভাবিক থাকে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের নজর রাখতে হবে।

ফুলবাড়ী পৌরসভার পাইকারি কাঁচা মরিচ ব্যবসায়ি হামিদুল ইসলাম বলেন, ভারত থেকে হিলি হয়ে কাঁচা মরিচ ব্যাপকহারে আমদানির ফলে দাম অর্ধেকে নেমে এসেছে। পাইকারি বাজারে প্রকারভেদে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজিদরে। অথচ গত এক সপ্তাহ আগেও একই মরিচের দাম প্রকারভেদে পাইকারি বাজারে বিক্রি হয়েছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা কেজিদরে। তবে দেশি কাঁচামরিচ বাজারে নেই। কারণ দেশি কাঁচামরিচের দাম বেশি। ভোক্তারা বেশি দামে দেশি কাঁচামরিচ কিনতে চান না। এ কারণে ভাতের কাঁচামরিচের দাম কম হওয়ায় ভোক্তারদের কাছে কদর বেশি। 

ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রিয়াজ উদ্দিন বলেন, কাঁচামরিচের দাম কমে এসেছে, এটি একটি সুখবর। তবে কেউ যেন অযৌক্তিকভাবে কোন নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে বেচাকেনা করতে না পারে সেদিকে প্রশাসনের নজরদারি রয়েছে। 

হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন বলেন, দেশের বাজারে কাঁচা মরিচের দাম স্বাভাবিক রাখতে ভারত থেকে আমদানি অব্যাহত রয়েছে। ফলে আগামীতে কাঁচামরিচের দাম আরও কমে আসবে। 

হিলি পানামা পোর্ট লিংকের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহারব হোসেন মল্লিক বলেন, ভারত থেকে কাঁচামরিচের আমদানি স্বাভাবিক রয়েছে। বুধবার (১০ আগস্ট) ও বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) এই দুই কর্মদিবসে ৫২ ট্রাকে ১৯৫ মেট্রিক টন কাঁচামরিচ ভারত থেকে এ বন্দরে এসে পৌঁছেছে। এগুলো কাঁচাপণ্য হওয়ায় দ্রুত খালাসের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

আরএক্স/