সংসদে ইসি গঠন বিল পাশ
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
নিজস্ব প্রতিবেদক: নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন বিল জাতীয়
সংসদে পাস হয়েছে।
বৃহস্পতিবার
(২৭ জানুয়ারি) চলমান সংসদের ১৬তম অধিবেশনে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সুপারিশে কিছুটা কাটছাঁট
করে জাতীয় সংসদে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বিলটি বিবেচনার জন্য প্রস্তাব করলে স্পিকার তা
অনুমোদন দেন।
এর
আগে বিরোধী দলীয় কয়েকজন এমপি বিলটি জনমত যাচাই-বাছাইয়ের জন্য কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব
তুললে তা নাকচ হয়ে যায়।
বিলটি
সংসদে পাসের পর রাষ্ট্রপতি তাতে সম্মতি দিলে সেটি আইনে পরিণত হবে। এর পর গেজেট আকারে
প্রকাশ হলেই এই আইনের অধীনেই রাষ্ট্রপতি সার্চ কমিটি গঠন করবেন। সার্চ কমিটির সুপারিশের
পর নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে দেবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
গত
রবিবার বিলটি সংসদে উত্থাপন করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। বুধবার দুটি পরিবর্তনের সুপারিশসহ
প্রতিবেদন সংসদে তোলেন সংসদীয় কমিটির সভাপতি শহীদুজ্জামান সরকার।
সংসদে
উত্থাপিত বিলে সিইসি ও কমিশনারদের যোগ্যতা সংক্রান্ত ৫(গ) ধারায় বলা আছে, সিইসি ও কমিশনার
হতে গেলে, কোনও গুরুত্বপূর্ণ সরকারি, বিচার বিভাগীয়, আধা সরকারি বা বেসরকারি পদে তার
অন্যূন ২০ বছর কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
এই
ধারায় সরকারি, বিচার বিভাগীয়, আধা সরকারি বা বেসরকারি পদের পাশাপাশি ‘স্বায়ত্তশাসিত
ও পেশায়’ যুক্ত করার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।
অর্থাৎ
সিইসি ও নির্বাচন কমিশনার পদে সার্চ কমিটি কাউকে সুপারিশের ক্ষেত্রে এমন কাউকে করতে
হবে, যার কোনও গুরুত্বপূর্ণ সরকারি, বিচার বিভাগীয়, আধা সরকারি বা বেসরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত
পদে বা পেশায় অন্যূন ২০ বছর কাজের অভিজ্ঞতা আছে।
সংসদে
উত্থাপিত বিলে বলা হয়েছে, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগদানের
উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক ইতোপূর্বে গঠিত অনুসন্ধান কমিটির ও তার দ্বার সম্পাদিত
কার্যাবলি এবং উক্ত অনুসন্ধান কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং
নির্বাচন কমিশনারের নিয়োগ বৈধ ছিল বলে গণ্য হবে এবং ওই বিষয়ে কোনও আদালতে কোনও প্রশ্ন
উত্থাপন করা যাবে না।’
উল্লেখ্য,
বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি।
ওআ/