হেফাজত নেতা মামুনুল হক ডিবি কার্যালয়ে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৫৩ অপরাহ্ন, ১৮ই মে ২০২৪

হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হক ঢাকা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে এসেছেন। তবে তিনি কী কারণে ডিবি কার্যালয়ে এসেছেন তা এখনো জানা যায়নি।
শনিবার (১৮ মে) নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিবির এক কর্মকর্তা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হক শনিবার (১৮ মে) বিকেলে ডিবি কার্যালয়ে এসেছেন। এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য কিছুক্ষণ পরই জানানো হবে।
আরও পড়ুন: কানাডা ও জাপান সফরে গণপূর্তমন্ত্রী
তবে ডিবির একটি দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের সাথে সাক্ষাৎ করতেই ডিবি কার্যালয়ে এসেছেন মামুনুল হক। সাক্ষাতে কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে সেটাও এখনো জানা যায়নি।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সাথে মাওলানা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। দ্রুত খবর পেয়ে হেফাজতের স্থানীয় নেতাকর্মীরা রিসোর্টে গিয়ে ভাঙচুর করে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। ঘটনার পর থেকে ঢাকার মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় অবস্থান করেন হেফাজতের শীর্ষ এই নেতা।
আরও পড়ুন: দেশে স্বাধীনতাবিরোধীদের পদচিহ্নও থাকবে না: রাষ্ট্রপতি
১৫ দিন পর ১৮ এপ্রিল ওই মাদ্রাসা থেকে মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় তার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন তার সাথে রিসোর্টে অবরুদ্ধ হওয়া ওই নারী। যদিও ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন মাওলানা মামুনুল হক। এরপর ওই মাসেই দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহসহ অর্ধশতাধিক মামলা করা হয়। পরবর্তীতে সেসব মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ। গ্রেফতারের পর থেকে এসব মামলায় কারাগারে ছিলেন তিনি। শুক্রবার (৩ মে) সকালে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান মা্ওলানা মামুনুল হক।
এমএল/
বিজ্ঞাপন
পাঠকপ্রিয়
আরও পড়ুন

রপ্তানি সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে ন্যাশনাল হালাল ল্যাবরেটরি হবে মাইলফলক: শিল্প উপদেষ্টা

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে শেখ মইনউদ্দিন

নারী ও শিশুদের জন্য নিরাপদ দেশ গড়তে একসঙ্গে কাজ করতে হবে: ফরিদা আখতার

অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদকালেই জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার: আইন উপদেষ্টা
