পুলিশি হয়রানি কমেছে, বেড়েছে সেবার মান


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


পুলিশি হয়রানি কমেছে, বেড়েছে সেবার মান

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম শাহাদত হোসেন থানায় যোগদানের পরই পাল্টে গেছে উপজেলার চিত্র। পুলিশ শাসক নয়, শোষক নয়; পুলিশ জনগণের সেবক। এই মন্ত্রে উজ্জীবিত এখন পুরো থানা পুলিশের সকল সদস্য। ফলে সাধারণ মানুষের ভয় কেটেছে পুলিশের প্রতি। সেবা প্রাপ্তির লক্ষে পুলিশের দ্বারস্থ হচ্ছে এখন মানুষ।

এতে পুলিশি হয়রানি থেকে সাধারণ মানুষের অনেকটাই মুক্তি মিলেছে। শুধু তাই নয়, কটিয়াদীর সড়কগুলো দুর্ঘটনা ও যানজট মুক্ত রাখার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। তাঁর দক্ষ তদারকিতে পেশাদারিত্ব আসে মাঠ পর্যায়ের সদস্যদের মাঝে।

জানা গেছে, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারির ২ তারিখে কটিয়াদী মডেল থানায় যোগদানের পর হ্রাস পেয়েছে পুলিশ কর্তৃক মানুষের হয়রানি। ন্যায় বিচারের মূলে পুলিশের নিরপেক্ষতা এবং সততা। সকল দিক বিবেচনায় রেখেই সাহসী কিছু উদ্যোগ নেন ওসি এস এম শাহাদত হোসেন। সকল শক্তি-অপশক্তিকে উপেক্ষা করে মেধা, যোগ্যতা ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে উপজেলার সাধারণ মানুষদের নিরাপত্তা দিয়ে যাচ্ছেন।

ইতিমধ্যে উপজেলার সকল শ্রেণির মানুষের মন জয় করে নিয়েছেন এই পুলিশ অফিসার। কটিয়াদী থানার সকল এলাকার যুবসমাজ যখন মাদকের ছোবলে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে তখন মাদকের বিরুদ্ধে রীতিমতো যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন তিনি। ওসি এসএম শাহদতের দূর-দর্শিতার ফলে প্রায়ই উদ্ধার হচ্ছে বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য। আটক হচ্ছে মাদক ব্যবসায়ী-পাচারকারী এবং মাদকসেবীও।

সেবাপ্রার্থিরা জানায়, অফিস কক্ষে নিয়মিত সাধারণ মানুষের অভিযোগ শুনে থাকেন ওসি শাহাদত। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ায় অপরাধীদের উৎসাহে অনেকটাই ভাটা পড়েছে এখন। তাঁর এ উদ্যোগ পুলিশের হারানো ভাবমূর্তি যেমন ফিরে আসছে, তেমনি মানুষের জীবনেও সুখের সুবাতাস বইবে। সবকিছু মিলিয়ে এ থানায় যোগদানের পর থেকে তিনি সাধারণ মানুষের কাছে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন পুলিশ শোষক নয়, জনগণের বন্ধু।

কটিয়াদীর ওসি এস. এম শাহাদত হোসেন বলেন, ‘কিশোরগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদ এমপি স্যারের নির্দেশনা ও সহযোগিতায় মাদক, কিশোর গ্যাং, জুয়া, ইভটিজিং ও সামাজিক অপরাধ দমনে চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করেছি। ইতোমধ্যে থানার সকল চিত্র বদলে গেছে। যেকোনো ব্যক্তি বিনা পয়সা সেবা পাচ্ছেন। আমরা প্রত্যাশা করি, অন্যান্য থানাও আমাদেরকে অনুসরণ করতে পারে।

তিনি আরও বলেন, এলাকার সাধারণ মানুষ নির্ভয়ে থানায় এসে সেবা নিচ্ছেন। সেবা প্রাপ্তির লক্ষে পুলিশের (আমাদের) সরাসরি দ্বারস্থ হচ্ছে মানুষ। এতে পুলিশি হয়রানি থেকে সাধারণ মানুষের অনেকটাই মুক্তি মিলছে বলে মনে করেন তিনি।

আরএইচ/