ড্রেন নির্মাণে ধীরগতি, ভোগান্তিতে চরমে


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


ড্রেন নির্মাণে ধীরগতি, ভোগান্তিতে চরমে

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ কাঁচা বাজারের প্রায় এক কিলোমিটার সড়ক রয়েছে বেহাল দশায়। ফলে দীর্ঘসময় ধরে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বাজারের ব্যবসায়ী ও আগত ক্রেতাদের। ইতমধ্যে ড্রেন নির্মাণের নামে দীর্ঘদিন ধরে সড়ক খুঁড়ে রাখায় ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। 

স্থানীয়দের অভিযোগ, তিন মাস পূর্বে মাটি খুঁড়ে রাখার পরেও নেই কাজের অগ্রগতি। অন্যদিকে কর্তৃপক্ষ বলছে, দ্রুতই ড্রেনটির কাজ শেষ করা হবে। এ নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে ক্ষোভ চরম বিরাজ করছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, মুরাদনগর-কোম্পানীগঞ্জ সড়ক থেকে গোমতি নদী বেড়িবাঁধ পর্যন্ত ড্রেন নির্মাণের জন্য সড়ক খুঁড়ে রাখা হয়েছে বেশ আগে। কাজ করতে গিয়ে বাজারের দুই পাশের গলির মাঝ বরাবর মাটি খুঁড়ে সড়কের উপর ফেলে রাখা হয়েছে। এতে সড়ক দিয়ে ঠেলাগাড়িসহ কোনো ধরনের যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। তাই ক্রেতা-বিক্রেতাদের প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে ড্রেনের ওপর দিয়ে পারাপার হতে হয়।

উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয় থেকে জানা গেছে, গত ৬ এপ্রিল, ৩৬ লক্ষ ৪৬ হাজার ৬০৫ টাকা ব্যয়ে ২১৮ মিটার ড্রেন নির্মাণের কাজ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স নাজমুল হাছান এন্টারপ্রাইজ। পরবর্তীতে ঠিকাদার হিসেবে কাজটি নিয়ে নেয় বাজারের বণিক সমিতির আহবায়ক চন্দন বণিক। দুঃখের বিষয় হলো ড্রেন নির্মাণের নির্ধারিত সময় পার হওয়ায় সময় বাড়িয়ে ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করা হলেও গতকাল ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সমাপ্তি ঘটেনি ড্রেন নির্মাণ।

ব্যবসায়ী রাসেল জনবাণীকে বলেন, এ বাজারে স্বাভাবিক ভাবেই ক্রেতারা বিভিন্ন এলাকা থেকে আসে তাই জনসমাগম অন্য বাজার থেকে বেশি হয়। রোজার ঈদের আগে ড্রেনটির নির্মাণকাজ আরম্ভ করেছিল কর্তৃপক্ষ। যার কারণে দুই ঈদেও আশানুরূপ ক্রেতা মেলেনি আমাদের। ফলে ব্যবসায় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি। তিন মাস পার হলেও এই মুহূর্তেও ধীরগতিতে কাজ চলায় ভোগান্তির পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন আমার মতোন অন্যসব ব্যবসায়ীরা। শুধু চাই দ্রুত যেন এই ড্রেনের নির্মাণ কাজ শেষ হয়।

বাজার বণিক সমিতির আহ্বায়ক চন্দন বণিক জনবাণীকে বলেন, বাজারের নানা সমস্যার কারণে মূল কন্ট্রাক্টর পালিয়ে গেছে বহু আগে। এই কারণে বাজারের উন্নয়নের কথা ভেবে আমাকেই কাজটি করতে হচ্ছে। রাতের বেলায় কাজ করার কারণে আলো সল্পতা সহ নানান জটিলতায় কাজটি দ্রুত করা সম্ভব হচ্ছে না। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স নাজমুল হাছানের স্বত্বাধিকারী নাজমুল হাছান জানিয়েছেন, কাজটি আমি বণিক সমিতির আহ্বায়ক চন্দন বণিককে দিয়ে দিয়েছি।

উপজেলা প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর কবির জনবাণীকে বলেন, কাজের সময় ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা পরিচালনা করায় ড্রেন নির্মাণে দেরি হচ্ছে। ড্রেনের নিচের বেইস ঢালাইয়ের কাজটি শেষ হলেই, দ্রুত নির্মাণকাজ শেষ হবে।

আরএইচ/