অসময়ের বৃষ্টিতে শীতকালীন সবজি উৎপাদনের ব্যাপক ক্ষতি


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


অসময়ের বৃষ্টিতে শীতকালীন সবজি উৎপাদনের ব্যাপক ক্ষতি

চট্টগ্রামের চন্দনাইশ, আনোয়ারা, বাঁশখালী, সাতকানিয়াসহ চার উপজেলার সাঙ্গুর মোহনা তীর। এই তীরবর্তী চর এলাকাটি উপজেলার সবজির প্রাণ কেন্দ্র ফকিরার চর নামে পরিচিত। ফকির হাটের মিয়া হাজী দৌলতের মাজার সংলগ্ন বিস্তৃত মাঠজুড়ে কৃষকরা উৎপাদন করে  নানা ধরনের সবজি।

তবে এবার সবজি রোপনের মৌসুমে ভারতের ওডিশা এলাকায় আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় ইয়াশের প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায়। হয় লাগাতার দুই দিন বৃষ্টি। শীতকালীন সবজি উৎপাদনের মৌসুমে অসময়ের এই বৃষ্টি স্বপ্ন ভঙ্গ করে দিয়েছে  সবজির এই প্রাণ কেন্দ্র ফকিরার চরের শত শত  কৃষকদের।

উপজেলা কৃষি অধিদফতর জানায়, আনোয়ারায় শীতকালীন মৌসুমি সবজির সিংহভাগ চাহিদা পূরণ করে সাঙ্গুর তীরবর্তী এই ফকিরার চরের সবজি। এখানে শিম, আলো, মরিচ থেকে শুরু করে অধিকাংশ সবজি উৎপাদন করে থাকে কৃষকরা। বিশেষ করে এখানকার সবজির মধ্যে লাউ, বড় শিম, মুলা, বেগুন আর মৌসুমি দেশী লাল  মরিচ চাহিদা মিঠিয়ে রপ্তানি হয় শহরে। এখানকার লাল মরিচের চাহিদা চট্টগ্রামজুড়ে।

ইয়াশের প্রভাবে দুইদিন লাগাতার  বৃষ্টি কেড়ে নিয়েছে কৃষকের সব স্বপ্ন । বৃষ্টির  ফলে এই চর এলাকার অধিকাংশ শীতকালীন সবজি ডুবে গিয়েছিল পানির নীচে। নষ্ট হয়ে গিয়েছিল সদ্য রোপন করা অধিকাংশ সবজির বীজ। ফকিরার চর জুড়ে এখন শুধু শুধু কৃষকের হাহাকার।

কৃষকরা জানায়, বৃষ্টি পরবর্তী সময়ে মরিচ ও শিম বিচিসহ কিছু কিছু সবজি পূনরায় রোপন করার সুযোগ হলেও আলো, সিম, বাদাম, শালগম, ফুলকপি, বাঁধাকপি ও বেগুন আর নতুন করে রোপন করা সম্ভব হয়নি। এছাড়াও মৌসুমি শীতের সবজি রোপন করেও ফসল উৎপাদন করতে না পারায়  স্বপ্ন ভঙ্গ হয়ে গেছে অনেক কৃষকের।

ফকিরার চরের কৃষক নুরুল আমিন জানান, আমি এবার চার খানি জমি শীতকালীন সবজির চাষাবাদ করেছিলাম। রোপনের পরই বৃষ্টির কারণে অধিকাংশ মৌসুমি সবজি নষ্ট হয়ে গেছে। বৃষ্টির পর মরিচ আবার রোপন করলেও বাকী সবজি রোপন করা সম্ভব হয়নি। এছাড়াও এখন যা সবজি আছে তা রোগবালাই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কীটনাশক ব্যবহার করেও কাজ হচ্ছে না। যার ফলে আমরা কৃষকরা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি।

আনোয়ারা কৃষি অফিসার রমজান আলী জনবাণী বলেন, অসময়ে বৃষ্টি হওয়াই শীতকালীন সবজিতে যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার রিপোর্ট আমরা ডিপার্টমেন্টে পাঠাইছি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখে আগামী বছর কৃষকদের মাঝে প্রণোদনার ব্যবস্থা করা হবে। এই ক্ষয়ক্ষতির প্রভাব সবজির  বাজারেও পড়তেছে বলেও জানান তিনি।

এসএ/