অন্ধকারে ডুবে আছে ১০ হাজার গ্রামবাসী


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


অন্ধকারে ডুবে আছে ১০ হাজার গ্রামবাসী

বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে প্রায় ১০ হাজার মানুষ ৮০ দিন ধরে রাতের অন্ধকারে ডুবে আছে পাবনার বেড়া উপজেলার হাটুরিয়া-নাকালিয়া ও কৈটোলা ইউনিয়নের চরাঞ্চলে। সূর্যাস্তরে পর নিরব নিস্তব্ধ হয়ে পড়ে কর্মব্যস্ত চরাঞ্চল। বিদ্যুৎ না থাকায় গৃহীনিদের ঘরের কাজ,বাঁশ, শোন দিয়ে গৃহস্থলী কাজে ব্যবহৃত সামগ্রী তৈরি কারিগরসহ বিঘ্নিত হচ্ছে পড়ুয়াদের লেখাপড়া। 

উপজেলার চরাঞ্চলের মধ্যে চরপাইখন্দ, চর সাঁড়াশিয়া, চর নাকালিয়া, চর ঘিউর, চর বেঙালিয়া ও চর সাফুল্লা এই ছয়টি গ্রামে প্রায় ৮০ দিন ধরে বিদ্যুৎ নেই। যার কারণে এসব গ্রাম গুলোর মানুষ জন চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। চর সাঁড়াশিয়া গ্রামের আ. সাত্তার বেপারী, বেঙালিয়া গ্রামের হযয়ত আলী, ঘিউর গ্রামের রিয়াজ মোল্লা, ইলিয়াস মোল্লা, চর নাকালিয়া গ্রামের আ. আজিজ মোল্লা, চর সাফুল্লা গ্রামের নূরুল দর্জি, চর পাইখন্দ গ্রামের শুকুর আলী সহ স্থানীয়রা জানান, সাম্প্রতি বন্যা ও যমুনা নদীর প্রচন্ড ভাঙনের কারণে এসব এলাকার বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনের নদীর পূর্বপাড় চরে ফোর পোল স্ট্রাকচারসহ বেশ কিছু খুঁটি নদীতে পড়ে যাওয়ায় সাবমেরিন ক্যাবল লাইনের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়।  জুনের শেষের দিক থেকে এ পর্যন্ত ওই ছয়টি গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ সম্পূর্ণ বিছিন্ন হয়ে রয়েছে। 

গ্রাম বাসীরা জানান, এ বিষয়ে পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২, জেলা প্রসাশক পাবনা, বেড়া উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ও জন প্রতিনিধি ডেপুটি স্পীকার এ্যাড.শামসুল হক টুকু এমপি কে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। অদ্যবধি বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়নি বা কত দ্রুত পুনরায় বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হবে এ বিষয়ে কোন রুপ তথ্য ভুক্তভোগীদের জনান হয়নি। 

চরাঞ্চলের প্রায় ১০ হাজার মানুষ দীর্ঘ দিন বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকার বিষয়ে পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর জিএম মো. মজিবুল হকের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, গত জুন মাসে ওই এলাকায় স্থাপিত ফোর পোল স্ট্রাকচার যমুনা নদীর ভাঙ্গনে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। চিহিৃত করার জন্য পোলের সাথে ড্রাম বেধে দিয়েও ক্যাবল খুজে পাওয়া যাচ্ছেনা। নদী ভাঙনের কারণে ওই সব গ্রামে ১৭ টি বিদ্যুৎতের খুটি নদীতে পড়ে যায়। শুষ্ক মৌসুম ছাড়া কোন ভাবেই সাবমেরিন ক্যাবল নদীর তলদেশ থেকে উদ্ধার করা সম্ভব নয়। যমুনার পানি হ্রাস পাওয়ার পর অত্যাধুনিক মেশিন ব্যবহার করে ক্যাবল উদ্ধার করে সঙ্গে আরও ৮ কি.মি.অতিরিক্ত ক্যাবল সংযোগ ও ফোর পোল ট্রাকচার স্থাপন করে উক্ত গ্রাম গুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। 

চরাঞ্চলে আমাদের প্রায় চৌদ্দ হাজার গ্রাহক রয়েছে এর মধ্যে ছয়টি গ্রামের চারশ’ গ্রাহক প্রায় ৮০ দিন ধরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে। আমরা চেষ্টা করব যত দ্রুত সময়ের ভেতরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন গ্রাম গুলোর কয়েক হাজার মানুষকে রাতের অন্ধকার দুর করে বিদ্যুৎতের আলো পূর্বের ন্যায় ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে পারি।

আরএইচ/