গোপালগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধার সংবাদ সম্মেলন


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


গোপালগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধার সংবাদ সম্মেলন

পুলিশ সন্তানের মিশনের টাকা নিজের সারাজীবনের সঞ্চিত অর্থ ও  ব্যাংক ঋন নিয়ে কিনেছিলেন সোয়া ৮ শতক জমি। ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে কোন সমস্যা না থাকলেও সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে ভূমিদস্যু ও চাঁদাবাজদের। 

গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার গিমাডাঙ্গা গ্রামের লেবু মোল্লার ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন (দুলাল মোল্লা) এ জমি কিনে ভোগান্তিতে পড়েছেন । 

জানাযায়, রাজধানীর জোয়ার সাহারা মৌজার ক্যান্টনমেন্ট থানার মানিকদী মাটিকাটা এলাকায় ৫ কাঠা ডোবা জমি ক্রয় করে ভোগ দখল করে আসছিলো। কিন্তু ওই জমির মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় স্থানীয় দালালচক্র, ভূমিদস্যু ও চাঁদাবাজরা  নিজের জমিতে গেলে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন ওই মুক্তিযোদ্ধাকে।

এদিকে আজ শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) জেলা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন এসব কথা বলেন। 

তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, ৫ কাঠা ডোবা জমি ৪৫ লক্ষ টাকা দিয়ে জাবেদ আলী মিয়াজীর কাছ থেকে ক্রয় করি।  জমিটি আমার নিজের নামে নামজারী হয় ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১। সম্পূর্ণ বৈধ ও আইনি প্রক্রিয়ায় জমিটি ক্রয় করে দখলে যেতে পারছিনা।

আমার কাছে জমির দালাল আসাদ খান ৫০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে, আমি টাকা দিতে অস্বীকার করার দালাল ও তার সাথে জড়িত দৈনিক ভোরের পাতার সাংবাদিক খন্দকার মোজাম্মেল, স্থানীয় ভূমি দস্যুদের দিয়ে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে ও জমিতে যেতে বাঁধা দেয়। 

গত ১১ ই সেপ্টেম্বর ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক ভোরের পাতা পত্রিকায় রিপোর্টার ইউছুফ আলী বাচ্চুর নামে প্রকাশিত আমার ও আমার ছেলের নামে যে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন খবর প্রকাশ করে আমার সম্মানের হানি করছে আমি এর তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

জমিটি বিক্রয় করার জন্য স্থানীয় এক ব্যাক্তির সাথে কথা বলতে গেলে খন্দকার সাংবাদিক মোজাম্মেল হোসেন এসে বলে আমি এই জমির বায়না করেছি, এই জমি আপনি বিক্রয় করতে পারবেন না। তখন আমি তাকে বলি আমি এই জমি সাব কবলা মূলে মালিক। তখন তিনি বলেন আপনি যে টাকায় জমি  কিনেছেন তা খুব সামান্য। এখন এই জমির দাম অনেক বেশি। এখান থেকে আমাকে ও আসাদ খানকে টাকা দিতে হবে, তা না হলে আমি ও আমার সাথে আরো সাংবাদিক আছে সবাইকে নিয়ে জমি বিক্রি করতে বাঁধা দেবো। আমাকে টাকা না দিলে আপনার ও আপনার ছেলের বিরুদ্ধে নিউজ করে জ্বালা দেব। আমাকে ও আমার সাথীদের টাকা না দিলে জমি কি ভাবে বিক্রয় করেন তাও দেখে নেবো। দৈনিক ভোরের পাতার খন্দকার মোজাম্মেল প্রতিনিয়ত আমাকে হুমকি দিতে থাকে। ওই ভূমিদস্যু ও সাংবাদিক মোজাম্মেলের অত্যাচার থেকে রেহাই পেতে  কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।

এ ব্যাপারে আমি গত বছরের ১৬ জানুয়ারি ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি। গত ২৯ আগষ্ট ২০১২ ঢাকা মহানগর হাকিমের আদালতে একটি চাঁদাবাজী মামলা দায়ের করেছি।

জেবি/ আরএইচ/