দুমকিতে ব্যস্ত সময় পার করছে প্রতিমা কারিগররা
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ও উৎসব মুখর ধর্মীয় অনুষ্ঠান শারদীয় দুর্গা পূজা। এই পূজাকে ঘিরে পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার প্রতিটি পূজা মন্ডপে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। দিনরাত নিরলস ভাবে নিপুণ হাতে কাজ করছেন তারা।
ইতিমধ্যে উপজেলার প্রায় সকল মণ্ডপের প্রতিমার মাটির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এখন চুড়ান্ত ও নিক্ষুত ভাবে মাটির প্রলেপ দেয়ার পর রং তুলিতে হরেক রকম সাজে সজ্জিত করবেন বলে জানান, পঙ্কজ পাল নামের এক কারিগর।
তিনি বলেন, প্রতিটি পূজা মণ্ডপে প্রতিমা তৈরিতে ১২ থেকে ১৫ দিন সময় লাগে। মজুরি বাবদ এবছর ৪০ হাজার টাকা পারিশ্রমিক হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন এবং ৪ টি মণ্ডপের কাজ করছেন তিনি।
রাজাখালী সার্বজনীন শ্রী শ্রী দূর্গা মন্দিরের সভাপতি গৌতম হাওলাদার বলেন, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। সৌহার্দ্য ও সম্প্রিতির মাধ্যমেই অত্যন্ত আনন্দ মূখর পরিবেশে আমরা এবছর শারদীয় দুর্গোৎসব পালন করতে চাই।
দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতির কারণে এবছর ব্যয় বেশি হবে বলে জানান এ মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক তপন কুমার হাওলাদার। প্রতিমা তৈরি, রং, ডেকরেশন, আলোকসজ্জা, বাজি বাজনা ও আপ্যায়ন বাবদ প্রায় ৪ লক্ষাধিক টাকা ব্যয় হবে বলে জানান তিনি।
দুমকি উপজেলার নতুন বাজারসহ কেন্দ্রীয় শ্রী শ্রী দূর্গা মন্দিরের পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি পরিতোষ বাবু পলাশ জানান, ইতিমধ্যে তাদের মণ্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ ৭০ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে।
দক্ষিণ মুরাদিয়া নবজাগরণ সার্বজনীন শ্রী শ্রী দূর্গা মন্দিরের সভাপতি সমীর চন্দ্র মিত্র বলেন, বরাবরের চেয়ে এবার আমাদের আয়োজন ভালো, মা দেবী দূর্গার সন্তষ্টির জন্য আপ্রাণ চেষ্টা আমাদের।
এবছর দুমকি উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে ১০টি মন্ডপে সার্বজনীন শ্রী শ্রী দূর্গা পূজা উদযাপিত হচ্ছে।এর মধ্যে মুরাদিয়া ইউনিয়নে ৫টি, শ্রীরামপুর ইউনিয়নে ২টি, আঙ্গারিয়া ইউনিয়নে ২টি ও পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নে ১টি।
এব্যাপারে দুমকি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল ইমরান জানান, আইন শৃঙ্খলা কমিটি ও সুধী সভায় শারদীয় দুর্গাপূজার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যেই পূজা উদযাপন কমিটির সদস্যদের নিয়ে সভা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
জেবি/ আরএইচ/