সাংবাদিকের ওপর হামলা, ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪:৫৫ পূর্বাহ্ন, ১৪ই অক্টোবর ২০২২


সাংবাদিকের ওপর হামলা, ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা
সাংবাদিকদের কর্মবিরতি

গাজীপুরে শ্রীপুর উপজেলার এক ইউনিয়ন পরিষদের  চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে এক সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্যসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে। 


বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর)  দুপুরে ভুক্তভোগী সাংবাদিক মুজাহিদ বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যানসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। বিকেলে শ্রীপুর থানার সামনে চেয়ারম্যান সহ দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিভিন্ন ইলেকট্রিক মিডিয়া ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকদের কর্মবিরতি চলছে।  


এর আগে মঙ্গলবার বরমী ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হন সাংবাদিক মুজাহিদ (২৬)। মো. মোজাহিদ উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের গোদারচালা গ্রামের জর্জ মিয়ার ছেলে। তিনি একটি জাতীয় পত্রিকার গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি।


আসামিরা হলেন, বরমী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. তোফাজ্জল হোসেন (৫০), বরমী ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মো. মারুফ শেখ মোক্তার (৩৫), বরমী ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মো. হারুন অর রশিদ (৪৮) ও মো. সাইফুল ইসলাম।তদন্ত কমিটির উপস্থিতিতে হামলা, শেষ না করেই ফিরলেন উপপরিচালক।


মামলা সূত্রে জানা যায়, বরমী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. তোফাজ্জল হোসেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে আসে গাজীপুর স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক মো. কামরুজ্জামান। এসব বিষয়ের সংবাদ সংগ্রহ করতে যান সাংবাদিক মুজাহিদ। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে কয়েজন মারধর করতে থাকেন সাংবাদিক মুজাহিদকে।


এভাবে তিন দফা মারধরের পর তাঁকে ইউনিয়ন পরিষদের একটি রুমে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। এরপর ৯৯৯ কল পেয়ে পুলিশের একাধিক সদস্য গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাঁকে উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন। 


চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নামমাত্র প্রকল্প দিয়ে অর্ধকোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ, মেম্বারদের অনাস্থা হামলার শিকার গুরুতর আহত সাংবাদিক মোজাহিদ বলেন, ‘চেয়ারম্যানের দুর্নীতি বিষয়ে রিপোর্ট সংগ্রহ করতে বরমী ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে প্রবেশ করি। 


স্থানীয় বাসিন্দাদের অনুমতি নিয়ে ভিডিও বক্তব্য নেওয়ার সময় ইউপি চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন এসে আমার গলা চেপে ধরে। এরপর দুজন ইউপি সদস্য এসে সজোরে মারধর শুরু করে। এভাবে আমাকে তিন দফা মারধর করে ইউনিয়ন পরিষদের একটি কক্ষে আটকে রাখে। মারধরের কারণে আমার চোখ ও কান দিয়ে রক্তক্ষরণ হয়।’ 


শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক তদন্ত আজিজুর ইসলাম বলেন, সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান ও দুজন ইউপি সদস্যসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে কাজ করছে পুলিশ।


আরএক্স/