চোখ ওঠা রোগে আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে
উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২:০৭ পূর্বাহ্ন, ১৬ই অক্টোবর ২০২২
নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে চোখের ছোঁয়াচে রোগ কনজাংটিভাইটিস বা চোখের প্রদাহ যা স্থানীয় ভাবে চোখ ওঠা নামে পরিচিত। গত এক সপ্তাহে এ রোগের প্রকোপ প্রচন্ডভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার শত শত নারী-পুরুষ ও শিশুরা এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। প্রতিনিয়তই এ রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। আক্রান্তের মধ্যে পুরুষ এবং শিশুর সংখ্যাই বেশি।
এদিকে উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন বাজারের চোখের ড্রপের সংকট দেখা দিয়েছে। আক্রান্তেরা চাহিদা মতো ড্রপ না পেয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়ছে । চিকিৎসকরা বলছেন, ভাইরাসজনিত চোখ ওঠা রোগটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। তবে আতঙ্কিত না হয়ে এ রোগে সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি।
জানা গেছে, উপজেলার প্রায় প্রত্যেক গ্রামেই চোখ ওঠা রোগে আক্রান্ত রোগী বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিদিনই সরকারি হাসপাতাল, গ্রাম্য চিকিৎসক ও চক্ষু বিশেষজ্ঞদের কাছে চোখ ওঠা রোগীরা ভিড় করছেন। বাড়ির একজন সদস্য আক্রান্ত হলে পরিবারের প্রায় সব সদস্যই এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। সাধারণত চোখ লাল হওয়া, চোখ দিয়ে পানি পড়া, চোখে ময়লা হওয়া, চোখে ব্যথা অনুভব ও খচখচ করা, রোদে অস্বস্তি লাগা লক্ষণ নিয়ে রোগীরা চিকিৎসকের কাছে যাচ্ছেন। এ রোগে আক্রান্ত শিশুরা ৪-৫ দিনের মধ্যে ভালো হলেও বড়দের ক্ষেত্রে ৮ থেকে ১০ দিন পর্যন্ত সময় লেগে যাচ্ছে।
কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.এবাদুর রহমান ছুটতে থাকায় দায়িত্বপ্রাপ্ত ডাঃ মাহফুজুর রহমান জয় বলেন গত কয়েকদিন আগে চোখ ওঠা রোগীর সংখ্যা কম ছিল। কিন্তু বর্তমানে হাসপাতালে প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। গত এক সপ্তাহে হাসপাতালে প্রায় ৩ শতাধিক রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে পুরুষ এবং শিশু রোগীর সংখ্যাই বেশি।
তিনি বলেন, আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা নেওয়ার পাশাপাশি চোখ পরিষ্কার রাখা এবং সূর্যালোকে কালো রঙের চশমা ব্যবহারের পরামর্শসহ সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হচ্ছে। এছাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বর্তমানে চোখের এন্টিবায়োটিক ড্রপের কোনো সংকট নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আরএক্স/