মেঘনায় পতিত জমির দখল নিয়ে আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ, আহত ৫

কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় পতিত জমির দখলকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার রাধানগর গ্রামে এ সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে মেঘনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। আহতরা হলেন- জামাল মিয়া, রাতুল, তাসলিমা, শহিদ ও জসিম। এদের মধ্যে গুরুতর আহত শহিদ মিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাধানগর গ্রামের একটি সংখ্যালঘু পরিবার তাদের জমি-জায়গা রেখে অন্যত্র চলে যাওয়ায় ওই জমি দীর্ঘদিন ধরে পতিত অবস্থায় পড়ে ছিল। সম্প্রতি বিএনপি নেতা শহিদ মিয়ার সমর্থক জসিম মিয়া সেখানে মাটি ভরাট করে ঘর নির্মাণের চেষ্টা করলে রাধানগর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম মিয়া এতে বাধা দেন। এ সময় জসিম মিয়ার ১২ বছর বয়সী ছেলে রাতুলকে মারধর করা হয়।
ঘটনার বিচার চাইতে গেলে বিএনপি নেতা শহিদ মিয়ার ওপরও হামলা চালানো হয়। অভিযোগ রয়েছে, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম মিয়া, তারেক, নিলয়, রফিক ও রাজিব সংঘবদ্ধভাবে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে শহিদ মিয়ার সমর্থকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে শহিদ মিয়ার পক্ষের পাঁচজন আহত হন।
বিজ্ঞাপন
আহত শহিদ মিয়ার সমর্থক তাসলিমা আক্তার বলেন, আমাদের জায়গার পাশেই হিন্দু সম্প্রদায়ের কিছু জমি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল। সেই জায়গা ভরাট করে আমার দেবর ঘর তুলতে গেলে আওয়ামী লীগ নেতা মোসলেম বাধা দেন এবং আমার দেবরের ছেলে রাতুলকে মারধর করে গুরুতর আহত করেন। পরে আমার স্বামী বিচার চাইতে গেলে তাকেও কুপিয়ে জখম করা হয়।
মেঘনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, মারামারির খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।








