‘ব্রিটেনের জীবনযাত্রায় অর্থনৈতিক মন্দা’
জনবাণী ডেস্ক
প্রকাশ: ০৫:১৯ পূর্বাহ্ন, ১৬ই অক্টোবর ২০২২
রায়হান আহমেদ তপাদার: কোভিড-১৯ মহামারির প্রকোপ শেষ হতে না হতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ডামাডোল আন্তর্জাতিক বাজারের অস্থিতিশীলতাকে দীর্ঘায়িত করছে। কারণ, বিশ্বের অন্যতম খাদ্য জোগানদাতা রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ায় সরবরাহ ব্যবস্থায় মারাত্মক বিঘ্ন ঘটেছে। বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দাম তো বেড়েছেই। বদৌলতে দুনিয়া জুড়ে উচ্চ মূল্যস্ফীতি চলছে। আবার মূল্যস্ফীতির তুলনায় মজুরির হার না বেড়ে বরং কমে যাওয়ায় অনেক দেশেই জনগণের ক্রয়ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। ক্রমবর্ধমান বেকারত্বের চাপ তো আছেই। এর ওপর মার্কিন ডলারের বিপরীতে নিজেদের মুদ্রার বিনিময় হারে ধস নামার পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বা মজুদ ব্যাপক হারে কমে যাওয়ায় আমদানি ব্যয় মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে বহু দেশ।
বৈদেশিক ঋণ লাগামহীনভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে শ্রীলঙ্কার মতো বিশ্বের অনেক দেশের অর্থনীতিতেই এখন টালমাটাল অবস্থা শুরু হয়েছে। এর ওপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ নিতে গিয়ে সরকারগুলো কিছু ভুল করবে, যা তাদের অর্থনীতিতে স্বস্তির পরিবর্তে বিপদ ডেকে আনতে পারে। সব মিলিয়ে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে আরো একটি মন্দা ধেয়ে আসছে বলে মনে করা হচ্ছে। জাপানের আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান নোমুরা বলেছে, আগামী এক বছরের মধ্যে বিশ্বের বড় বড় অর্থনীতি মন্দায় পড়বে। এর আগে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নীতিমালা কঠোর করতে গিয়ে কিছু ভুল করে বসবে, যা কি না সংকট-মন্দা ত্বরান্বিত করতে পারে।
ব্রিটেনের মানুষের সবচেয়ে বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে জ্বালানির মূল্য। বিভিন্ন সংস্থার পূর্বাভাস, আসছে শীতে দেশটির মানুষের পরিবারপ্রতি জ্বালানি ব্যয় ৩ হাজার ৬০০ ডলারে উঠতে পারে। এই পরিস্থিতিতে সে দেশের অনেক মানুষ জ্বালানি দারিদ্র্যের কবলে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন সম্প্রতি এক কলামে জরুরি ভিত্তিতে জ্বালানি বাজেট ঘোষণার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, পরিস্থিতি নির্মম, অনস্বীকার্য বিষয়টি হলো ছয় মাসের মধ্যে যুক্তরাজ্যে দ্বিতীয়বার জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির কারণে দেশের সব পরিবার ধাক্কা খেয়েছে আর তাতে লাখ লাখ মানুষ খাদে পড়ে গেছে। যুক্তরাজ্য ১৯৯৩ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দেখেছিল এবং এটি সম্ভবত ইউরোপীয় ইউনিয়নে অন্তর্ভুক্তি বা মার্গ্রেট থ্যাচারের সংস্কারের ফলাফল বলেই মনে হয়েছিল।
২০০৮ সালে আর্থিক সংকটের ফলে স্পষ্টভাবে উৎপাদনশীলতা হ্রাস পেয়েছিল। তবে অনেক বিশ্লেষক মনে করেন, ২০০৮ সালের অর্থনৈতিক মন্দার আগেই ব্রিটেনের উৎপাদনশীলতা কমে গিয়েছিল। আর এই ২০০৮ সালের আর্থিক মন্দাকেই রাজনীতিবিদরা কাজে লাগান ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার অজুহাত হিসেবে। দেশটি ২০১৬ সালে গণভোটের মাধ্যমে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ব্রিটেনের উৎপাদন হয়তো বিশিষ্টভাবে প্রদর্শিত হয় না, তবে তারা প্রচুর অর্থ আয় করে। ব্রিটেনের জিডিপির ৪ ভাগের ৩ ভাগই আসে আর্থিক পরিষেবা এবং বিমা থেকে। একে আপনি জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতিও বলতে পারেন। নিউইয়র্ক সিটির পরে লন্ডন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম আর্থিক কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি পায়। দিন যত যাচ্ছে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি নিয়ে শঙ্কা তত বাড়ছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই আগস্টে মার্কিন ডলারের বিপরীতে ব্রিটিশ পাউন্ডের দর কমেছে চার দশমিক ছয় শতাংশ, যা মাসিক ভিত্তিতে ২০১৬ সালের পর সর্বোচ্চ।
এদিকে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক পূর্বাভাসে জানিয়েছে, চলতি বছরের শেষের দিকে মন্দায় প্রবেশ করবে যুক্তরাজ্য। প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের আগস্টে শুধু ডলারের ক্ষেত্রেই নয়, ইউরোর বিপরীতেও খারাপ অবস্থানে ছিল ব্রিটিশ পাউন্ড। ইনভেস্টেকের সিনিয়র ইনভেস্টমেন্ট ডিরেক্টর লরা ল্যাম্বি বিবিসিকে বলেন, ‘আমাদের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা বাকি বিশ্বের তুলনায় বিশেষ ভালো দেখাচ্ছে না।’ তিনি বলেন, বাজারে অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে। তা ছাড়া বিনিয়োগ ব্যাংক গোল্ডম্যান শ্যাস সতর্ক করে জানিয়েছে, ২০২৪ সাল পর্যন্ত মন্দার মধ্যে থাকতে পারে যুক্তরাজ্য। অন্যদিকে, করোনা মহামারির পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, কয়েক দশকের মধ্যে তীব্র খরা-তাপপ্রবাহের কারণে ইউরোপ জুড়ে জ্বালানি সংকট দেখা দিয়েছে। এতে একদিকে যেমন মূল্যস্ফীতির হার বাড়ছে, অন্যদিকে কমছে প্রবৃদ্ধি। এমন পরিস্থিতিতে ইউরোপের অর্থনীতির ভবিষৎ নিয়ে বড় অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। বেকায়দায় পড়ছে সরকারগুলো।
ধারণা করা হচ্ছে, চলমান পরিস্থিতির মধ্যেই অঞ্চলটিতে অর্থনৈতিক মন্দা আসন্ন। তবে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি কতটা খারাপ হবে তা নির্ভর করছে জ্বালানি সংকট ও নীতিনির্ধারকদের সিদ্ধান্তের ওপর। চলতি সপ্তাহে অঞ্চলটিতে জ্বালানির দাম অকল্পনীয়ভাবে বেড়েছে। মূলত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকেই অঞ্চলটিতে লাফিয়ে বাড়ছে মূল্যস্ফীতির হার। আগস্টে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে ৯ দশমিক ১ শতাংশে দাঁড়ায়। বর্তমান মূল্যস্ফীতির হার প্রত্যাশার চেয়ে বেশি। এর আগে রয়টার্সের জরিপে মূল্যস্ফীতির হার ৯ শতাংশের পূর্বাভাস দেওয়া হয়। গত ৯ মাস ধরেই অঞ্চলটিতে মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী, যা শুরু হয় ২০২১ সালের নভেম্বরে। জুলাইতে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে দাঁড়ায় ৮ দশমিক ৯ শতাংশে। ইউরোপীয় অর্থনীতি যুক্তিসংগতভাবে শক্তিশালী অবস্থানে থাকার মধ্যেই সংকটে প্রবেশ করেছে।
পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, যুদ্ধ শুরু হওয়া পর ভোক্তাদের আত্মবিশ্বাস কমলেও ব্যয় কমেনি। তা ছাড়া মূল্যস্ফীতির প্রত্যাশাও কিছুটা কমেছে। তার পরও কয়েকটি কারণে আসন্ন মাসগুলোতে অর্থনৈতিক মন্দার ঝুঁকি বাড়ছে। কারখানাগুলো বর্তমানে চাপে রয়েছে। বসন্তে ইউরোপের উৎপাদকদের নেতারা যুক্তি দিয়েছিলেন যে রাশিয়ার গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হলে মহাদেশটিতে অর্থনৈতিক সংকট নিয়ে আসবে। ঋণের ভারে দিন দিন নিমজ্জিত হচ্ছে বিশ্বের অর্থনৈতিক প্রভাবশালী দেশগুলোর তালিকার ৫ম স্থানে থাকা যুক্তরাজ্য। ইউরোপের সঙ্গে বিচ্ছেদ ও করোনা মহামারির ধকল কাটিয়ে ওঠার আগেই পরিস্থিতি অনেকটা বেসামাল দেশটির। যুক্তরাজ্যে মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতি পারিবারিক আয়ে আঘাত হানার পাশাপাশি বাড়িয়ে তুলছে সরকারি ঋণের সুদ। ঋণের সুদ বাবদ জুলাইয়ে ৫৮০ বিলিয়ন পাউন্ড পরিশোধ করেছে যুক্তরাজ্য, যা গত বছরের জুলাইয়ের তুলনায় ৬৩ শতাংশ বেশি। জুলাইয়ে যুক্তরাজ্যের দেনা ছিল ২৮০ কোটি পাউন্ড।
দেশটিতে সাধারণত জুলাই মাসে জনগণের দেওয়া কর কোষাগারে জমা হতে শুরু করে। চলতি এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া ২০২২-২৩ অর্থবছরে যুক্তরাজ্য ধার করে সাড়ে ৫ হাজার কোটি ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১ হাজার ২১০ কোটি পাউন্ড কম হলেও, ২০১৯ সালের এপ্রিল-জুনের তুলনায় ৩ হাজার ২৬০ কোটি পাউন্ড বেশি। যুক্তরাজ্যের জাতীয় পরিসংখ্যান অফিস বলছে, ১৯৮২ সালের পর সিপিআই সবচেয়ে বেশি হতে পারে চলতি বছর। আগামী জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি ১১ শতাংশের কাছাকাছি হতে পারে। খাদ্য ও জ্বালানির দাম বাড়তে থাকার প্রভাব পড়েছে যুক্তরাজ্যে। গত ৪০ বছরের মধ্যে জুনে সর্বোচ্চ মুদ্রাস্ফীতি রেকর্ড হয়েছে দেশটিতে। রয়টার্সের জরিপ বলছে, যুক্তরাজ্যে জুন শেষে বার্ষিক মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯.৪ শতাংশ, যা আগের মাস থেকে ৯.১ শতাংশ বেশি। জুনে মাসিক ভোক্তামূল্য ০.৮ শতাংশ পয়েন্ট বেড়েছে, যা আগের মাসের ০.৭ শতাংশকে ছাড়িয়ে গেছে। এপ্রিল থেকে এটি ২.৫ শতাংশ কম।
যুক্তরাজ্যের জাতীয় পরিসংখ্যান অফিস (ওএনএস) বলছে, ১৯৮২ সালের পর সিপিআই সবচেয়ে বেশি হতে পারে চলতি বছর। আগামী জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি ১১ শতাংশের কাছাকাছি হতে পারে। মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরতে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড সম্প্রতি কয়েক দফায় সুদের হার বাড়িয়েছে। গভর্নর অ্যান্ড্রু বেইলি বলেছেন, সুদের হার আরো বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হবে। ভোগ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি লাগামহীন হয়ে পড়ায় সুদের হার বাড়ানো ছাড়া উপায় ছিল না বলে জানিয়েছে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড। গভর্নর বেইলি জানিয়েছিলেন, মুদ্রাস্ফীতিকে ২ শতাংশে নামিয়ে আনতে কোনো, যদি বা কিন্তু থাকবে না।
ব্যাংক বলছে, বছরের শেষের দিকে মুদ্রাস্ফীতি প্রায় ১১ শতাংশের বেশি হতে পারে। ওএনএসের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০০১ সাল থেকে প্রকৃত মজুরি রেকর্ড শুরুর পর, চলতি বছরের মে থেকে তিন মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কমেছে। এর কারণ মূল্যস্ফীতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেতন-ভাতা বাড়েনি। এইচএসবিসি অ্যাসেট ম্যানেজ মেন্টের ম্যাক্রো এবং ইনভেস্টমেন্ট স্ট্র্যাটেজিস্ট বলছে, জীবনযাপনের তীব্র খরচ যুক্তরাজ্যের ভোক্তা-নেতৃত্বাধীন অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য চাপ সৃষ্টি করছে। যার অর্থ, মন্দার ঝুঁকি বেশি। যুক্তরাজ্যের মানুষের জীবনযাত্রার মান এ বছর অনেকটাই পড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশ্লেষকরা। তাদের সতর্কবাণী, ১৯৫০-এর দশকের পর এ বছর ব্রিটিশদের জীবনযাত্রার মানে সবচেয়ে বড় বার্ষিক পতন হতে পারে। এদিকে ব্রিটেনের মূল্যস্ফীতির হার এরই মধ্যে ৩০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ জায়গায় পৌঁছেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, পাইকারি বাজারে জ্বালানি তেল ও গ্যাসের মূল্য ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধির যে শঙ্কা করা হচ্ছে, তাতে পারিবারিক ব্যয় বাড়বে। ব্যাংক অব আমেরিকার বিশ্লেষকরা বলছেন, এই পরিস্থিতিতে চলতি বছর যুক্তরাজ্যের পরিবারের প্রকৃত আয় এক বছর আগের তুলনায় ৩ দশমিক ১ শতাংশ হ্রাস পেতে পারে ১৯৫৬ সালের সুয়েজ সংকটের পর বার্ষিক হিসাবে সর্বোচ্চ পতন।
এবারের সংকট কতটা গভীর, তা বোঝাতে ১৯৭০-এর দশকের তেলসংকটের সঙ্গে পরিস্থিতির তুলনা করেছে দ্য গার্ডিয়ান। তারা বলছে, এবারের আয় সংকোচনের মাত্রা সেবারের চেয়ে অনেক বেশি হবে। কিন্তু যুদ্ধের গতি-প্রকৃতি যা দেখা যাচ্ছে, তাতে গ্যাসের দাম আরো বাড়বে বলেই শঙ্কা বিশ্লেষকদের। এমন একসময় এই যুদ্ধ শুরু হলো, যখন জানুয়ারি মাসে বিশ্বের প্রধান অর্থনীতির দেশগুলোর মূল্যস্ফীতি ৩০-৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে। গত কয়েক মাসে যুক্তরাজ্যের মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৫ দশমিক ৫ শতাংশ, ১৯৯২ সালের পর সর্বোচ্চ। মূলত কোভিড-১৯-এর প্রভাবে বিশ্বজুড়ে মূল্যস্ফীতি এতটা বেড়েছে। এদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে শীতের সময় গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির কারণে ইংল্যান্ডের জ্বালানি নিয়ন্ত্রণ সংস্থা অফজেম দেশটির অভ্যন্তরীণ বাজারে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি করে। এতে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড আগেই শঙ্কা জানায় যে মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশ ছাড়িয়ে যেতে পারে। এখন এই যুদ্ধের ধাক্কায় মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশে উঠে যেতে পারেÑ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্ধারিত হার ২ শতাংশের চেয়ে অনেক বেশি থাকবে।
শুধু যুক্তরাজ্য নয়, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও তেলের দাম এভাবে আরো কিছুদিন বেশি থাকলে যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যস্ফীতির হারও এ বছরের শেষভাগে ৬ শতাংশে উঠতে পারে। রাশিয়ান রুবল ও ব্রাজিলের রিয়েল ছাড়া বিশ্বের আর প্রায় সব মুদ্রার বিপরীতেই এ বছর মার্কিন ডলারের বিনিময় হার বেড়েছে। এখন বহু দেশের স্থানীয় মুদ্রার বিপরীতে মার্কিন ডলারের দাম বিগত দুই দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থানে রয়েছে। ডলারের ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধির কারণে বিভিন্ন দেশকে আন্তর্জাতিক বাজারে, অর্থাৎ আমদানি ব্যয় পরিশোধে বেশি পরিমাণে অর্থ ঢালতে হচ্ছে। কারণ, বেশির ভাগ মুদ্রার ক্রয়ক্ষমতা তলানিতে নেমে গেছে। এতে দেশগুলোয় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে টান পড়ছে। ফলে অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা জোরালো হয়ে উঠছে।
জেবি/ আরএইচ/