Logo

আবাদি জমিতে কচুরীপানা বিপাকে কৃষক

profile picture
জনবাণী ডেস্ক
৪ নভেম্বর, ২০২২, ০৮:৪৩
17Shares
আবাদি জমিতে কচুরীপানা বিপাকে কৃষক
ছবি: সংগৃহীত

পাবনা সেচ ও পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পের অভ্যান্তরে হাজার হাজার বিঘা আবাদি ও ফসলি জমিতে কচুরীপানা হওয়ায় চাষাবাদ নিয়ে কৃষকরা পড়েছে বিপাকে

বিজ্ঞাপন

পাবনা সেচ ও পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পের অভ্যান্তরে হাজার হাজার বিঘা আবাদি ও ফসলি জমিতে কচুরীপানা হওয়ায় চাষাবাদ নিয়ে কৃষকরা পড়েছে বিপাকে।

 

বুধবার (২ নভেম্বর) সরেজমিনে ঘুরে বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়,পাবনা সেচ ও পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পাধীন হাটুরিয়া,বড়শিলা,নলভাঙা, কৈটোলা, জয়নগর, তারাপুর, হরিরামপুর,পাঁচুরিয়া মৌজাসহ প্রকল্পের অভ্যান্তরের বিভিন্ন এলাকার কয়েক হাজার বিঘা ফসলি ও আবাদি জমিতে ব্যাপক হারে কচুরীপানা জন্মানোর কারণে বোনা আমন ধানের ক্ষতি হওয়া সহ সামনের রবি মৌসুমে সরিষা, গম ও পেঁয়াজ সহ ইত্যাদি সবজি ফসল চাষাবাদ নিয়ে কৃষকরা অনিশ্চয়তায় ভুগছেন।

বিজ্ঞাপন

হাটুরিয়া গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ চাঁদ প্রামানিক,সাবেক ইউপি সদস্য মোকসেদ আলী, শহিদুল প্রামানিক,নলভাঙ্গা গ্রামের কৃষক ফজর আলী, পাঁচুরিয়া গ্রামের মোকসেদ আলী, ফজলাল, তাঁরাপুর গ্রামের শাহজাহান আলী, আইয়ুব আলী, কৈটোলা গ্রামের বহুত আলী, হরিরামপুর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য খাদেম মোল্লা, ইয়াছিন মোল্লা সহ অনেকেই বলেন, প্রতি বছরই কম বেশি জমিগুলোতে কচুরীপানা জন্মে কিন্তু এ বছর কচুরী পানা তুলনা মূলক ভাবে বেশি এবং বড় বড় হওয়ায় চাষাবাদ করা খুবই দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। 

বিজ্ঞাপন

কৃষকরা বলেন, অধিকাংশ জমিই কচুরী পানায় ভরে গেছে। এখন কিভাবে এ কচুরীপানা সরিয়ে চাষাবাদ করব এই দুঃচিন্তায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে উল্লেখিত এলাকার চাষিরা। এসব এলাকার কৃষকরা মনে করেন যে,বর্তমানে প্রকল্পের অভ্যান্তরে পানির উচ্চতা চেয়ে যমুনা নদীর পানির উচ্চতা কম থাকায় প্রকল্পের পানি নিষ্কাশন ক্যানেলের যমুনা নদী সংযোগ কৈটলা পাম্পিং ষ্টেশনের স্লুইস গেটের সবগুলো পাল্লা এক সাথে খুলে দেওয়া যায়, তাহলে কচুরী পানাগুলো জমি থেকে অপসারন করা সম্ভব হয়ে উঠবে।

 

কৈটলা ইউপি চেয়ারম্যান মহসিন উদ্দিন পিপুল বলেন,জমিতে কচুরী পানা বিষয়ে গত মঙ্গলবার বেড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সবুর আলী সহ কৃষি অফিসের কর্মকর্তাগণ কৈটোলা,আউয়াল বাঁধ, হরিরামপুর, তারাপুর সহ বিভিন্ন এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন। এলাকার কৃষক ও জন প্রতিনিধিদের সাথে মত বিনিময় শেষে কয়েক দিনের মধ্যে জমি থেকে কচুরী পানা অপসারনে কৈটলা পাম্পিং ষ্টেশনের স্লুইচ গেটের সবগুলো পাল্লা এক সাথে খুলে দিয়ে কচুরী পানাগুলো বের করে দেওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে বেড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নূসরাত কবীর মুঠো ফোনে বলেন,কচুরী পানার বিষয়টি কৈটোলা ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয়রা অবহিত করেছেন। বিষয়টি নিয়ে ইউএনও স্যার এবং আমরা আলোচনা করেছি। কয়েক দিনের মধ্যে কৈটোলা স্লইচ গেটের সব পাল্লাগুলো এক সাথে খুলে দিয়ে জমি থেকে কচুরী পানাগুলো অপসারন করার প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

পাবনা সেচ ও পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পের বেড়া পওর বিভাগের নিবার্হী প্রকৌশলী সুধাংশু কুমার সরকারের সাথে কচুরিপানা অপসারনের বিষয়ে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি জানান,প্রকল্পের অভ্যান্তরের চাষিদের সাথে আলাপ আলোচনা ও প্রয়োজনীয়তা নিরুপন করে বেড়া সেচ ও নিষ্কাশন পাম্পিং স্টেশন পরিচালনা  করা হয়। বিশেষ করে কৈটলা পাম্পিং স্টেশন দিয়ে পানি নিষ্কাশন প্রকল্পের চাষাবাদে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। তিনি আরও বলেন, প্রকল্পের বেড়া এলাকার অপারেশন কমিটি কৈটলা পাম্পিং স্টেশনের পানি নিষ্কাশ গেটের পাল্লা রবিবার খুলে দেওয়ার বিষয়ে প্রাথমিক ভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

আরএক্স/

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ

মোঃ শফিকুল ইসলাম ( শফিক )

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ৫৭, ময়মনসিংহ লেন, ২০ লিংক রোড, বাংলামটর, ঢাকা-১০০০।

ফোনঃ 02-44615293

ই-মেইলঃ dailyjanobaninews@gmail.com; dailyjanobaniad@gmail.com

জনবাণী এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। কপিরাইট © ২০২৫

Developed by: AB Infotech LTD