পোস্তগোলায় মহাশ্মশানে উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩:৪৫ পূর্বাহ্ন, ১০ই নভেম্বর ২০২২


পোস্তগোলায় মহাশ্মশানে উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন
ছবি: জনবাণী

রাজধানীর পোস্তগোলায় জাতীয় মহাশ্মশানের উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। 


আজ বুধবার (৯ নভেম্বর) সকালে দক্ষিণ সিটির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মাধ্যমে পোস্তগোলা জাতীয় মহাশ্মশান উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করেন।  


উদ্বোধন শেষে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস গণমাধ্যমের সাথে মতবিনিময় করেন।  


মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, আজ দীর্ঘ প্রতীক্ষিত আমাদের পোস্তগোলা জাতীয় মহাশ্মশান উন্নয়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলাম। এক কোটি ৯ লক্ষ টাকা ব্যয় এখানে শৌচাগার, নতুন করে গ্যাস চুল্লিসহ আমরা আধুনিক শ্মশানের ব্যবস্থা করছি। সকল রকম সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে, চাহিদা নিরুপণ করে আমরা এই কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। আশা করছি দ্রুত এ কাজটা সম্পন্ন হবে। নির্মাণের সময় যাতে করে বিকল্প ব্যবস্থায় শ্মশানের কার্যক্রম পরিচালনা করা যায়, সেটাও আমরা নিশ্চিত করব। এছাড়াও এখানে যারা থাকেন আমরা তাদেরও বসবাসের জন্য একটি ব্যবস্থা করব। 


মেয়র তাপস বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন মার্কেটে বিভিন্ন চক্র বিভিন্ন সময়ে কাগজ বানিয়ে অবৈধভাবে দোকান নিয়েছে, দখল করেছে এবং তারা তাদের মতো করে এখানে নানারকম অবকাঠামো নির্মাণ করেছে। এতে যারা প্রকৃত দোকানদার বা ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সিটি করপোরেশন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে সকল অবৈধ দখলদার, অবৈধ দোকানদার উচ্ছেদে আমরা কার্যক্রম নিয়েছি। তারই ফলশ্রুতিতে নীলক্ষেতে অবৈধভাবে দীর্ঘদিনের দখলকৃত একশোর ওপরে অবৈধ দোকান আমরা উচ্ছেদ করছি। তবে কেউ যদি প্রকৃত দোকানদার থাকে তাহলে তাদের জন্য আমরা অবশ্যই বিকল্প দোকানের ব্যবস্থা করে দিব। 


ডেঙ্গু নিয়ে সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তাপস বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এবার বর্ষা মৌসুম বর্ধিত হয়েছে। আমরা লক্ষ্য করেছি যে, সেপ্টেম্বরের পর থেকেই হঠাৎ করে বিভিন্ন মাত্রায় এবং থেমে থেমে বৃষ্টিপাত হওয়ার কারণে ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব বা ডেঙ্গু রোগের বিস্তার দেখা যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের অভিমত অনুযায়ী আমরা দেখেছি, সেপ্টেম্বরের পর থেকে ডেঙ্গু রোগের বিস্তার কমে আসে। কিন্তু এবার আমরা দেখছি তার উল্টো হয়েছে। আমরা সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এটাকে সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণ রাখতে সক্ষম হলেও অক্টোবর থেকে সেটা বৃদ্ধি পেয়েছে। 


এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা-৪ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, আসনের সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম মনু, করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিব আকরামুজ্জামান, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. জাফর আহমেদ, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন সরকার, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডসমূহের কাউন্সিলর ও মহিলা কাউন্সিলর, দক্ষিণ সিটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

জেবি/ আরএইচ/