রহস্যজনক ডাকতির ঘটনায় নিরব ভূমিকায় পুলিশ !
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫:৪৬ পূর্বাহ্ন, ১০ই নভেম্বর ২০২২
চট্টগ্রাম লোহাগাড়া উপজেলার উত্তর কলাউজানের চেয়ারম্যান পাড়ায় দীর্ঘদিন ডাকাত আতঙ্ক চলছে। ডাকাতদলের ভয়ে প্রতিরাতেই নির্ঘুম কাটছে জেলার বিভিন্ন উপজেলার মানুষের।
এরই মধ্যে এক দেড় মাস ধরে ডাকাত-আতঙ্কে রয়েছেন আওয়ামী লীগ কর্মী আবু তাহেরকে ও উত্তর কলাউজানের মানুষ। ডাকাত প্রতিরোধ করতে গেয়ে আবু তাহের আহত হয়েছেন। হত্যার উদ্দেশ্যে মারাত্মকভাবে জখম করে তার বসতবাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এমন দৃশ্য এখন দেখা গেছে লোহাগাড়া উপজেলার উত্তর কলাউজানের চেয়ারম্যান পাড়ায় বেশ কয়েকটি গ্রামে।
প্রতি রাতেই প্রবাসীসহ ধনাঢ্যদের পরিবারে হানা দিচ্ছে ডাকাত দল ভয়ে মুখ খুলছেন না অনেকেই। এতে করে ঘুম হারাম হয়ে গেছে গ্রামের মানুষের। প্রতিনিয়ত আতঙ্কে জীবন যাপন করছেন আওয়ামী লীগ কর্মী তাহেরের পরিবার। লোহাগাড়া উপজেলার উত্তর কলাউজানের চেয়ারম্যান পাড়ায় আওয়ামী লীগ কর্মী, আবু তাহেরকে ডাকাত দলকে বাধা দেওয়া হত্যার উদ্দেশ্যে মারাত্মকভাবে জখম করে তার, বসতবাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। তবে বিষয়টি নিয়ে রহস্য সৃষ্টি হয়েছে এটা কি ডাকাতি না হত্যার পরিকল্পনা করে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
এই ঘটনা চট্টগ্রামের অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নির্দেশে গত ২৭ অক্টোবর মামলাটি এজাহার হিসাবে নেওয়ার জন্য লোহাগাড়া থানাকে নির্দেশ দেন আদালত। ডাকাতির মামলা করা হয়েছে। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছেন লোহাগাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সাইফুল ইসলাম। আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় দীর্ঘ বারো দিন অতিক্রম হলেও রহস্যজনক কারণে মামলাটি গ্রহণ করার পরেও এখনো কোনো আসামি গ্রেফতার করতে পারে নি লোহাগাড়া থানা পুলিশ!
প্রতিনিয়ত হুমকি-ধমিক দিয়ে যাচ্ছেন মামলার বাদী আবু তাহের কে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য। প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ডাকাত দলের সদস্যরা। ডাকাতির শিকার আবু তাহের (৩৫) ওই এলাকার মৃত হাকিম আলীর ছেলে। গত ২৩ অক্টোবর (রবিবার) দিবাগত রাত ২ টার দিকে উপজেলার কলাউজান ইউনিয়নের উত্তর কলাউজানের চেয়ারম্যান বাড়িস্থ আবু তাহেরের বসতঘরে এই ডাকাতির ঘটনাটি ঘটেছিল। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আবু তাহের বাদি হয়ে গত ২৫ অক্টোবর (মঙ্গলবার) আদালতে মাসুদ পারভেজ প্রকাশ ডাকাত পারভেজ (৩৮), আতিকুর রহমান (৪৬), মো. হানিফ প্রকাশ শিমুল (৪৫), শাহ আলম (৫০), মিজানুর রহমান (৪৮), রাশেদুল হক প্রকাশ রাসেল (৪৩) ও ওসমান গণি (৩৯) সহ অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জনের বিরুদ্ধে ডাকাতির অভিযোগে মামলা করেন। এবং আদালত অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করে নিয়মিত মামলা রুজু করার জন্য লোহাগাড়া থানার ওসিকে নির্দেশ প্রদান করেন।
ভুক্তভোগী ও মামলার বাদি আবু তাহের বলেন, মামলা করেছি দীর্ঘ ১২দিন হয়েছে অদৃশ্য কারণে আসামিদের গ্রেপ্তার করছেন না পুলিশ। মামলা করার পর থেকে প্রতিনিয়ত আদায় করেছি আমি মামলা যাদেরকে আসামি করা হয়েছে তারা সবাই আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে, পুলিশকে বলেও আমি কোন লাভ হচ্ছে না। পুলিশ এখনো পর্যন্ত কোনো আসামিকে গ্রেফতার না করায় চরম আতঙ্কে জীবনযাপন ও নিরাপত্তাহীন ভুগছি। কিন্তু আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করছেন না। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের কোন উদ্যোগ নেই বললেই চলে।
লোহাগাড়া থানার ওসি মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেন, আবু তাহের বাদী হয়ে একটি ডাকাতির ও হত্যার চেষ্টা একটি মামলা করা হয়েছে লোহাগাড়া থানায়, মামলাটি তদন্ত চলছে আসামি গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান ওসি। আসামিরা পলাতক রয়েছে বলে দাবী ওসির। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা লোহাগাড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, মামলাটির তদন্ত চলছে। ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এসেছি।
আরএক্স/