বাউফলে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অবস্থান
উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩:৫৩ পূর্বাহ্ন, ২৬শে নভেম্বর ২০২২
পটুয়াখালীর বাউফলে বিয়ের দাবিতে গত তিন দিন ধরে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান করছেন সুরাইয়া আক্তার সুরভি (২২) নামের এক তরুণী।
গত বুধবার (২৩ নভেম্বর) ঢাকা থেকে তিনি প্রেমিক নোমান মৃধার উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের ধানদি গ্রামের বাড়িতে এসে অবস্থান করছেন। প্রেমিকা বাড়িতে আসার দিন থেকেই গা ঢাকা দিয়ে আছেন তার প্রেমিক নোমান মৃধা।
সুরভি অভিযোগ করে বলেন, গত এক বছর আগে ফেসবুকের মাধ্যমে নোমার মৃধার সাথে তার পরিচয় হয়। পরিচয়ের পর থেকেই তারা একে অপরকে ভালবাসতে শুরু করেন। তিনি ঢাকায় একটি গার্মেন্টেসে চাকরী করতেন। নোমান তার সাথে দেখা করতে প্রায়ই ঢাকা আসতো। একত্রে থাকতেন। এ ভাবে ৭-৮ মাস অতিবাহিত হওয়ার পর তিনি নোমানকে বিয়ে করার জন্য প্রস্তাব দেন।
এরপর নোমন তাকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতেন। তাই নিরুপায় হয়ে তিনি একদিন পুরো ঘটনাটি নোমানের মাকে জানান। নোমানের মা বিয়ের জন্য তাকে আরও কয়েক মাস অপেক্ষা করতে বলেন। এ ভাবে অপেক্ষা করতে গিয়ে বছর চলে যায়। এপর তিনি বুধবার ঢাকা থেকে প্রেমিক নোমানের গ্রামের বাড়ি বাউফলের ধানদি চলে আসেন। তার চলে আসার পর থেকেই নোমান বাড়ি ছেড়ে গাঢাকা দিয়েছেন।
সুরভি আরো বলেন, তাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়ার জন্য বেশ কয়েক দফা মারধর করেছে প্রেমিক নোমানের মা নুরজাহান বেগম ও বোন সীমা বেগম। শুক্রবার সকালেও তাকে মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়া দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে ।
নোমানের মা নুরজাহান বেগম বলেন, আমার ছেলের সাথে ওই মেয়ের (সুরভি) সম্পর্ক আছে। এ কথা সত্য। কিন্তু আমরা কেউই তাকে মারধর করিনি। শহর থেকে আমার মেয়ে বাড়ি এসেছিল আমাকে ডাক্তার দেখানোর জন্য নিয়ে যাবেন বলে। তখন আমরা তাকেও (সুরভি) সাথে নিতে চেয়েছি। কিন্তু তিনি যেতে চাননি। তাই টানাটানি করতে গিয়ে হাতে মুখে একটু আঁচর লেগেছে।
প্রেমিকা সুরাইয়া আক্তার সুরভির বাড়িও বাউফলের সুর্যমনি ইউনিয়নের নুরাইনপুর গ্রামে। তার বাবার নাম সুলতান শরিফ। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে ঢাকা একটি গার্মেন্টেসে চাকরী করেন।
সুরাইয়া আক্তার সুরভি বলেন, আমার সব কিছু শেষ হয়ে গেছে। কোথাও আর যাওয়ার জায়গা নেই। আমাকে বিয়ে না করলে আত্মহত্যা করবো।
বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আল মামুন বলেন, বিষয়টি আমার জানানা নেই। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।