নেছারাবাদে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৭:৩১ পিএম, ৩রা সেপ্টেম্বর ২০২৫


নেছারাবাদে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন
ছবি: প্রতিনিধি

মো: মুহিদুল ইসলাম: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠি) পৃথক পৃথক ব্যানারে র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।


বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠি) উপজেলা বিএনপি ও পিরোজপুর জেলার বিএনপির সদস্য ফকরুল আলমের নেতৃত্বে সুঠিয়াকাঠি বাজার থেকে একটি র‌্যালি বের হয়ে এর পরে স্বরূপকাঠি বাজার ও গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ফেরিঘাট সংলগ্নে গিয়ে আলোচনা সভায় মিলিত হয়।দিনব্যাপী কর্মসূচিতে স্থানীয় নেতারা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শ তুলে ধরেন এবং বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে দলকে শক্তিশালী করতে ঐক্যের আহ্বান জানান।


আরও পড়ুন: ধামরাইয়ে ২৪ ঘণ্টায় বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ১৬


অনুষ্ঠানে বিএনপি থেকে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পিরোজপুর-২ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী ও জননন্দিত নেতা ফকরুল আলম ব্যাপক জনসমাগমে অংশ নেন। তিনি বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন “নেছারাবাদের মাটি ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে বিএনপি সবসময় জনগণের পাশে ছিল, আছে এবং থাকবে। এ অঞ্চলের মানুষ পরিবর্তন চায়, আর সেই পরিবর্তনের নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত বিএনপি।”


স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, পিরোজপুর-২ আসনে ত্রিমুখী লড়াই এখন স্পষ্ট। জামাত ও এনসিবিসহ শরিক দলরা রয়েছে বিএনপি—এই তিন দলের প্রার্থীদের মধ্যেই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। আর এই প্রতিদ্বন্দ্বিতার ময়দানে ফখরুল আলমের সক্রিয় উপস্থিতি ইতোমধ্যে সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।ফকরুল আলম বলেছেন, “আমরা নিজেদের ভিতরে কোন ধরনের গ্রুপিং চাই না। আমরা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শের সৈনিক। আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ওপর আস্থা রেখে এবং আগামী দিনের রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে চাই।”তিনি আরও বলেন, দলের ভেতরে বিভাজন নয়, বরং তৃণমূল থেকে কেন্দ্রীয় পর্যায় পর্যন্ত ঐক্য ও সমন্বয়ই বিএনপিকে শক্তিশালী করবে এবং জনগণের আস্থা অর্জনে ভূমিকা রাখবে।আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে পিরোজপুর-২ আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী জনপ্রিয় নেতা ফখরুল আলম জনগণের উদ্দেশ্যে তাঁর মূল অঙ্গীকার ঘোষণা করেছেন।


তিনি বলেন, “আমার জীবনের মূল লক্ষ্যই হলো পিরোজপুর-২ আসনের সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করা। মনোনয়ন পেলে এবং জনগণ আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করলে আমি এলাকাবাসীর মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করব।”


ফখরুল আলম তাঁর প্রতিশ্রুতির মধ্যে উল্লেখ করেন:স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা আমলে অবহেলিত ছিল,রাস্তাঘাট স্বাস্থ্য সেবাসহ বিভিন্ন কাঠামো উন্নয়ন হয়নি নেছারাবাদ,কাউখালী ও ভান্ডারিয়া উপজেলায় আধুনিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা সম্প্রসারণ কৃষক, মজুর ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য সহজ ঋণ ও ন্যায্যমূল্যে উৎপাদন সামগ্রী সরবরাহ অবকাঠামোগত উন্নয়ন, বিশেষ করে সড়ক ও ব্রিজ নির্মাণ এবং নদী ভাঙন রোধ তরুণ প্রজন্মের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সুবিধার সম্প্রসারণ।


আরও পড়ুন: বনানীতে পোশাকশ্রমিকদের সড়ক অবরোধতীব্র যানজট


তিনি আরও বলেন, “আমরা জনগণের সাথে আছি, থাকব। ক্ষমতায় গেলে নয়, এখনই মানুষের পাশে থেকে তাদের কষ্ট লাঘবের চেষ্টা করছি। জনগণের দোয়া ও ভালোবাসা নিয়েই আমি অঙ্গীকার করছি—জনগণের আমানত রক্ষা করব।”এ সময় এলাকাবাসীর অনেকেই তাঁকে “মাটির মানুষের নেতা” হিসেবে অভিহিত করে বলেন, ফখরুল আলম শুধু নির্বাচনের সময় নয়, প্রতিনিয়ত সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখে পাশে থাকেন।উদযাপন কর্মসূচিতে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন। মিছিল শেষে এক আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, “দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপির কোনো বিকল্প নেই।”


অন্যদিকে, সাধারণ মানুষ মনে করছেন, ফখরুল আলমের সরল জীবনযাপন, তৃণমূলের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক এবং দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা তাকে পিরোজপুর-২ আসনে শক্ত অবস্থানে দাঁড় করিয়েছে।


নেছারাবাদে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি যেন শুধু আনুষ্ঠানিকতা ছিল না, বরং আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের লড়াইয়ের এক অঘোষিত মহড়া হয়ে উঠেছে।


আরএক্স/