প্রতিষ্ঠার ২০ বছর

‘প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার প্রত্যাশা’


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৬:০২ পূর্বাহ্ন, ২৬শে নভেম্বর ২০২২


‘প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার প্রত্যাশা’
ছবি: জনবাণী

বাংলাদেশে বঞ্চিত প্রান্তিক জনগোষ্ঠির ভাগ্য উন্নয়ন, তাদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত এবং দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার আশা প্রকাশ করেছে সামাজিক উন্নয়ন সংস্থা ফ্রেন্ডশিপ। সংস্থাটির ২০ বছর পূর্তিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন আশা প্রকাশ করা হয়।


এই ২০ বছরে নানা সীমাবদ্ধতা পেরিয়ে সামনে এগিয়ে চলার কথা জানাতে রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে আয়োজন করা হয় সংবাদ সম্মেলন। সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী পরিচালক রুনা খান তুলে ধরেন ফ্রেন্ডশিপের সফলতার গল্পগুলো, যেখানে প্রান্তিক এলাকার প্রায় সাড়ে সাত লাখ বঞ্চিত মানুষ উপকৃত হচ্ছেন বিভিন্নভাবে। ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে চরের কর্মকাণ্ড নিয়ে একটি প্রদর্শনী এবং বিয়ে পাগলা শীর্ষক চর থিয়েটারের একটি নাটিকা প্রদর্শন করা হয়।


অনুষ্ঠানে যোগ দেন ফ্রেন্ডশিপ বাংলাদেশের বোর্ড অব চেয়ার সালাহউদ্দিন আহমেদ, ফ্রেন্ডশিপ ইন্টারন্যাশনালের কো-চেয়ার মার্ক এলভিনগারসহ বিভিন্ন দেশে কর্মরত ফ্রেন্ডশিপ ইন্টারন্যাশনালের বোর্ড সদস্য ও জেষ্ঠ্য কর্মকর্তারা।


রুনা খান বলেন, আমি একটি ভিশন নিয়ে শুরু করেছিলাম। আমি শুধু মানুষের কষ্ট লাঘবের চেষ্টা করতে চেয়েছিলাম। এটাই ছিল আমার একমাত্র টার্গেট। আমি তাদের কষ্ট সহ্য করতে পারিনি এবং আমি অন্যায় সহ্য করতে পারিনি। আমি এটাও সহ্য করতে পারিনি যে, আমাদের অনেক কিছুই আছে কিন্তু তাদের কিছু নেই। ফ্রেন্ডশিপের সূচনা আসলে হৃদয় থেকে।


তিনি বলেন, মানুষের চাহিদা আছে, খুব প্রয়োজনীয় চাহিদা আছে এবং সে কারণেই আমাদের চেষ্টা করে যেতে হয়। আমরা যে জায়গাগুলোতে কাজ শুরু করেছি সেখানে পৌঁছানো সবচেয়ে কঠিন ছিল। কারণ আমরা যখন শুরু করি তখন সেখানে আর কেউ ছিল না। আমরা কাজ করে যাচ্ছি এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে এই ধারা অব্যাহত থাকবে।


সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, ফ্রেন্ডশিপের মধ্যে বিশেষত্ব আছে তার নামের মধ্যেই। তারা কাজ করে একজন সত্যিকারের বন্ধুর মতো। প্রয়োজনে সাহায্য করে। আমি এটি বলছি কারণ আমি নিজে এটি দেখেছি এবং পেয়েছি।


মার্ক এলভিনগার বলেন, এটি বেশ স্পষ্ট যে রুনা খান সঠিক বাছাইটিই করেছেন। শুরুর সময়ে তার নিজস্ব একটি নেটওয়ার্ক স্থাপন করে এবং এর মাধ্যমে বাংলাদেশে ফ্রেন্ডশিপ প্রতিষ্ঠা করেন এবং ইউরোপে এর দাতা ও সমর্থকদের মধ্যে সরাসরি সম্পর্ক তৈরি করে। এখন ফ্রেন্ডশিপ অনেক দূর এগিয়ে গেছে।