দর্শনায় ভুল অপারেশনে প্রসূতি মায়ের মৃত্যু
উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬:৪১ পূর্বাহ্ন, ২৯শে নভেম্বর ২০২২
দর্শনায় মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসকের ‘ভুল অপারেশনে’ এক প্রসূতি মায়ের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
সিজারিয়ানের মাধ্যমে যমজ কন্যা সন্তান বেঁচে গেলেও চিকিৎসকের ভুল অপারেশনে মা লিমা খাতুন ওরফে ডালিয়া (৩২) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়। পরে উভয় পক্ষের সমাঝোতায় সুরাহা হয়।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের উজলপুর নীলমারীপাড়ার হাবিবুর রহমান হবির অন্তসত্বা স্ত্রী লিমা খাতুন ওরফে ডালিয়ার (৩২) প্রসব বেদনা উঠলে তাকে গত শুক্রবার সকালে নেওয়া হয় দর্শনা মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালে। সেখানে নেওয়ার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দ্রুত সিজারিয়ানের ব্যাবস্থা করেন।
সেই মোতাবেক ওইদিন বেলা ১১টার দিকে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সেলিনা আক্তার শিমুর মাধ্যমে তড়িঘড়ি করে সিজারিয়ান করা হয়। এ সিজারিয়ানের মাধ্যমে এক জোড়া ফুটফুটে কন্যা সন্তানের জন্ম দিলেও চিকিৎসকের ভুল অপারেশনের কারণে রক্ত শুন্য তা হয়ে যায় মা লিমা খাতুন ওরফে ডালিয়া (৩২) গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে পড়েন। ফলে রাতে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পথিমধ্যে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইনের নিকট পৌঁছালে রাত ২টার দিকে লিমা খাতুন ওরফে ডালিয়ার মৃত্যু হয়।
লিমার পরিবার অভিযোগ করে বলেন, লিমার পেটে দুটি সন্তান আছে এটা চিকিৎসক জানতো না। সিজারিয়ানের পর একটা সন্তান হলে আরেকটি দেখতে পায় চিকিৎসক। এরপর সে সন্তানকে বের করতে গিয়ে অনেক রক্তক্ষরণের কারণে মেয়ে লিমা খাতুন ওরফে ডালিমা গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর চিকিৎসক হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দিতে থাকলে রাতে তার অবস্থার অবনতি দেখা দিলে তারা ডাক্তারের সাথে কথা বলে এ্যাম্বুলেন্সের ব্যাবস্থা করে। পরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেন। এরপর হাসপাতালে নিয়ে য়াওয়ার পথিমধ্যে রাত ২টার দিকে লিমার মৃত্যু হয়।
এবিষয়ে জানতে ডা. সেলিনা আক্তার শিমুর মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় তিনার বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।
লিমা খাতুনের স্বামী হাবিবুর রহমান হবি বলেন, যা হবার তা হয়ে গেছে। এ বিষয়টি নিয়ে এলাকার মাতব্বার ও গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে বসে মিমাংসা করে ফেলেছি। এসব আর লেখালেখি করার দরকার নেই।
হাসপাতাল পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুল হান্নান বলেন, রোগীর সমস্যা ছিল। বাচ্চা দুটোকে বাঁচানো সম্ভব হয়েছে তবে মাকে বাঁচানো যাইনি। আমি দেখা করবো।