চট্টগ্রাম শহরে মেট্রোরেলের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে কোরিয়ার ৬২ কোটি টাকা
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬:০৫ পূর্বাহ্ন, ১০ই ডিসেম্বর ২০২২
চট্টগ্রামে মেট্রোরেল নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণার পর এ নিয়ে নতুন করে উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে। এবার চট্টগ্রামের মেট্রোরেলসহ নগরীতে পরিকল্পিত গণপরিবহণ ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে ৬০ লাখ ডলারের অনুদান দিচ্ছে কোরিয়ান আন্তর্জাতিক সহযোগী সংস্থা (কোইকা)।
বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ৬২ কোটি টাকা। বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) রাজধানীতে এ বিষয়ে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) ও কোইকার মধ্যে রেকর্ড অব ডিসকাশন ও টার্মস অব রেফারেন্স চুক্তি সই হয়েছে। সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) জানায়, এ সমীক্ষায় চট্টগ্রাম শহরের সুশৃংখল পরিবহন ব্যবস্থাপনার জন্য একটি পরিবহন মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে।
এর আওতায় যানজটমুক্ত সড়ক ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, চট্টগ্রামে নগরকেন্দ্রিক পরিবেশবান্ধব মেট্রোরেল নির্মাণ এবং চট্টগ্রামে অবস্থিত পরিবহন খাতে নিজস্ব সংস্থাগুলোর প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়ানোর বিষয়ে সম্ভ্যাবতা যাচাই করা হবে। পরে এ মহাপরিকল্পনার আলোকে কোরিয়া সরকারের সহায়তায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকায় পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়নে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের সম্ভাবনার কথাও জানানো হয়।
‘ট্রান্সপোর্ট মাস্টারপ্ল্যান অ্যান্ড প্রিলিমিনারি ফিজিবিলিটি স্টাডি ফর আরবান মেট্রোরেল ট্রানজিট কনস্ট্রাকশন ফর চিটাগাং মেট্রোপলিটন এরিয়া’ শীর্ষক এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ। প্রকল্পটি শুরুর সময় ধরা হয়েছে চলতি ২০২২ সালের অক্টোবর, যা শেষ হবে ২০২৫ সালের মার্চে। প্রস্তাবিত মেট্রোরেল প্রকল্পে তিনটি এমআরটি লাইন তৈরির কথা বলা হয়েছে।
কালুরঘাট থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত হবে এমআরটি লাইন-১। এর দৈর্ঘ্য হবে সাড়ে ২৬ কিলোমিটার (২০টি স্টেশন)। লাইন-২ হবে সিটি গেট থেকে নিমতলা হয়ে শাহ আমানত সেতুর গোল চত্বর পর্যন্ত। এর দৈর্ঘ্য হবে সাড়ে ১৩ কিলোমিটার (১২টি স্টেশন)। অক্সিজেন থেকে ফিরিঙ্গিবাজার ও পাঁচলাইশ থেকে এ কে খান পর্যন্ত নির্মিত হবে লাইন-৩। এর দৈর্ঘ্য হবে সাড়ে ১৪ কিলোমিটার (স্টেশন ১৫টি)।
চলতি বছরের শুরুতে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী শাহ আমানত বিমানবন্দর থেকে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত মেট্রোরেল নির্মাণ করা হবে।’ সর্বশেষ ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের’ পূর্ত কাজের সমাপ্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, চট্টগ্রামে মেট্রো রেলের সমীক্ষা শুরু করেছি।
সমীক্ষা করে দেখতে হবে, এখানে এতো পাহাড়, পর্বত, তারপরও কোথায়, কোন এলাকা দিয়ে কতটুকু মেট্রোরেল করতে পারি তার ব্যবস্থা আমরা নিচ্ছি। চট্টগ্রামে অনেকগুলো রাস্তা করে দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের ইচ্ছা আছে, সমীক্ষার ফলাফলের ওপরে নির্ভর করছে এর ভবিষ্যৎ। তবুও ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়। আমরা ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। শেখ হাসিনা বলেন, ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রামের যোগাযোগ বা চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার অথবা পার্বত্য চট্টগ্রামের বিরাট যোগাযোগে নেটওয়ার্ক আমরা তৈরি করে দিয়েছি। যাতে মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নে কাজে লাগবে।