দক্ষিণাঞ্চলে জেঁকে বসেছে শীত


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১২:৩৪ পূর্বাহ্ন, ১৫ই ডিসেম্বর ২০২২


দক্ষিণাঞ্চলে জেঁকে বসেছে শীত
বরগুনায় শীতের দাপটে কাবু জনজীবন- ছবি: জনবাণী

চলতি মৌসুমে দেশের সর্ব দক্ষিণের জেলা বরগুনায় শীত ও ঘন কুয়াশার দাপট দিন দিন বেড়েই চলেছে। গত কয়েকদিন ধরে মৃদু থেকে শীতল বাতাসের প্রবাহ অব্যাহত রয়েছে এ জেলায়। এরমধ্যে সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকে চারদিক। রাতভর টুপটাপ শব্দে বৃষ্টির মত ঝরে কুয়াশা। তীব্র এ শৈত্যপ্রবাহের কারণে জেলার জন-জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।


গত দুদিনের মধ্যে বুধবার  (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার পর হঠাৎ দেখা মিলেছে সূর্যের। ঘনকুয়াশার কারণে বেশি বেগ পেতে হচ্ছে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের। 


এদিকে শীতের প্রকোপে ও হিম শীতল হাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে বরগুনাসহ পার্শ্ববর্তী জেলার সাধারণ ও নিম্ন আয়ের মানুষ। শেষ বিকেল থেকে ঘনকুয়াশা শুরু হয়ে রাত বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তা বৃষ্টি আকারে তা নেমে আসছে মাটিতে।


শীতের প্রকোপ আর কুয়াশার কারণে কোনদিন দুপুর পর্যন্ত আবার কোনোদিন সারাদিনও দেখা মিলছেনা সূর্যের। সন্ধ্যা নামতে না নামতেই শুরু হওয়া ঘন কুয়াশা আর উত্তরের হিমালয় থেকে বয়ে আসা হিমেল বাতাসে নাকাল হয়ে পড়েছে জেলার জনজীবন। ঘনকুয়াশার কারণে দিনমজুর, শ্রমজীবী, রিকশা-ভ্যান চালকরা বাইরে যেতে না পারায় দুর্ভোগে পড়েছেন। আর এ মৌসুমে শীতের কাপড়ের অভাবে দুর্ভোগে দিন পার করছেন দরিদ্র শীতার্ত অনেক মানুষ।


শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে ক্রেতাদের ভিড় করতে দেখা গেছে শীতের কাপড়ের দোকানগুলোতে। অপরদিকে শীত নিবারণের জন্য গরম কাপড় কিনতে শীতের পুরোনো কাপড়ের দোকানগুলোতে ভিড় করছেন সাধারণ ক্রেতারা। সঙ্গে প্রতিদিন রাত ৮টা থেকে ৯টার মধ্যেই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে গ্রাম-গঞ্জের হাট বাজারগুলো।


বরগুনার  বামনা উপজেলার বুকাবুনিয়া ইউনিয়নের জাকির পহলান নামে একজন দৈনিক জনবাণীকে জানান, ‘আমরা দিন কামিয়ে দিন খাই’ আর এই ঠাণ্ডার কারণে আমরা কাজে যেতে পারছি না।


আমির নামে একজন বৃদ্ধ জানান, রাতের বেলা খুব বেশি ঠাণ্ডা লাগে। ঠাণ্ডার কারণে ঘুমাতে পারি না। সরকারি ভাবে যদি একটা কম্বলের ব্যবস্থা করে দিত তবে একটু শান্তিতে ঘুমাতে পারতাম।