কৃষকের ঘরে স্বপ্নের চকচকে সোনালী পাকা ধান


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৬:৫৩ পূর্বাহ্ন, ২৩শে ডিসেম্বর ২০২২


কৃষকের ঘরে স্বপ্নের চকচকে সোনালী পাকা ধান
মাড়াই কাজসহ ধান কাটতে টানতে যেন ধম ফেলার ফুসরাত নেই

কলাপাড়ায় ইরি-বোরো ধানকাটা ও মাড়াই শুরু হয়েছে।  উপজেলার ১২ ইউনিয়নে  ধান কাটছে কৃষকরা। ধান ঘরে তুলতে কৃষি শ্রমিক ব্যস্ত সময় পার করছেন। মাড়াই কাজসহ ধান কাটতে টানতে যেন ধম ফেলার ফুসরাত নেই। মাঠ থেকেই ধান কিনে নিচ্ছেন আড়ৎদাররা, কেনা ধান গুলো ট্রাক সড়ক পথে ও স্টিল বর্ডিতে করে নৌ পথে নিচ্ছেন বিভিন্ন জেলায়, ব্যস্ত ঘাটগুলোও শ্রমিকদের পদচারণায় মুখরিত ধান বোঝাই করা ঘাট গুলোতে। বিক্রি বাড়তে শুরু করছে গ্রামগঞ্জের দোকান গুলোতেও।


স্বপ্নের চকচকে সোনালী পাকা ধান কৃষকের ঘরে উঠছে। নতুন ধানের সৌরভ ও পাখির কলতানে এখন মুখরিত মাঠগুলো। ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্য বিলের জমির প্রায় সব ধানই ঘরে উঠবে আশা করছেন চাষিরা।

গেল কয়েক বছরের মধ্যে এবার বিলের জমিগুলোতে ধানের ফলন ভাল হয়েছে । প্রতি বিঘায় মোটা ধানের ফলন হচ্ছে ২৮ থেকে ৩০ মণ। সরু ধানের ফলন আসছে ২৫ থেকে ২৮ মণ। এটিকে বাম্পার ফলন বলছেন কৃষকরা। তবে দু’য়েকটি জমির ধান বালাইয়ের আক্রমণে নষ্ট হয়েছে।


অথচ নানান প্রতিকূল আবহাওয়ায় এবার শঙ্কা ছিল কাঙ্ক্ষিত ফলন না পাওয়ার। তবে কৃষক ও কৃষি অফিস বলছে, বরাবরের মতো এবারও ভালো ফলনই হয়েছে। ১৩০০ টাকা শুরতেই দাম পেয়ে খুশি কৃষক তাদের আশা আরও বাড়তে পাড়ে দাম।


এ উপজেলায় দুটি পৌরসভা ও ১২টি ইউনিয়নে কৃষক পরিবার রয়েছে ৩৫ হাজার ৫০০টি। মোট জমি ৪৯ হাজার ২১০ হেক্টর। এ বছর ৩১ হাজার ২৪০ হেক্টরে আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে ২২ হাজার ৫৫০ হেক্টরে মৌসুমী উফশী রোপা আমন ও ৮ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে মৌসুমি স্থানীয় রোপা আমন ধানের চাষ করেছেন কৃষকরা। এছাড়া সবজি চাষ করা হয়েছে ৫৪০ হেক্টর জমিতে। তবে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে ধানের আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত জমির পরিমাণ ৯২১ হেক্টর। আংশিক ক্ষতি ৫ শতাংশ হারে সম্পূর্ণ ক্ষতির পরিমাণ ৪৬.০৫ হেক্টর। এছাড়া সবজি ফসলে ৫৪ হেক্টর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ২০ শতাংশ হারে সম্পূর্ণ ক্ষতি ১০.০৮ হেক্টর বলে উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে।


ফলন ও উৎপাদন খরচ হিসাব করে তেমন লাভবান নয় কৃষক তবুও ধার-দেনা করা কৃষির টাকা শোধ, করতে পেড়েই খুশি, তবে সরকারী দর বেঁধে দেয়ার দাবিও জানান কৃষকরা।


উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এমআরএম সাইফুল্লাহ বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে উপজেলার কৃষকদের আমন ধান ক্ষেতের তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। এছাড়াও ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রনোদনা কর্মসূচির আওতায় রবি ২০২২ -২০২৩ মৌসুমে এ উপজেলা ১৫০০ জন কৃষককে উফশী বোরো ধান এবং ২০০০ জন কৃষককে হাইব্রিড ধান ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হবে।