দোকানের বকেয়া ১৪০ টাকা চাওয়ায় খুন হন মুদি ব্যবসায়ি

বকেয়া মাত্র ১৪০ টাকা চাওয়ার কারনে গোপালগঞ্জে খানারপাড় গ্রামের মুদি ব্যবসায়ী গাউস দাড়িয়াকে (৪৬) খুন করা হয়। গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে এমন স্বীকারোক্তি দিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করল হত্যাকান্ডে জড়িত তিন অভিযুক্ত।

গ্রেফতারকৃত তিন অভিযুক্তরা হলো- সদর উপজেলার কাঠি ইউনিয়নের খানারপাড় গ্রামের কাইয়ুম মোল্লার ছেলে ইস্রাফিল মোল্লা (২২), হাসান উদ্দিন দাড়িয়ার ছেলে আজিজুর দাড়িয়া ওরফে কুটি দাড়িয়া (৫০) ও কামাল মোল্লার ছেলে বজলু মোল্লা ওরফে রাজিব (২৩)।

গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দিকা’র প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে ঘটনার মাত্র ৪৮ ঘটনার মধ্যে হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচন করলেন জেলা পুলিশ।

পূর্ব পরিকল্পনা অনুসারে অভিযুক্তরা সিগারেট কেনার কথা বলে রাতে তাকে ঘুম থেকে উঠিয়ে প্রথমে লাঠি দিয়ে তাকে আঘাত করে। এতে সে নিস্তেজ হয়ে পড়ে। পরে বাড়ির কাছেই পুকুর পাড়ে নিয়ে হাত বেধেঁ ছুরি দিয়ে ৮/৯টি আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে তাকে পুকুরের মধ্যে ফেলে দেয়। পরের দিন সকালে অভিযুক্ত ইস্রাফিল মোল্লা আত্মগোপনে চলে যায়।

গ্রেফতার অপর দুই অভিযুক্ত যাতে কেউ সন্দেহ না করতে পারে সেজন্য তারা লাশ দাফনে সার্বক্ষনিক সহয়তা করে বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের কাছে স্বীকার করে তারা।

গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. খায়রুল আলম, সহকারী পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক আবু তাহের দেওয়ান সহ পুলিশ কর্মকর্তারা প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, গত ২ ফেব্রুয়ারি রাতে গোপালগঞ্জ সদরের খানারপাড় এলাকায় মুদি ব্যবসায়ি গাউস দাড়িয়াকে অজ্ঞাতনামা অপরাধীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে হত্যার পর লাশ পুকুরের মধ্যে ফেলে দেয়। পরদিন ভিকটিমের আত্মীয়-স্বজন পুকুরে লাশ ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ সেখান থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। আসামীদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলে জানায় পুলিশের ওই কর্মকর্তা।

ওআ/