বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অনশন


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১২:১৩ পূর্বাহ্ন, ৯ই জানুয়ারী ২০২৩


বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অনশন
প্রেমিকার অনশন

পটুয়াখালীর দুমকিতে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে ২ দিন যাবত অনশন করছেন এক মনি আক্তার নামে এক যুবতী। এতে এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের পূর্ব জলিশা গ্রামের ৯ নং ওয়ার্ডের জেলে পাড়া এলাকায়। 


অনশনকারী শিক্ষার্থী ও প্রেমিকের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বাকেরগন্জ উপজেলার পাদ্রীশিপপুর এলাকার সোহরাব হোসেন এর বড় মেয়ে মনি আক্তার(১৯) এর সঙ্গে দুমকি উপজেলার জলিশা গ্রামের ৯নং ওয়ার্ডের মৃত. ইউনুস হাওলাদার এর ছেলে মোঃ রিয়াজুল ইসলাম রাব্বি(২৬) এর  ফেসবুক মেসেন্জারে পৌনে চার বছর আগে এক বন্ধুর মাধ্যমে পরিচয় থেকে প্রেম। প্রেমের একপর্যায়ে তারা  মাঝে মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় দেখা-সাক্ষাৎ করতো। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমিক রাব্বি ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। গত দু'মাস পূর্বে দুই পরিবারের পক্ষ থেকে বিয়ের কথাবার্তা ও বাড়িঘর দেখাদেখি হয়। এরপর থেকে মনি প্রেমিক রাব্বিকে বিয়ের চাপ দিয়ে আসছিল। কিন্তু রাব্বি তার পরিবারকে ম্যানেজ না করতে পারায় মনিকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায় এবং গত সপ্তাহে মনি'র সাথে সকল প্রকারের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। 


কোন উপায় না পেয়ে গত শনিবার(৭ডিসেম্বর) সকালে ওই ছাত্রী বিয়ের দাবিতে রাব্বি'র বাড়িতে সেখানে অনশন শুরু করে। বিষয়টি মুহূর্তেই এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। রাব্বি ঢাকায় একটি বায়িং হাউজে চাকরি করায় তাকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। 


অনশনকারী যুবতী জানান, আমার সহজ সরলতার সুযোগে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অন্তর আমার সব শেষ করে দিয়েছে। তার বাড়ির লোকজন আমাকে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। জোরপূর্বক বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার পাঁয়তারা করছে। হয় বিয়ে না হয় আত্মহত্যা ছাড়া এখন আমার আর কোনো পথ নেই।  


প্রমাণ ছাড়া এরকম দাবী যে কেউ-ই করতে পারে এমন মন্তব্য করে রাব্বি'র ভাবী জানান, যদি ঘটনা সত্যি হয় তাহলে আমরা বিষয়টি বিবেচনা করে দেখবো।  রাব্বি'র মা বলেন, আমার বড় ছেলের বউ আর আমার ভাই এই মেয়েকে তার বাড়িতে দেখতে গেছিল। দেখে পছন্দ না হওয়ায় বিয়ে হয় নাই। 


দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আবদুস সালাম বলেন, ৯৯৯এর কল পেয়ে সেখানে ফোর্স পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


জেবি/এসবি