বেড়ায় মুলকাটা পেয়াজের বাম্পার ফলন


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১১:২০ অপরাহ্ন, ১০ই জানুয়ারী ২০২৩


বেড়ায় মুলকাটা পেয়াজের বাম্পার ফলন
পেঁয়াজ চাষী

মৌসুমে পেঁয়াজের বাজার মূল্য কম থাকায়, আগাম পেঁয়াজে ভাল দাম পাওয়ার আশায় বেড়ার পেঁয়াজ চাষীরা অনেক বেশী জমিতে এ মৌসুমে মুলকাটা পেঁয়াজের চাষ করেছে। এবার বাম্পার ফলন হলেও বাজার মূল্য এখনও আশানুরুপ হয়নি।


মঙ্গলবার  (১০ জানুয়ারি) বেড়ার সিএন্ডবি বাজারে প্রকার ভেদে ৯ শ’টাকা থেকে ১১শ’ টাকা মন দরে পেঁয়াজ বেচা কেনা  হতে দেখা গেছে। পেঁয়াজের বাজারদর নিয়ে কথা হয় বড়শিলা গ্রামের পেঁয়াজ চাষী আবু বক্কার,হাটুরিয়ার জাঙ্গাগীর,পৌর এলাকার শহিদুল,চাকলার মোতালেব সহ বেশ কয়েক জন কৃষকের সাথে। সবাই পেঁয়াজের এ দাম পেয়ে খুশী নয়। তবে পেঁয়াজের বর্তমান দাম নিয়ে চাষীদের অসন্তোষ থাকলেও তারা আশা করেন পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাবে।

    

অগ্রায়ন-পৌষ মাসের দিকে মজুত পেঁয়াজের সরবরাহ কম থাকায় পেঁয়াজে বাজার দর ক্রমাগত বাড়তে থাকে। এ সময় নতুন মূলকাটা পেঁয়াজের চাহিদা বাজারে বেশী থাকায় এবং ভাল দাম পাওয়ার আশায় পেঁয়াজ চাষীরা জমি থেকে অপরিণত পেঁয়াজ তুলে  বাজারে বিক্রির জন্য নিয়ে আসে।


বেড়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা নুরে আলম (অতিরিক্ত দায়িত্ব) জানান, উপজেলার ঢালার চর,বেড়ার পৌরসভার বড়শিলা মৌজায়, হাটুরিয়া নাকালিয়া, চাকলা ও কৈটোলা,জাতসাখিনী, মাসুমদিয়া সহ উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে কমবেশী পেঁয়াজের চাষ হয়ে থাকে। এ বছর বেড়া উপজেলায় ১হাজার  ৮শ’ হেক্টর জমিতে মূলকাটা পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্য মাত্রা থাকলেও চাষ হয়েছে ১ হাজার ৮শ’৬০ হেক্টর জমিতে এবং যার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৩ হাজার ৮শ’ ৫০ মে.টন। বেলে দো-আঁশ মাটি পেঁয়াজ চাষের জন্য আদর্শ। এই এলাকার  মাটি বেলে দো-আঁশ হওয়ায় পেঁয়াজের উৎপাদন আশানুরুপ হয়ে থাকে। মুলকাটা পেঁয়াজ চাষে সব থেকে ছোট ও পরিপক্ক পেঁয়াজ বীজ হিসেবে বেছে নেওয়া এবং রোপন করা হয়,যা দু’আড়াই মাসে তিন চার গুন বৃদ্ধি ও পার্শ্ব কন্দ বের হওয়ায় উৎপাদন কয়েক গুন বৃদ্ধি পায়। মুলকাটা পেঁয়াজ চাষে কম সময় ও চাষে তুলনামূলক ভাবে কম খরচ হয়ে থাকে। বাজরে এ সময় বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ কম থাকার ফলে পেঁয়াজের দাম বেশী থাকে। বেশী দাম পাওয়ার কারণে চাষীরা মুলকাটা পেঁয়াজ চাষে বেশী আগ্রহী হয়। কৃষি কর্মকর্তা ও মাঠ পর্যায়ে উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তাদের তত্তাবধনে পেঁয়াজ চাষীরা সার্বক্ষনিক পরার্মশ ও উপদেশ পেয়ে থাকেন বলে চাষীরা জানান। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার অফিস সূত্রে জানা যায়, ইতি মধ্যে প্রায় ৪শ’ হেক্টর জমির পেঁয়াজ কৃষক ঘরে তুলেছে এবং এ মৌসুমে পেঁয়াজের বীজ উৎপাদনের জন্য মাসুমদিয়া ইউনিয়নের ২টি এবং চাকলা ইউনিয়নে ১টি মোট ৩টি প্রদর্শনী ক্ষেত রয়েছে এবং প্রতিটি প্রদর্শনী ক্ষেতের পরিমান ৩ বিঘা (১ একর) করে।

  

বেড়া উপজেলায় মুলকাটা পেঁয়াজ চাষের অনুকুল পরিবেশ রয়েছে, হঠাৎ কোন বির্পযয় না হলে উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা পূরণ হবে বলে কৃষি কর্মকর্তা ও উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তারা মনে করেন।