ঘোড়াঘাটে ৫শ হেক্টর জমিতে আদর্শ বীজতলার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ
উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২:১০ পূর্বাহ্ন, ১৫ই জানুয়ারী ২০২৩
সুস্থ ও সবল চারা উৎপাদন, বৈরী আবহাওয়া মোকাবিলা করতে ও কোল্ড ইনজুরি থেকে রক্ষা ও পোকার আক্রমণের ঝুঁকি কম থাকায় দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে আদর্শ বীজতলা তৈরী দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। পুরনো পদ্ধতির বীজতলার পরিবর্তে এখন আদর্শ বীজতলা তৈরিতে ঝুঁকছেন উপজেলার কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, আদর্শ পদ্ধতিতে চারা উৎপাদন জন্য প্রথমে শুকনা জমি ভালোভাবে চাষ করে জৈব ও রাসায়নিক সার দিতে হয়। জমি প্রস্তুত হলে ২ হাত প্রস্থ বিশিষ্ট বেড তৈরী করতে হয়। মানসম্মত বীজ ২৪ ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে রেখে সেগুলো বীজতলায় ছিটাতে হয়। বীজ ছিটানোর ৩৫ থেকে ৪০ দিনের মধ্যে চারাগুলো রোপনের উপযুক্ত হয়। উপজেলা পালশা ইউনিয়নের রুপসী পাড়া গ্রামের কৃষক মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, “পুরনো পদ্ধতিতে বীজতলা তৈরী করে পোকামাকড়ের আক্রমন ও শীতকালীন বালাই মোকাবিলা করতে হতো। কৃষি বিভাগের পরামর্র্শে আদর্শ পদ্ধতিতে বীজতলা তৈরী করে এসব সমস্যা মোকাবিলা করা যায়।
উপজেলা কৃষি অফিসার মো: এখলাছ হোসেন সরকার জানান, উপজেলার ১টি পৌরসভা ৪ টি ইউনিয়নের ৯ হাজার ১শ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা হয়েছে। এ পরিমান জমির জন্য ৬শ হেক্টর বীজতলার প্রয়োজন। এর মধ্যে আদর্শ বীজতলার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫শ হেক্টর। এছাড়াও তিনি আরো বলেন, কোল্ড ইনজুরি থেকে বীজতলা রক্ষা করতে জমিতে পলেথিন ব্যবহারসহ ৩ থেকে ৫ সেন্টিমিটার স্বচ্ছ পানি ধরে রাখতে হবে, প্রয়োজনে বীজতলার পানি সকালে বের করে দিয়ে আবার নতুন করে পানি দিতে হবে।