ঠাকুরগাঁও-২ আসনে গণঅধিকার পরিষদের প্রার্থী ফারুক হাসান


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৮:৫১ অপরাহ্ন, ২৬শে জুলাই ২০২৫


ঠাকুরগাঁও-২ আসনে গণঅধিকার পরিষদের প্রার্থী ফারুক হাসান
ছবি: সংগৃহীত

৩৬ জুলাইকে স্বরণীয় রাখতে গণঅধিকার পরিষদের প্রথম ধাপের প্রার্থী তালিকা আজকে ঘোষণা করা হয়েছে।


৩৬ জনের প্রথম ধাপের তালিকায় ঠাকুরগাঁও-২ নির্বাচনী এলাকা থেকে মনোনিত হয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের মুখপাত্র ও সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারুক হাসান। ফারুক হাসানের গ্রামের বাড়ি ৬ নং কাশিপুর ইউনিয়ন, রানীসংকৈল উপজেলায়। ৫ ভাই বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট। পড়াশোনা করেছেন প্রাচ্যের অক্সফোর্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ব্যক্তিগত জীবনে ফারুক হাসান বিবাহিত, ফারুক হাসানের সহধর্মিণী হাইকোর্টের আইনজীবী।


প্রার্থীতা ঘোষণা নিয়ে ফারুক হাসান বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকা ঠাকুরগাঁও-২ দীর্ঘদিন ধরে উন্নয়ন বঞ্চিত। বিগত সময়ে এই আসনে যিনি এমপি ছিলেন তিনি জনগণের কল্যাণে কোন কাজ করেননি। আমি ফারুক হাসান এখনো এমপি নির্বাচিত হইনাই, তারপরও শতাধিক মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল, কাঁচা রাস্তা পাকাকরণসহ শতাধিক ওযুখানা ও টিউবওয়েল বিতরণ করেছি। আমি ফারুক হাসান ঘোষণা দিয়েছি, আমার নির্বাচনী এলাকায় কোন মসজিদ মাদ্রাসা ওযুখানা ও টিউবওয়েল ছাড়া থাকবেনা ইনশাআল্লাহ। একইসাথে প্রত্যেকটি ইউনিয়নে ১০০ করে টিউবওয় বিতরণ করা হবে। 


আরও পড়ুন: মাহেরীন চৌধুরী শিক্ষকই নন, তিনি একজন গর্বিত মা: আফরোজা আব্বাস


আমার নির্বাচনী এলাকা নিয়ে আমার পরিষ্কার কিছু পরিকল্পনা আমি হাতে নিয়েছি। বিশেষকরে আমার এলাকায় ভালো মানের কোন হাসপাতাল না থাকায় মানুষজন সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত। আমি আল্লাহর রহমতে নির্বাচিত হতে পারলে ঠাকুরগাঁও-২ এ হরিপুর ও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় ২ টি আধুনিক মানের হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করবো।


আমার এলাকা কৃষি নির্ভর হওয়ায় এখানে বানিজ্যিক কেন প্রতিষ্ঠান নেই, সে বিষয়ে আমি কাজ করবো। যাতে কৃষকগণ তাদের ফসলের ন্যয্য মূল্য পায়। আমার এলাকা সীমান্তবর্তী হওয়ার কারণে মাদক এখানে বিগত সময়ে সহজলভ্য ছিলো, ইনশাআল্লাহ আগামীতে আমার এলাকা হবে মাদকমুক্ত। 


আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে জমি নিয়ে বিরোধ, সংঘর্ষে নিহত ৩


শিক্ষা ক্ষেত্রেও অনেক পিছিয়ে আমরা, নেই কোন ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আমার টার্গেট নির্বাচনী এলাকায় ২/৩ টি ভালো মানের কলেজ ও স্কুল প্রতিষ্ঠা করা। যেসব স্কুল রয়েছে সেগুলোকে আধুনিকমানের করা; যাতা আমার এলাকার গরীব মানুষকে ঢাকায় এসে পড়াশোনা করতে না হয়।


কাঠামোগত উন্নয়নে আমার বিশেষ ফোকাস থাকবে ইনশাআল্লাহ। যেহেতু আমার এলাকার প্রায় ৭০% রাস্তা এখনো কাঁচা, বর্ষাকালে মানুষজন এসব রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে পারেননা।


এমএল/