ভারত থেকে আনা গুড়া পাথরগুলো অবশেষে খালাসের অনুমোদন


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩:৩৬ পূর্বাহ্ন, ২৪শে জানুয়ারী ২০২৩


ভারত থেকে আনা গুড়া পাথরগুলো অবশেষে খালাসের অনুমোদন
পাথর খালাস করা হচ্ছে

আখাউড়ায় ভারত থেকে আনা গুড়া পাথরগুলো অবশেষে খালাসের অনুমোদন পেয়েছে। পুরোদমে চলছে খালাসের প্রস্তুতি। নানান নাটকীয়তার পর আখাউড়া স্থল বন্দর থেকে ২ হাজার ৭শত টন গুড়া পাথরের মধ্যে খালাসের অনুমোদন পাচ্ছে  ৭ শত ৭০ মেট্রিক টন গুড়া পাথর। কাস্টমসের গ্যারাকলে পড়ে ২ মাস ১০ দিন আটকে ছিল এই পাথরগুলো।


সোমবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল থেকে ৭শত ৭০ মেট্রিক টন গুড়া পাথর খালাসের কার্যক্রম শুরু করেছে স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্ট খলিফা এন্টারপ্রাইজের।


জানা যায়, পাথরগুলো আশুগঞ্জ নৌ বন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত ফোর লেন রাস্তা সম্প্রসারণ কাজে ব্যবহার করার জন্য ভারত থেকে আমদানি করা হয়। আমদানির পর থেকে কাস্টমসের জটিলতায় আটকে যায় এই পাথরগুলো। আখাউড়া স্থল বন্দর দিয়ে এরকম পাথর আমদানির অনুমোদন না থাকায় বন্দর থেকে খালাসের অনুমোদন পাননি স্থানীয় সি এন্ড এফ এজেন্ড। এতে করে অনেক বাঁধা বিপত্তির মধ্যে দিয়ে অনেক বেগ পোহাতে হয়েছে ব্যবসায়ীদের।

  

এ ব্যপারে সি এন্ড এফ এজেন্ট  খলিফা এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি মো. মোজাম্মেল হক জানান, আমরা গত ২ মাস ১০ দিন আগে এলসির পুরো চালান ২ হাজার ৭শত মেট্রিক টন গুড়া পাথর আমদানি করি। আমদানির পর কাস্টমস থেকে আমাদেরকে জানানো হয় এই বন্দর দিয়ে এই পাথর আমদানির অনুমোদন নেই। এর পর থেকে কাস্টমসের নানান জটিলতায় গুড়া পাথরগুলো বন্দরে আটকে থাকে। পরবর্তীতে (এনবিআর) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে প্রথম চালানের ৭শত ৭০ মেট্রিক টন গুড়া পাথর খালাসের অনুমোদন দেয়া হয়।  তারপরও আমাদের বন্দরে ১৯ শত ৩০ মেট্রিক টন গুড়া পাথর রয়ে যাবে। যার জন্য আমাদেরকে ২ মাস ১০ দিনে পাথরগুলোর আমদানি শুল্ক প্রায় ৬৯ শতাংশ হারে বন্দর মাশুল দিতে হচ্ছে ২১ লাখ ৪৮ হাজার টাকা । এতে করে আমাদের অনেক আর্থিক লোকসান গুণতে হচ্ছে।


আখাউড়া স্থলবন্দরের সুপারিন্টেন্ডেন্ট  মো. সামাউল ইসলাম জানান, ২ হাজার ৭ শত মেট্রিক টন গুড়া পাথরের মধ্যে ৭শত ৭০ মেট্রিক টন গুড়া পাথর অনুমোদন পাওয়ায় স্থানীয়  সি এন্ড এফ এজেন্টের প্রতিনিধিরা সকাল থেকে খালাসের কার্যক্রম শুরু করেছে। এতে করে ২ মাস ১০ দিনে বন্দর মাশুল ফি আদায় হয়েছে ২১ লাখ ৪৮ হাজার টাকা। 


এ ব্যাপারে কাস্টমস ডেপুটি কমিশনার আবু হানিফ মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ জানান, চূর্ণপাথর আমদানি করার অনুমতি না থাকায় ছাড়পত্র দেয়া হয়নি। তবে চারলেন প্রকল্পের হওয়ায় এনবিআর বিশেষ ক্ষমতায় শর্ত সাপেক্ষে ৭৭০ টনের ছাড়পত্র দিয়েছে। বাকিগুলোর জন্য আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান থেকে এনবিআরে আবেদন করেছে।


উল্লেখ্য, আমদানি হওয়া পাথরগুলো ভারতীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এফকন ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড প্রতি টন ১৩ মার্কিন ডলারে আমদানি করেছে। স্থলবন্দরের সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট মেসার্স খলিফা এন্টারপ্রাইজ আমদানিকৃত পাথরের কাস্টমস ক্লিয়ারিংয়ের কাজ করছে।


আরএক্স/