ভাঙ্গা হচ্ছে ষোলশহরের সেই হেলে পরা ভবনটি


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩:৩২ পূর্বাহ্ন, ৭ই ফেব্রুয়ারি ২০২৩


ভাঙ্গা হচ্ছে ষোলশহরের সেই হেলে পরা ভবনটি
হেলে পরা ভবনটি

অবশেষে ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে চট্টগ্রাম নগরীর ষোলশহর রেলস্টেশন সংলগ্ন চশমা খালের উপর হেলে পড়া ৪ তলা বিশিষ্ট ভবনটি। ইতি মধ্যে ভবনটির ৬০ শতাংশেরও বেশি অংশে ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। 


বুধবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে ভবনের পাশের হোটেল খোলারপর সাধারন জনগন ভবন হেলে পড়ার বিষয়টি প্রথম দেখতে পান বলে জানাযায়। পরবর্তীতে তারা ভবন মালিক ও থানা পুলিশকে বিষয়টি অবিহিত করলে পাঁচলাইশ থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে জন সাধারনের চলাচল বন্ধ করে দেয় এবং ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। চশমা খাল সংলগ্ন ফেরদৌস প্লাজা নামের চারতলা ভবনটি হেলে থাকার খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে যান।


পরে মাইকিং করে আশপাশের বাসিন্দাদের নিরাপদ দূরত্ব সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়ে ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষনা করেন। ভবনটির লাগোয়া চশমা খালের জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ চলছে। প্রকল্পের আওতায় খালের ওই অংশে প্রতিরোধ দেয়াল নির্মাণ করা হচ্ছে। ভবন মালিক খোরশেদ আলমের দাবি, রাতে খালে দেয়াল নির্মাণের জন্য মাটি খনন কাজের কারণেই তার ভবনটি হেলে পড়েছিল। খোরশেদ আলম আরো বলেন, তাদের পরিবারের মালিকানাধীন ফেরদৌস প্লাজার একাংশ জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজের জন্য গত ২০/২৫ দিন আগে ভাঙা হয়েছিল। 


যার ক্ষতিপূরনের জন্য সিডিএ কে আবেদন করেছিলেন তারা। এরই মধ্যে তিনি গত ১৮ জানুয়ারী সকালে জানতে পারেন যে তাদের ভবনটি হেলে পড়েছে এরপর তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পান ফায়ার সার্ভিস মাইকিং করে লোকজনকে সরিয়ে দিয়ে ভবনটি পরিত্যক্ত করে বিপজ্জনক ফিতা লাগিয়ে দিয়েছেন। ভবন মালিক খোরশেদ আলম জানান, তারা সিডিয়ের নির্দেশনায় ভবনটি ভেঙ্গে ফেলছেন, ইতিমধ্যে ৬০ শতাংশের বেশি ভাঙ্গার কাজ শেষ হয়েছে তাদের।


তারা সিডিএ বরাবর আরেকটি মানবিক আবেদন জানিয়েছেন তাদের ক্ষতিপূরন দেওয়ার জন্য। ১৯৯০ সালে নির্মাণ করা হয় ভবনটি। এর চার বছর আগে নকশা অনুমোদন করা হয়েছিল। এর আগে এর প্রায় অর্ধেক অংশ খালের অংশে পড়ায় সেই অংশটি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছিল। অবশিষ্ট অংশও ঝুকিপূর্ণভাবে হেলে পড়ায় সিডিএর পারমর্শে ভেঙ্গে ফেলায় তাদের প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলছেন খোরশেদ আলম। এদিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায়, ভবনটির আশপাশে অবস্থিত বেশকিছু পুরনো স্থাপনা বিপজ্জনক ভাবে ফাটলসহ চশমা খালের উপর হেলে পড়ে আছে। কিন্তু এখনো নজরে আশায় সেগুলো সরানোর কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।


আরএক্স/