কক্সবাজারে আবারো ভেসে আসলো মৃত ডলফিন
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২:০৩ পূর্বাহ্ন, ১০ই ফেব্রুয়ারি ২০২৩
কক্সবাজারে উখিয়া উপজেলার মোহাম্মদ শফির বিল এলাকার সমুদ্র সৈকতে ভেসে এসেছে একটি মৃত ডলফিন ও একটি মৃত কাছিম।
বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রয়ারি) বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিওআরআই) মহাপরিচালক সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দার জানান, গত সপ্তাহের বেশী সময় ধরে সামুদ্রিক এ প্রাণি দুটি সৈকতের বালিয়াড়িতে পড়ে থাকলেও খবরটি জেনেছেন বুধবার সন্ধ্যায়।
এর মধ্যে ইরাবতী প্রজাতির মৃত ডলফিনটির লেজ ব্যতিত দৈর্ঘ্য ৬ ফুট ও ব্যাস ৫ ফুট ২ ইঞ্চি এবং বড় আকারের মৃত কাছিমটি অলিভ রিডলি প্রজাতির।
ঘটনাস্থল পরিদৈর্শনকারি গবেষকরা বলছেন, সামুদ্রিক প্রাণি দুইটির শরীরে পঁচন ধরায় মৃত্যুর কারণ তাৎক্ষণিক নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।
বেলাল হায়দার বলেন, বুধবার সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও স্থানীয়দের মাধ্যমে উখিয়ার জালিয়াপালং মোহাম্মদ শফির বিল এলাকা সংলগ্ন সমুদ্র সৈকতের বালিয়াড়িতে একটি মৃত ডলফিন এবং একটি মৃত কাছিম পড়ে থাকার খবর পান। পরে বিওআরআই এর একদল গবেষক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
"দেখা গেছে, মৃত অবস্থায় পড়ে থাকা ইরাবতী প্রজাতির ডলফিনটির দেহে পঁচন ধরেছে। ক্ষুদ্রান্ত্রের কিছু অংশ পঁচনের কারণে শরীর থেকে বের হয়ে গেছে। লেজের অংশ পঁচনের কারণে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে- বেশ কয়েকদিন আগে সাগরে মৃত্যু ঘটার পর ডলফিনটি জোয়ারের পানিতে কূলে ভেসে এসেছে।"
বিওআরআই এর মহাপরিচালক বলেন, " সম্প্রতি সপ্তাহ দেড়েক আগে কক্সবাজার সৈকত সংলগ্ন সাগরে ১০ থেকে ১৫ টি ডলফিনের একটি দলকে বিচরণ করতে দেখেছেন স্থানীয়রা। গত ১ ফেব্রুয়ারি বিকালে উখিয়ার মোহাম্মদ শফির বিল এলাকার সৈকতে ডলফিনটি মৃত অবস্থায় ভেসে আসে। সেই থেকে ডলফিনটি সেখানকার বালিয়াড়িতে পড়ে রয়েছে। "
বেলাল হায়দার জানান, পঁচন ধরায় ডলফিনটির শরীর থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। পঁচনের কারণে ডলফিনটির মৃত্যুর কারণ তাৎক্ষণিক নিশ্চিত হওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে ধারণা হচ্ছে- সাগরে কোন জলযান বা জেলেদের জালে আটকা পড়ে মৃত্যু ঘটেছে।
এদিকে উখিয়ার মোহাম্মদ শফির বিল এলাকা সংলগ্ন সৈকতে ভেসে আসা মৃত ডলফিনটির অদূরে একটি অলিভ রিডলি প্রজাতির একটি মৃত কাছিম পড়ে থাকতে দেখা গেছে বলে জানান তিনি।
বেলাল বলেন, সৈকতে পড়ে থাকা কাছিমটিও কয়েকদিন আগে মৃত্যু হয়েছে। এখন প্রজনন মৌসুম হওয়ায় সৈকতের বালিয়াড়িতে ডিম পাড়তে এসে কাছিমটির মৃত্যু ঘটে থাকতে পারে।
কাছিমটির শরীরে পঁচন ধরায় তাৎক্ষণিক মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানান বিওআরআই এর মহাপরিচালক।
এ ব্যাপারে সমুদ্র উপকূলে প্রাণীদের দেখভালের দায়িত্বে থাকা কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বনসংরক্ষক মো. সরওয়ার আলম বলেন, বুধবার সন্ধ্যা বিষয়টি অবহিত হয়েছেন। সামুদ্রিক প্রাণি দুইটির নমুনা সংগ্রহ এবং মাটিতে পুঁতে ফেলার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আরএক্স/