হাইকোর্টের নির্দেশে ক্যাম্পাস ছাড়লেন ছাত্রলীগের দুই নেত্রী


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১১:২৪ অপরাহ্ন, ১৭ই ফেব্রুয়ারি ২০২৩


হাইকোর্টের নির্দেশে ক্যাম্পাস ছাড়লেন ছাত্রলীগের দুই নেত্রী
ছাত্রলীগের দুই নেত্রী

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় হাইকোর্টের নির্দেশে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা হল ছেড়েছেন অভিযুক্ত ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও তার সহযোগী তাবাসসুম। 


বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার পর তারা হল ছেড়ে চলে যান বলে জানা গেছে। 


এদিকে তাদের হল ছাড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শামসুল আলম।


এর আগে, গত রোববার রাতে দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে সাড়ে চার ঘণ্টা আটকে রেখে নির্যাতন করার অভিযোগ করেন প্রথম বর্ষের এক ছাত্রী।


ভুক্তভোগী ছাত্রীর ভাষ্য অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরীর নেতৃত্বে তার অনুসারীরা নির্যাতন চালিয়েছেন। নির্যাতনের সময় তাকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ, গালাগাল এবং এই ঘটনা কাউকে জানালে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। ওই ছাত্রী গত বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর, হলের প্রাধ্যক্ষ ও ছাত্র উপদেষ্টার কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেন।


এ ঘটনায় এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেন। শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠনের পাশাপাশি তদন্ত চলাকালে সানজিদা ও তাবাসসুম যাতে ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে না পারেন, সে বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। 


আদালত বলেছেন, তবে তদন্তের প্রয়োজনে কমিটি তাদের ডাকতে পারবে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করারও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।


শামসুল আলম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে নির্দেশনা পেয়ে আমি তাদের হল ছাড়ার নির্দেশ দিই। প্রক্টরের সঙ্গে আমার এ বিষয়ে কথা হয়েছে। তারা সন্ধ্যার পরই হল ছেড়ে চলে যান।


প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী আমি অভিযুক্ত দুজনকে হল থেকে চলে যাওয়ার বিষয়ে হল প্রভোস্টকে নির্দেশ দিই। এ ছাড়া, ভুক্তভোগী ছাত্রীর নিরাপত্তা প্রদানের জন্য ইবি থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছি। 


প্রক্টর আরও বলেন, দুই ছাত্রীর পরিবারের সঙ্গেও কথা হয়েছে। এরপর তারা ক্যাম্পাস ছাড়ে। এর মধ্যে একজনের বাড়ি রংপুর, তিনি তাঁর বাবার কর্মস্থল রাজশাহীতে চলে গেছেন। আরেকজন একটু দূরের জেলার এ জন্য তিনি রাতে কুষ্টিয়ায় অবস্থান করেন।


ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নিরাপত্তার বিষয়ে উপাচার্য কথা বলেছেন জানিয়ে প্রক্টর শাহাদাত বলেন, ‘আমি নিজে ছাত্রীসহ তার বাবার সঙ্গে কথা বলেছি। ক্যাম্পাসে তার নিরাপত্তা দেওয়া হবে জানিয়েছি। ওসি ও আমার ফোন নম্বর দিয়েছি। তাঁর খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে।