পোস্টার নেতাদের দৌরাত্ম্য মুক্ত হলো পায়রা সেতুর নামফলক


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩:৩৫ পূর্বাহ্ন, ১৯শে ফেব্রুয়ারি ২০২৩


পোস্টার নেতাদের দৌরাত্ম্য মুক্ত হলো পায়রা সেতুর নামফলক
পায়রা সেতুর

পটুয়াখালীর দুমকিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধনকৃত পায়রা সেতুর নামফলক চত্বর থেকে উদীয়মান বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের পোস্টার-ব্যানার সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

 

গত মাসের বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেদনের করলে সচেতন মহলে সাড়া পড়ে যায়। এনিয়ে সম্প্রতি রাজা সালেহ মাহমুদ পরশ প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট দেন। এরপরে গত বুধবার এ পোস্টার-ব্যানারগুলো পটুয়াখালী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এ.এম.আতিকুল্লাহ এর উদ্যোগে দুমকি উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় অপসারণ করে ফেলা হয়। এতে নামফলক চত্ত্বরটি তার পূর্বের সৌন্দর্য ফিরে পায়। 


বরিশাল পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের ইলেকট্রিক্যাল ট্রেডের শিক্ষার্থী অনিক খাসকেল ও উপজেলার জলিশা গ্রামের সজিব হোসেন জানান, পায়রা সেতুতে ঘুরতে গেলে পোস্টার-ব্যানারে চত্ত্বরটি আবর্জনার স্তুপ মনে হচ্ছিল। এখন দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে। একজন সত্যিকারের রাজনৈতিক ব্যক্তি এমন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পোস্টার-ব্যানার লাগিয়ে দুর্ঘটনার হয় এমন কাজ করতে পারেন না।

 

সচেতন মহলকে ধন্যবাদ জানিয়ে পটুয়াখালী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এ.এম.আতিকুল্লাহ বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে, স্থানের নাম নির্দেশক তীর চিহ্নগুলো স্পষ্ট যাতে দেখা যায় ও দৃষ্টিনন্দন উদ্বোধনী ফলকের সৌন্দর্য ঠিক রাখতে সকল ধরনের পোস্টার-ব্যানার সরিয়ে ফেলা হয়েছে। 


উল্লেখ্য, গতবছরের ২৪অক্টোবর বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের ২য় বৃহত্তম সৌন্দর্যের ঝুলন্ত পায়রা সেতুটির উদ্বোধন করেন। সেতুটির টোল প্লাজার অদূরে নির্মিত হয় দৃষ্টিনন্দন এ উদ্বোধনী ফলক। যার চারপাশে দেয়া হয়েছে বৃত্তাকার ষ্টেইনলেস ষ্টিলের বেষ্টনী। এতে বসানো হয়েছে সুউচ্চের ফ্লাড লাইট। দিনের সৌন্দর্যের পাশাপাশি রাতে ফ্লাড লাইটের ঝলমলে আলোতে নাম ফলক চত্ত্বরটি সেতুর সৌন্দর্য আরো একধাপ বাড়িয়ে দেয়। এমন অনিন্দ সৌন্দর্যের নামফলক চত্ত্বরটি কতিপয় উঠতি রাজনৈতিক পোস্টারধারী নেতা ও প্রতিষ্ঠানের আগ্রাসনে মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পড়ে ছিল। এতে সেতুর নামফলক চত্ত্বরের চার পাশের বেষ্টনী অন্ততঃ ৬/৭ফুট উচ্চতায় ঢাকা পড়ে থাকায় একদিকে দূর্ঘটনার যেমন মারাত্মক ঝুঁকি ছিল তেমনি হারিয়েছিল এর নিজস্ব সৌন্দর্য।


আরএক্স/