চালককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই, গ্রেফতার ২

কক্সবাজারে চালককে হত্যার পর অটোরিকশা ছিনতাইয়ে জড়িত ২ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১৫। এসময় ছিনতাই হওয়া অটোরিকশা ও নিহত চালকের মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।

রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে র‌্যাব-১৫ এর কক্সবাজার কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন র‌্যাবের উপ-পরিচালক লে. কমান্ডার মাহবুবুর রহমান।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ঈদগাঁও উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের মিয়াজিপাড়ার আবদু শুক্কুরের ছেলে মোরশেদ আলম (৩১) ও কক্সবাজার পৌরসভার ঘোনাপাড়ার ছগির আহমদের ছেলে মো. শাহ আলম (৪২)।

র‌্যাবের উপ-পরিচালক লে. কমান্ডার মাহবুবুর রহমান, গত ৯ ফেব্রুয়ারি সকালে ঈদগাঁও উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের সুপারি বাগান থেকে একটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে মরদেহটি চৌফলদন্ডী ইউনিয়নের মো. শামসুল আলমের ছেলে মোরশেদ আলম (২০) এর বলে শনাক্ত হয়। পেশায় অটোরিকশা চালক মোরশে আলম গত ৮ ফেব্রুয়ারি তার নিজের অটোরিকশা নিয়ে বাড়ী থেকে বের হয়। পরে মরদেহ পাওয়া গেলেও তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন এবং অটোরিকশাটি পাওয়া যায়নি। 

এ সংক্রান্ত দায়ের হওয়া মামলার পর র‌্যাব বিভিন্ন কৌশলাদি অবলম্বনসহ এলাকায় গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করে। এর জের ধরে শনিবার সন্ধ্যায় কক্সবাজার শহরের পৌরসভার একটি ভাড়াবাসা থেকে নিহতের মোবাইল ফোনসহ ফেব্রুয়ারি করে মোরশেদ আলম (৩১) কে। তার দেয়া তথ্য মতে রাত ৮ টায় পিএমখালী ইউনিয়নের পশ্চিম মুহসিনিয়া পাড়া থেকে গ্রেফতার করা হয় মো. শাহ আলম (৪২) কে। এসময় পাওয়া যায় ছিনতাই হওয়া অটোরিকশাও।

র‌্যাবের উপ-পরিচালক জানান, মোরশেদ একজন অটো-রিকশা ছিনতাইকারী চক্রের দলনেতা। বিভিন্ন সময়ে মোরশেদ ও তার সহযোগী ছিনতাই চক্রের সদস্যের মাধ্যমে কক্সবাজার শহর এবং আশপাশ এলাকার অটোরিকশা ভাড়ার কথা বলে সুবিধাজনক স্থানে নিয়ে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ছিনতাই করতঃ সর্বোস্ব লুটে নেয় এবং ছিনতাই করা অটোরিকশা অন্যত্র বিক্রি করে দেয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যা পূর্বক অটো-রিকশা ও মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ের কথা স্বীকার করেছেন। এদের সংশ্লিষ্ট মামলায় ঈদগাঁও থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

এসময় র‌্যাব কার্যালয়ে উপস্থিত মামলার বাদি পিতা শামসুল আলম জানিয়েছেন, শুধু অটোরিকশা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে নয়  জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে তার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে।

আরএক্স/