জামাতার ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল শ্বশুরের
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬:৩৪ পূর্বাহ্ন, ২৫শে ফেব্রুয়ারি ২০২৩
কক্সবাজার সদরে 'পারিবারিক কলহের জেরে' জামাতার ছুরিকাঘাতে শ্বশুর নিহত এবং স্ত্রী আহত হয়েছে; ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জামাতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
কক্সবাজার সদর থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম জানান, শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১ টায় কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের দক্ষিণ জানারঘোনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত আজিজুল হক (৫৫) কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা ইউনিয়নের দক্ষিণ জানারঘোনা এলাকার মৃত গুরা মিয়ার ছেলে।আহত সোনিয়া আক্তার (২০) নিহতের মেয়ে। গ্রেপ্তার হাকিম উল্লাহ (৩৫) একই এলাকার বাসিন্দা।
স্থানীয়দের বরাতে রফিকুল ইসলাম বলেন, হাকিম উল্লাহ ও শ্বশুরের বাড়ী একই এলাকায়। শ্বশুরের পরিত্যক্ত খালি জায়গায় অস্থায়ী ঘর তৈরী করে হাকিম স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে বসবাস করতো। গত কিছুদিন আগে তার স্ত্রীর জমজ সন্তানের জন্ম দেন। জন্মের তিনদিন পর এক সন্তানের মৃত্যু ঘটে। শুক্রবার সকালে অপর সন্তানেরও মৃত্যু হয়।
" শুক্রবার দুপুরে নাতির মৃত্যুর খরব শুনে দেখতে যান নানা আজিজুল হক। এসময় জায়গা নিয়ে পারিবারিক কলহের জেরে শ্বশুর-জামাতার মধ্যে তর্কাতর্কির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে জামাতা হাকিম উল্লাহ শ্বশুরকে উপর্যুপুরি ছুরিকাঘাত করে। এতে বাধা দিতে গেলে স্ত্রী সোনিয়া আক্তারকেও মারধর করা হয়। "
ওসি বলেন, " পরে স্থানীয়রা আহত আজিজুল হক ও সোনিয়া আক্তারকে উদ্ধার করে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এসময় হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক আজিজুল হককে মৃত ঘোষণা করেন। "
দক্ষিণ জানারঘোনা এলাকার সমাজপতি (সর্দার) আব্দুর রহমান বাবু বলেন, হাকিম উল্লাহ শ্বশুরের মালিকাধনাধীন জায়গায় আপাতত ঘর তৈরী করে থাকতেন। শ্বশুর জায়গা ছেড়ে দেওয়ার কথা জানালে জামাতার সঙ্গে বিরোধের সৃষ্টি হয়। এ বিরোধের জেরে এ খুনের ঘটনা ঘটেছে বলে জানান স্থানীয় এ সমাজপতি।
ওসি মো. রফিকুল ইসলাম জানান, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে। এসময় স্থানীয়রা ঘাতক সন্দেহে হাকিম উল্লাহকে ধৃত করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে রয়েছে বলে জানান তিনি।
আরএক্স/